পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

) નવm لين عيسیمحمید حسمينهعمحمعه ده ভূমিকম্প প্রভৃতি দ্বারা বিপন্ন ভারতীয় মুসলমানদের সেবার কার্য্যট। প্রায় সৰ্ব্বাংশে হিন্দু ও অন্যান্ত অমুসলমানদের হাতে না ফেলিয়া দিয়া, ইহঁরা যেন তুর্ক, মুসলমানদের ব্যথার সমান সমান করিয়াও স্বদেশী মুসলমানদের ব্যথায় ব্যথিত হন। চাকরী, প্রতিনিধি নির্বাচনের অধিকার, প্ৰভৃতির ভাগ-বাটোয়ারীর কথা উঠিলে স্বধৰ্ম্মীর স্ববিধামত মীমাংসা করিবার বেলাই কেবল আজকাল তাহারা আপনাদিগকে একটি ভিন্ন সম্প্রদায় বলিয়া মনে করেন ; নিজ সম্প্রদায়ের প্রতি কৰ্ত্তব্য পালনের সময় সে কথা মনে থাকে না । তুর্ক রেড, ক্রেসেন্ট মিশন ইতিমধ্যেই ভারতবর্ষ হইতে নব্বই হাজার টাকা স্বদেশে পাঠাইয়াছেন। দান অবশু বাণিজ্য নহে ; তথাপি জানিতে ইচ্ছা হয়, তুরস্ক হইতে কখনও এক টাকারও দান ভারতের বিপন্ন মুসলমানদের জন্য আসিয়াছিল কি না। কয়লার খনিতে বেকারদের জন্য কাজ ‘ক্যাথলিক হেরাল্ড অব ইণ্ডিয়া পত্র বলেন 'কলিকাতা হইতে যে আশী জন অ্যাংলোইণ্ডিয়ানকে কয়লার খনিতে কাজ করিতে পাঠানো হয়, তাহার মধ্যে মাত্র চার-পাচ জন পুরুষের মত শেষ পর্য্যস্ত কাজে লাগিয়া ছিলেন এবং এখন তাহারা তাহদের অধ্যবসায়ের ফল ভোগ করিতেছেন। কাজটি শক্ত, কিন্তু ইহাতে পরিশ্রমের উপযুক্ত মূল্য পাওয়া যায়, স্বতরাং বলিষ্ঠদেহ অ্যাংলোইণ্ডিয়ানদের কাছে লোভনীয় হইবার কথা। আসানসোলের খনি হইতে কয়লার বালতি বোঝাই করিয়া সত্য সত্যই পঞ্জাবীর মাসে দুই শত হইতে তিন শত টাকা এবং ইংরেজের পাঁচ শত টাকা করিয়া রোজ গার করিতেছে। প্রথমবারে বাছাই ভাল হয় নাই বলিয়া রোজ গারের এই পথটি বন্ধ করিয়া দিলে দুঃখের বিষয় হুইবে ।’ ভদ্রলোক শ্রেণীর এমন সাহসী সহিষ্ণু ও শ্রমের মৰ্য্যাদায় বিশ্বাসী বাঙ্গালী যুবক কি নাই যাহারা এইরূপ সৎকার্ধ্যের দ্বারা অর্থ উপার্জনের কথা ভাবিতে পারেন ? fংবিধ প্রসঙ্গ-ভারতের অtয় ব্যয় বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা

  • - AMAeM AeeAMSAMBAeAeeMAeAAAS AMMAMMMMAMAMMMMMS ._حمیدs

Ե Ֆծ يهيمنعيمي معمسييه معه ভারতের আয়ব্যয় বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা ভারতবর্ষের মোট সয়ুকারী আয়ের অধিকাংশ যুদ্ধ: বিভাগের জন্য ব্যয় করা কিরূপ, তাই বুঝাইবার জন্ত আমরা পূৰ্ব্বে পূৰ্ব্বে গবর্ণমেণ্ট কে এক গৃহস্থের সহিত তুলনা করিতাম। গৃহস্থের জায় ১•• ২ টাকা। কিন্তু, তিনি চৌরভাকাতের ভয়ে অথবা কল্পিত ভয়ে কিম্বা ভয়ের ভাণে চৌকিদার লাঠিয়াল রাখেন ৬২২ টাকা বেতনে । বাকী আটত্রিশ টাকায় খাজানা আদায়, সস্তানদের শিক্ষা, স্বাস্থ্যরক্ষা ও চিকিৎসা, নিজের ভরণপোষণ প্রভৃতি করিতে হয় । ইহাতে সেই গৃহস্থের অবস্থা কিরূপ হইবে, সহজেই অল্পমেয়। বিদেশী ভারত-গবর্ণমেণ্টের অবস্থা এই গৃহস্থের মত। প্রভেদ এই, যে, এই কল্পিত গৃহস্থটি সত্য সত্যই তাহার সন্তানদের পিতা ; কিন্তু বিদেশী ভারত-গবর্ণমেণ্ট ভারতীয় প্রজাদের মা-বাপ নহেন ৷ আমরা উপরে যে চোরভাকাতের ভয়ের কথা লিখিয়াছি, তাহার মধ্যে উহ্য তুলনাট সম্পূর্ণ সত্য নহে। বিদেশী ভারত-গবর্ণমেণ্ট বাস্তবিক কেবল পরদেশী শুক্রর আক্রমণ হইতে দেশ রক্ষার জন্তই সৈন্ত পোষণ করেন না, পাছে আমরা নিজেই নিজের দেশ আক্রমণ" করিয়া স্বদেশের মালিক হইয়া বসি, বর্তমানে-প্ৰভু ইংরেজের এই ভয়টাও কম প্রবল নহে। যাহা হউক, ইহাও অবাস্তর কথা। আমাদের প্রধান বক্তব্য বলি । ভারতের সরকারী আয় এখন যাহ’, তাহার অধিকাংশ যদি যুদ্ধবিভাগের জন্য ব্যয়িত না হইয়া অল্প অংশ সামরিক উদ্দেশ্যে খরচ হইত, এবং বাকী সমস্ত জাতীয় উন্নতির জন্য খরচ করা হইত, তাহা হইলে তাহাও ভারতবর্ধকে অন্য সব সভ্য দেশের সমতুল্য করিবার পক্ষে যথেষ্ট হইত না । ঐসব দেশ শিক্ষার স্বাস্থ্যের কৃষিশিল্পবাণিজ্যের উন্নতির জন্ত জনপ্রতি যত খরচ করে, আমাদিগকে তদপেক্ষা বেশী খরচ প্রথম প্রথম করিতে হইবে ; কারণ আমরা পশ্চাতে পড়িয়া আছি । কিন্তু আমাদের আয়ু না বাড়িলে আমরা খরচ বাড়াইতে পারি না, এবং আমাদের নিকট হইতে অধিকতর ট্যাক্স, পাইয় গবর্ণমেণ্টও খরচ বাড়াইতে পারেন না।