পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

եծ Հ SAMMSAeMeMAeAMeMeMMAMAMAMMMMMSAeMSAMMAM eeMMMeMAMAeMS যে ব্রিটিশসাম্রাজ্যের অন্তর্গত ও অধীন, তাহার স্বার্থের দিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি রাখিয়াই করিয়াছেন। তাহাতে অনেক সময় ভারতবর্ষের অনিষ্টই হইয়াছে। পররাষ্ট্রবিভাগের ভার বিদেশী ভারত-গবর্ণমেণ্টের হাতে থাকিলে ভবিষ্যতেও এইরূপ হইবে। র্তাহারা মধ্যে মধ্যে বলিবেন, অমুক জাতি দেশ বা রাজ্য ভারতের অনিষ্ট করিয়াছে বা করিতে ইচ্ছা ক ে, অতএব যুদ্ধ বা যুদ্ধের আয়োজন হউক ; টাকা দাও । সাক্ষাৎ- ও পরোক্ষ-ভাবে যে সকল ব্যাপারকে বাণিজ্যিক বলা যাইতে পারে, তাহার উপর কর্তৃত্ব বিদেশী ভারত-গবর্ণমেণ্টের হাতে থাকিলে, এখন ভারতীয়দের কৃষি, শিল্প ও বাণিজ্যের অবস্থা যেরূপ আছে, তাহা অপেক্ষা বেশী ভাল হইতে পারিবে না। আত্মরক্ষার জন্য সব জাতিই দরকার-মত পরদেশ হইতে আমদানী ও পরদেশে রপ্তানী জিনিষের উপর শুষ্ক বসায়, উঠায়, বাড়ায়, কমায় । ইহা আমরা এপর্য্যস্ত কেবল নিজেদের দরকার-মত করিতে পারি নাই। দেশের কৃষি শিল্প ও বাণিজ্যের শ্ৰীবৃদ্ধির জন্য রেলওয়ে লাইন ও রেলভাড়া সম্বন্ধে সুবিধাজনক বমোবস্ত আবহু ক । ইহা আমরা এপর্য্যস্ত করিতে পারি নাই । বরং উন্ট ব্যবস্থাই এপর্য্যস্ত বলবৎ আছে ; বিলাতী ও অন্ত পরদেশী পণ্যের আমদানী এবং পরদেশে তাহীদের দরকারী ভারতীয় কাচামালের রপ্তানী যাহাতে সহজে ও সস্তায় হয়, ভারতবর্ষের রেলওয়েগুলির সেদিকে বেশ দৃষ্টি আছে। দেশী লোকদের দ্বারা দেশী কারখানায় প্রস্তুত জিনিযের কাটুতি বাড়াইবার জন্য স্থবিধাজনক রেলভাড়া নাই । কৃষি শিল্প ও বাণিজ্যের বিস্তার ও উন্নতির জন্য আভ্যস্তরীণ জলপথসকল ভাল অবস্থায় থাকা আবখ্যক । জলপথে মাল ও যাত্রী বহন স্থলপথে রেল বা অন্ত গাড়ীতে বহন অপেক্ষ। সস্তায় হইতে পারে। কিন্তু বিলাতী লৌহ-ইস্পাতের কারবারীদের স্বার্থসিদ্ধির জন্ম বিদেশী ভারত গবৰ্ণমেণ্ট রেলপথের দিকেই প্রধানতঃ দৃষ্টি রাখিয়াছেন, জলপথ রক্ষা বিস্তার বা তাহার উন্নভির • প্রতি নজর দেন নাই ; বরং অবহেলায় ৪ রেলের প্রতিযোগিতাৰ জলপথের অবনতিই হইয়াছে। éधंबांनैौ-६ध्छ, s००० २é* ऐंठन, २झे थe'

  • কুৰি শিল্প ও বাণিজ্যের উন্নতির জন্ত ব্যাঙ্কের বিশেষ

দরকার। সকল ব্যবসায়ীর ও চাষীরই কখন কখন হাতে টাকা থাকে, কখন কখন থাকে না। অনটনের সময় স্বদ দিয়া টাকা পাইলে অর্থাগমের সময় তাহু! শোধ করিতে অনেকেই পারে। এইরূপে টাকা জোগান ব্যাঙ্কের একটি কাজ । ভারতবর্ষের অধিকাংশ ব্যাঙ্ক, বিদেশীদের। তাহারা যেরূপ মুদে ও জামিনে নিজেদের স্বদেশীদিগকে টাকা ধার দেয়, অামাদিগকে সেরূপ স্বদে ও জামিনে টাকা ত দেয়ই না, অনেক সময় তদপেক্ষ ভাল জামিনেও কিম্বা মোটেই দেয় না। গবর্ণমেণ্টের আমুকুল্যে প্রবৃদ্ধিসম্পন্ন ও পরিচালিত ইস্পীরিয়্যাল ব্যাঙ্কের কার্য্যনীতিও এইরূপ। জাপানে কৃষি শিল্প ও বাণিজ্যের উন্নতির জন্য তথাকার গবর্ণমেণ্ট, ব্যাঙ্ক, স্থাপন বিষয়ে সচেষ্ট হইয়াছিলেন, কারণ সেটা জাপানী গবর্ণমেণ্টের স্বদেশ । সাক্ষাৎভাবে কৃষি-শিল্প-বাণিজ্য শিক্ষা দিয়া, তদ্বিষয়ে নানা অনুসন্ধান গবেষণা ও পরীক্ষা করিয়া, জনসাধারণের আয়ু বৃদ্ধি করিবার চেষ্টা সব স্বাধীন দেশেই হইয়া থাকে । ভারতে “পিত্তিরক্ষণ’র জন্য কিছু হয় ; যথেষ্ট কিছু ट्ध्न मां । এইসমুদয় বিষয়ে যতদিন পর্য্যস্ত বিদেশী গবর্ণমেণ্টের কর্তৃত্ব থাকিবে, ততদিন আবশুক-মত টাকা খরচ হইবে ন, উন্নতিও হইবে না। গবর্ণমেণ্টের তরফের যুক্তি এইসকল বিষয়ে বর্তমান ব্যবস্থা বজায় রাখিবার জুহু সরকার-পক্ষের লোকেরা যাহা বলিয়া थोप्क्न, उाश्। শুনিতে মন্দ নয়। দু'একটা দৃষ্টান্ত দিতেছি। যুদ্ধবিভাগ সম্বন্ধে তাহারা বলেন-যুদ্ধবিভাগের কাজকৰ্ম্ম বুঝিবার ও চালাইবার মত ভারতীয় লোক নাই ; প্রধান সেনাপতি হইবার মত লোকের কথা দূরে থাক, লেফটেন্যান্ট, কাপ্তেন, মেজর, কর্ণেল হইবার মত লোকও নাই ; ইত্যাদি । কিন্তু চিরকাল দেশের এই দুর্দশা ছিল না। এই দুর্দশ। ইংরেজের কৃত । খুব প্রাচীনকালের কথা বলিবার দরকার নাই । শিবাজী,