পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] ~് -ുപ്പ് സംസ് স্থানে ডেঙ্গুরের খুব প্রাদুর্ভাব হয়। সেই সময় আমেরিকার দুই দল সৈন্তু একটি পাৰ্ব্বত্যস্থনে পরস্পরের সান্নিধ্যে বাস করিত ৷ একদল পৰ্ব্বতের শীর্ষ দেশে উচ্চভূমিতে ছিল, আর একদল পৰ্ব্বতের সামুদেশে নিম্নভূমিতে ছাউনি করি ছিল। তখন বর্ষাকাল, নিম্নভূমিতে ভয়ানক মশার উপদ্রব অরস্ত হুইয়াছিল। যদিও সেই স্থানের কোথাও জল জমিয় থাকিতে পারিত না তবুও বহুসংখ্যক মশার আবির্ভাব হইল। উচ্চভূমিতে মশা ছিল না এৱং সেখানে কাহারও ডেঙ্গুজর হইল না। নিম্নভূমিতে কয়েকজনের ডেঙ্গুজর হইল। এই রোগী দর তৎক্ষণাৎ স্বতন্ত্র করিয়৷ সৰ্ব্বদা মশারীর ভিতর রাখা হুইল । যাহার সুস্থ ছিল তাহাদিগের প্রতিও সন্ধ্যার পূর্ব হইতেই মশারীর ভিতর থাকিবীর আদেশ হইল। তাহ ছাড়া সেনানিবাসের জানাল ও দরজাগুলি একপ্রকার স্বল্পজালে ঢাকিয় দেওয়া হইল। এইপ্রকারে সেনানিবাসে ডেঙ্গুত্ত্বর বন্ধ হইল। মাত্র একজন সৈনিক এক রাত্রে তাহীর সৈন্তব্যক্ষের বাড়ীতে বিন মশারীতে শুইয়াছিল তাহারই ডেঙ্গু হইল। অথচ তাহাব ঠিক পাশ্বেই এক ব্যক্তি মশারী খাটাইয় গুইত তাহার কিছুই হইল না। সুয়েজ কেনালের ‘পোর্ট, সৈয়দ' বন্দরে ম্যলেরিয়া হইত বলিয়া ১৯৯৬ খৃঃ সেখানে ম• ককুল 'ধ্বংস করিবার আয়োজন হয়। তাহাতে মশা প্রায় নির্গল হইল। এই বৎসরের শেষভাগে ও তাহার পরের বৎসর ঐ বন্দরের পার্শ্ববত্তী সমুদায় স্থানেই ডেঙ্গুম্বরের প্রদুর্ভাব হইল,-কিন্তু এইস্থানে হইল না। আমেরিকার লীজাণু ও ‘সেন্ট ডমিংগে” নামক দুইটি স্থান সমুদ্রষ্ঠীর হইতে প্রায় ২ ফোশ দূরে। তথায় বৎসরের অধিকাংশ সময়ই প্রচুব পরিমাণে মশা হয়। একবার সেখানে দুইটি নাবিকদলের ভিতর ডেস্কুজরের আবির্ভাব হয়। কর্তৃপক্ষ তৎক্ষণাৎ ভাঙ্গাদের অন্ত সকলের নিকট হইতে দূরে সরাইয়া লইলেন ও তাহদের সৰ্ব্বদা মশারীর ভিতর রাখিয়া মশা মারিবার নানা প্রকার কৌশল অবলম্বন করিলেন । ইহাতে অতিশীঘ্রই ডেঙ্গুজর বন্ধ হইয়া গেল । সিরিয়া প্রদেশের বেরথ নামক স্থানে গ্রাহীম নামক একজন ডাক্তার পৰীক্ষা করিয়া দেখিয়াছেন যে ডেঙ্গুৰোগীকে কামৃড়াইয়াছে এরূপ মশা ধরিয়া লইয়। পার্শ্ববৰ্ত্ত হস্থ গ্রামের দুইটি লোকের দেহে বসাইয়। দেওয়াতে উভয়েশই ৪৫ দিন পরে ডেঙ্গুঞ্জর হইয়াছিল । ইহা ছাড়া কোন কোন ডাক্তার দেখিয়াছেন যে ডেঙ্গুরোগীর শরীর হইতে কিছু রক্ত মুস্থ লোকের দেহেব শিরার ভিতর প্রবেশ করাইয়া