পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ দুঃশা ) বঙ্গের ক্ষয়িষ্ণুতম জেলা b-8" সহজেই হয় , উহা অপেক্ষাকৃত ম্যালেরিয়াশূন্তও বটে। কিন্তু বিষ্ণুপুর মহকুমাকে সরকারী সেন্সস রিপোর্টে বঙ্গের সর্বাপেক্ষা ম্যালেরিয়াগ্রস্ত অংশ বলা হইয়াছে। তাহার কারণ বলা হইয়াছে তিনটি—দুটি প্রধান, একটি অপ্রধান । এই অঞ্চলের জল নিঃসারণের স্বাভাবিক উপায় ভাল নয় ; এবং ইহা নদীর বস্তাতেও বিপন্ন হয়। অপ্রধান কারণ এই, যে, জমীতে জল সেচনের নিমিত্ত নদী ও খালে যে-সব বঁধে দেওয়া আছে, তাহীতে বন্যার কুফল বৃদ্ধি পায়। কিন্তু বাধগুলি সম্বন্ধে এরূপ ব্যবস্থা করা এঞ্জিনীয়ারিং বুদ্ধির অসাধ্য নহে, যাগ দ্বারা এই কুফল নিবারিত হইতে পারে। যাহা হউক, ইহা হইতে বুঝা যাইতেছে, যে, বিষ্ণুপুর মহকুমায় উদ্ধ ও জল নিঃসারণের বন্দোবস্ত হওয়া দরকার । মৃত্যুই বাঁকুড়ার লোকসংখ্যা হ্রাসের একমাত্র কারণ নহে। জীবিকানিৰ্ব্বাহের জন্য এ জেলার বিস্তর লোক জেলার বাহিরে চলিয়া গিয়াছে । ১৯১১ হইতে ১৯২১ দশ বৎসরে বাহির হইতে এ জেলায় ১০,৭৯০ মন লোক আসিয়াছিল, কিন্তু এ জেলা হইতে বাহিরে গিয়াছিল ৭২,৬০৭ । নিজের জেলাতেই অল্পসংস্থান হইলে এত বেশী লোক বাহিরে যাইবে না । অবশু কোন জেলা খুব ধনী হইrলও তাঁহা হইতে অনেক লোক নানা কারণে বাহিরে যাইবে ; কিন্তু উহার ধনশালিতাহেতু বাহিরের লোকও তেমনি বেশী আসিবে। ১৫ বৎসর বয়সের পূৰ্ব্বে এবং ৪০ বৎসর বয়সের পরেও অনেক বাঙালী স্ত্রীলোকের সস্তান হইয়া থাকে ; কিন্তু মোটামুটি, ১৫ হইতে ৪০ বৎসর, এই সময়টিকে সস্তান হইবার বয়স বলিয়া ধরা যাইতে পারে। ১৯২১ সালে এই বয়সের প্রতি একশত জন বিবাহিত স্ত্রীলোকের কতগুলি সস্তান ছিল, তাহার দ্বারা বাঙালী জাতির সংখ্যাবৃদ্ধির শক্তি বাড়িতৃেছে কিম্বা কমিতেছে বুঝা যাইতে পারে। ১৯২১ সালে উক্তরূপ বয়সের প্রতি একশত জন বিবাহিতা স্ত্রীলোকের সস্তানসংখ্যা সমুদয় বাংলা দেশে ১৭২টি ছিল ; ১৯০১ সালে ছিল ১৮২টি, ১৯১১ সুালে ছিল ১৮১টি । স্বতরাং দেখা যাইতেছে, ক্রমশ: বাঙালী স্ত্রীলোকদের সস্তানসংখ্যা কমিতেছে । বাকুড়া জেলায় একশত বিবাহিতা স্ত্রীলোকের সস্তানসংখ্যা বাংলা দেশের গড় অপেক্ষা কম । এখানে ১৯২১ সালে এই সংখ্যা ছিল ১৫৭ ; ১৯১১ সালে ১৬৭ ; ১৯০১ সালে ১৮২ । স্বতরাং দেখা যাইতেছে, সমগ্র বঙ্গে কুড়ি বৎসরে সস্তানসংখ্যা শতকরা ১০ কমিয়াছে ; কিন্তু বাঁকুড়ায় ঐ কুড়ি বৎসরে কমিয়াছে পচিশ, অর্থাৎ আড়াই গুণেরও বেশী। অতএব এ জেলার লোকসংখ্যা হ্রাস আশ্চর্য্যের বিষয় নহে। বিবাহিতা নারীদের সস্তানসংখ্যা কেন কমিতেছে, বিশেষ বিবেচনা ও অঙ্গুসন্ধান না করিয়া বলিতে পারিলাম না। লেখা পড়া না জানিলে কোন বিষয়েই কোন উন্নতি হয় না, এমন বল যায় না ; কিন্তু লেখাপড়া জানিলে এবং শিক্ষা পাইলে সকল বিষয়েই উন্নতির সম্ভাবনা বাড়ে, তাহাতে সন্দেহ নাই । অতএব বাঁকুড়ায় শিক্ষার অবস্থা কিরূপ, দেখা যাক। যাহারা চিঠি লিখিতে ও পড়িতে পারে, তাহাদিগকে লিখনপঠনক্ষম বলিয়৷ সেন্সাসে ধরা হইয়াছে । স্বতরাং লিখনপঠনক্ষম বলিলে খুব সামান্ত শিক্ষাই বুঝায়। পাচ বৎসরের উৰ্দ্ধবয়স্ক পুরুষ ও নারীর মধ্যে হাজারে কয়জন ১৯২২, ১৯১১, ও ১৯০১ সালে লিগনপঠনক্ষম ছিল, তাহার তালিকা : পুরুষ हौ প্রদেশ ১৯২১ ১৯১১ ১৯৭১ ১৯২১ ১৯১১ ১৯৯১ ব্ৰহ্মদেশ ৫ ১০ ৪৩১ ৪৩৭ > > २ १० ¢२ বাংলা ১৮১ ১৬১ ১৪৭ * > )○ 3. ૨ 8 ૨ ૦ S X ר סוג צר צ טו צ affeול বোম্বাই ১৩৮ ১৩৯ ১৩১ ২ 8 ১৬ ১ e বিহার-ওড়িষা ৯৬ ৮৮ ৮৭ في وخ Vථ পঞ্জাব ৭৪ १३ १8 పె * 8 ס\ وهنا o وا و هوا 8 ۹ yهای آی-t gifکی ব্ৰহ্মদেশে বৌদ্ধ মঠসকলে বিনা বেতনে শিক্ষা দেওয়া হয় বলিয়া এবং তথায় নারীদের মুধ্যে অবরোধপ্রথা অর্থাৎ পর্দা না থাকায়, সেখানে স্ত্রী ও পুরুষ উভয়ের মধ্যেই সাধারণ শিক্ষার বিস্তৃতি ভারতবর্ষ অপেক্ষা অনেক বেশী—যদিও উচ্চশিক্ষার বিস্তার অধিক হয় নাই । মান্দ্রাজ ও বোম্বাইয়েও পদৰ্ণ না থাকায় ঐ দুই প্রদেশেও স্ত্রীশিক্ষার বিস্তার অধিক । •