দিলেও ঠেঙ্গুত্বব হয় । বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদেব মতে দুইপ্রকার মশা ড়েদুজরের বাঙ্গনfooth ofton (Culex fatigrans) 8 &tasks *Itteltoito (Stegomyia Calopus ) I &loc=left: #42;ota সৰ্ব্বদেশেই পুব প্রচুর পরিমাণে দেখিতে পাওয়া যায় । ইহার রং পাটুকিলে, বুকের দিকে দুইটি কাল দাগ আছে ও পেটের দিকটায় ধূসর বর্ণের কয়েকটি রেখা আছে। পুরাতন পুষ্করিণী, ডোবা, গৰ্ত্ত প্রভৃতি বদ্ধ জলাশয়ে এই মশা জন্মে। 'ষ্টেগোমাইয়া মশক মানুষের বাসস্থানেই চৌবাচ্ছ, পুরাতন টিনের কোটা, বৃষ্টিজলের পাইপ, ইড়ি কলসী প্রভূতি গৃহের নানাবিধ অব্যবহার্য্য জলপূর্ণ পাত্রেই বংশবৃদ্ধি করিতে পারে । এই হিসাবে ইহার অধিক বিপদজনক। স্ত্রীষ্টেগোমাইয়া একসঙ্গে ২-টা হইতে ৭৫ টা ডিম জলের উপর পাড়ে। এগুলি দেখিতে ক্ষুদ্র, কাল, সিগারের মত এবং সহজে মরে না। বচ্ছাগুলি ডিম হইতে ফুটিয়া বাহির হইবার সপ্তাহ মধ্যে নিজেরাই পুনরায় ডিম পাড়িবার উপযুক্ত হইয় উঠে ; স্ত্রীমশক বৎসরের বহুবার ডিম পাড়ে, বিশেষতঃ গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালেই অধিক। শীতকালে ডিম “ডেঙ্গু-জ্বর” সম্বন্ধে কয়েকটি কথা SAAAAAAAS SSAAAASA SAASAASAASAASA SAASAASSAAAAAA SAAAAA SAAASA SSASAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS ৭৯ শীতকালট কাটাইয় পুনরায় গ্রীষ্মকালে খুব সজাগ হইয় উঠে। পেটের দিক্‌টীয় সাদা ও কাল ডোর-ডোরা দেখিয়াই “ষ্টেগোমাইয়া” মশক চিনিতে পারা যায়। এই-সব ডোর-ডোরা দাগ থাকে বলিয়া > witz-as atl "witsi-Reis (tiger-mosquito) s? জাতীয় মশা দিনে রাত্ৰে সৰ্ব্বদাই কামূড়ায়। মশাৰ ভিতর স্ত্রীমণকই মানুষের অধিক শক্র, কারণ ইহীরাই মানুষের রক্ত খায় ও নানাপ্রক্ষার রোগের বীজাণু বহল করিয়া বেড়ায় । পুরুষমশকগুলি অপেক্ষাকৃত ভদ্র এবং মানুষের বিশেষ ক্ষতি করে না । এইবার ডেঙ্গুজরের লক্ষণগুলি ও ইহার প্রতিকারের কয়েকটি সহজ উপায় বিবৃত করিয়৷ এই প্রবন্ধ শেষ করিব। এই বোগে যে ভীষণ গত্রবেদন হয় তাহ বোধ হয় অনেকেই অবগত আছেন । বিশেষত: যাহার একবার ভুগিয়াছেন তাহার। ত বিশেষভাবেই ইহর পরিচয় পাইয়াছেন । ইহাতে শরীরের প্রায় প্রত্যেক গ্রন্থি, মাংসপেশী, ও মাংসপেশীর বন্ধনীতে এত বেদন হয় যে এই জ্বরের আর-একটি নাম হইয়াছে “breakbone fevel” বা হtড়ভাঙ্গী জয় । অসহ্য মাথার যন্ত্রণ, চে'থের পিছন দিকে ব্যথা,—এমন কি চোখ এদিক ওদিক্‌ ঘুরাইতেও লাগে, রাত্রে অনিদ্রা, জ্বরের সঙ্গে অক্ষুধা, পেটের পীড়া, বা বমি কাহারও কাহামও হয় । ছেলে-পলেদের কখনও কখনও প্রলপ-বক বা তড়ক হয় বা হয়ত জ্বরের সময় বেইস হইয় পড়িয় থাকে । জ্ববটা তিন-চার দিনেই ছাড়িয়া যায়, জর ছাড়ার সময় প্রায়ই খুব ঘাম হয়, কাহারও কাহারও এই সময় পেটেণ পীড়াও হয় । জ্ববট ছাড়িয়া গিয়া দুই-এক দিন রোগী ভাল থাকে । সেই সময় গায়ে হামের মত rash বা গোট বাহির হয় এবং সেই সঙ্গে সঙ্গে জ্বরটা পুনরায় বৃদ্ধি পায়। কিন্তু এই শেষেব জ্ববট প্রায়ই দু’এক দিনের বেশী থাকে না । কদাচিৎ শেষের জ্বরটা প্রথম জ্বরের চাইতে গুরুতর হয়। জ্বরটা সারিয়া গেলেও শরীরের দুৰ্ব্বলত। অনেক দিন পর্য্যস্ত থাকে। কদাচিৎ কাহারও দুইতিন বারও জ্বরটা ফিরিয়া আসে ও গাত্রবেদন হয়। কিন্তু এরূপ দৃষ্টান্ত বিরল। ডেঙ্গুজর নিবারণ করিতে হইলে নিম্নলিখিত উপায় অবলম্বন করিতে হইলে :-{ ১ ) বাটীতে কোথাও জল জমিয়া না থাকে তাহার ব্যবস্থা করা । ( ২ ) যেখানে জল জমিয়া থাকা নিবারণ করা যায় ন৷ ( যেমন কলিকাতায় পায়খানার টাঙ্ক ইত্যাদি ) সেই-সব স্থানে জলের কিনারায় প্রতি দশ দিন অন্তর কেপ্লোসিন তেল কিছু সাবানজ্বলের সহিত মিশাইয়া ঢালি যা দেওয়া। প্রতি ১৬ কিউবিক্‌ ফুটে ১ আউন্স কাব্ললিক অ্যাসিড দিলেও চলে । পেষ্টারিন (pesterine or crude petroleum) ছড়াইয়। দিলেও চলে। পেষ্টারিন ও কেরোসিনতেল একসঙ্গে সমান ভাগে মিশtষ্ট্রয় ভলের কিনারায় ছড়াইয়া দেওয়াই বোধ হয় সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট উপায়। পানাম, কাইরে প্রভূতি স্থানে ম্যালেরিয়া নিবারণের গুস্ত এই দুইটিই খুব অধিক ব্যবহার হইয়াছে । পুষ্করিণী বা বড় জলাশয়ে দিতে হইলে টিনের বড় একটা পিচকারী দিয়া ছিটাইয়া দেওয়াই সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট উপায়। (৩) ডেঙ্গুরোগীকে সৰ্ব্বদা মশারীর ভিতর রাখা উচিত ও বাড়ীর অন্য সমস্ত সুস্থ ব্যক্তিদের মশারী ব্যবহার করা উচিত । ( ৪ ) কেহ কেহ বলেন ডেঙ্গুরের সময় প্রত্যহ কিছু কিছু কুইনিন থাইলে এই জ্বর হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। ডেঙ্গুষ্করের ভীষণ গাত্রবেদনায় একটু ‘কুইনিন স্যালিসাইলাস? ( ৪ গ্রেন ), 'এম্পিরিন ( ৪ গ্রেন) ক্যাফিন সাইটস্ (৩ গ্রেন ) একসঙ্গে মিশাইয়া একটি বা দুইটি পুরিয়৷ খাইলে গাত্রবেদন ও মাথtধরার অনেকটা উপশম হয় ।