পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

હર્ક નરષr ] পিয়াদ প্রভৃতি অল্প বেতনের লোকদের জন্য কেন সরকারী ব্যয়ে মশারির ব্যবস্থা হইল না, তাহাও জিজ্ঞাস্ত বটে। কিন্তু উত্তর সহজেই অঙ্গুমেয়। ব্রিটিশ শান্তি ব্রিটিশ জাতি কেন ন্যায়সঙ্গত ভাবে ভারতবর্ষে রাজত্ব করিতে অধিকারী, তাহার এই একটা প্রধান কারণ প্রদর্শিত হইয়া থাকে, যে, ব্রিটিশ শক্তি ভারতে শাস্তি স্থাপন করিয়াছে। এই শাস্তির নাম লাটিন ভাষায় প্যাক্স, ব্রিটানিক দেওয়া হইয়াছে। ইহার মানে ব্রিটানিক শান্তি । সাধারণ শাস্তি হইতে ইহার পার্থক্য আছে। তাহ বুঝিতে পারিলেই, যে-সৈন্যদল ও পুলিশের সাহায্যে এই শাস্তি রক্ষিত হয়, তাহাদের আদর কেন সৰ্ব্বাপেক্ষ বেশী বুঝ। যাইবে । শান্তি মানে আমরা বুঝি এই, যে, মানুষ নিরুদ্বেগে আরামে থাকিবে । মাহুষের উদ্বেগ ও দুঃখ নানা কারণে হয় । ম্যালেরিয়াতে, ইনফ্লুয়েঞ্জায় ও অন্যান্য রোগে লক্ষ লক্ষ মানুষ মরে ; যাহারা ব্যাধি আক্রমণের পর বঁচিয়া থাকে, তাহারাও আরোগ্যলাভের পূৰ্ব্বে অনেক কষ্ট পায়, এবং পরেও দুৰ্ব্বল হইয় থাকে। মানুষ মরিয়া যাওয়ায় উপার্জনের পথ বন্ধ হয়, চিকিৎসাতে অনেক টাকা খরচ হয়, দুৰ্ব্বল মানুষ তেমন রোজ গীর করিতে পারে না যেমন সে সবল অবস্থায় পারে । সুতরাং দেশে নানা ব্যাধির প্রাদুর্ভাবে আর্থিক ক্ষতিও হয়। এইসব কারণে, লোকে, দেশের স্বাস্থ্যের অবস্থা ভাল নহে বলিয়া, অশাস্তিতে কাল যাপন করে। কিন্তু এই অশাস্তি দূর করিয়া শাস্তি স্থাপন, অর্থাৎ দেশের স্বাস্থ্যরক্ষার ও চিকিৎসার ব্যবস্থা ভাল বরিয়া অকালমৃত্যু ও আর্থিক ক্ষতি নিবারণ দ্বারা মানুষকে শাস্তি দেওয়ার নাম প্যাক্স, ব্রিটানিক ব। ব্রিটিশ শাস্তি নহে। রোগে দু দশ লাখ লোকের মৃত্যু ও কোটি লোকের দুৰ্ব্বলতা এবং বহু কোটি টাকার ক্ষতি দ্বারা যে অশাস্তি হয়, তাহ দূর করা ব্রিটানিক্‌ শান্তি নয়। দেশে যে কয়েক শত খুনজখম হয় এবং দাঙ্গা-হাঙ্গামায় যাহা কিছু খুনজখম হয়, তাহা হইয়া যাইবার পর পুলিশ গিয়া যে বীরত্ব প্রদর্শন করে, তাহার নাম ব্রিটানিক শাস্তি স্থাপন। চুরি ডাকাতিতে যে কয়েক লক্ষ টাকা অপহৃত হয়, তাহা হইয়া যাইবার পর চোর দস্থ্য বা চোর দস্থ্য বলিয়া ধৃত লোকদিগকে শাস্তি দেওয়ার নাম ব্রিটানিক শাস্তি স্থাপন । দেশে ব্রিটিশ শাস্তি স্থাপিত হইবার পুৰ্ব্বে ভারতে অনেক যুদ্ধ হইয়া গিয়াছে । তাহাতে যত লোক মরিয়াছে, এবং যত টাকার সম্পত্তি বিবিধ প্রসঙ্গ—বঙ্গে জল সরবরাহ AMAeMMMMAMMAeMMeMAMAMMAMAMMA SAAeAMAeMAMMAMAeMMeMAMMMMeM eM eeM eeM AeM AMAeMAMAMAM MeMMMeAMAeMSAAAA br\b6 লুট হইয়াছে, প্লেগ ম্যালেরিয়; ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রভৃতিতে ও দুর্ভিক্ষে তদপেক্ষা বেশী লোক মরিয়াছে, এবং আর্থিক ক্ষতিও তদপেক্ষ বেশী হইয়াছে । তাঁহাতে মামুষেব খুব অশান্তিও হইয়াছে। কিন্তু যে-সব ইংরেজ ও ভারতীয় চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যতত্ত্বঞ্জ এই অধিকতর জীবননাশ ও অধিকতর অর্থনাশ নিবারণের চেষ্টা করিয়া আসিতেছেন, তাহার। ব্রিটিশ শাস্তিস্থাপক নহেন। ব্রিটিশ শাস্তির প্রতিষ্ঠাতা তাহারা যাহাঁদের সম্পর্ক অল্পতর জীবননাশ ও অর্থনাশের সঠিত। এই লোকগুলিরই আদর বেশী। কারণ, তাহার। দেশটিকে ঠাণ্ড৷ রাখিয় ব্রিটিশ অর্থাৎ ব্রিটেনের অধিকারভুক্ত রাখে। যে-দেশ ব্রিটিশ অধিকারভুক্ত, তথাকার শাস্তিই ব্রিটিশ শান্তি । কোনো স্বাধীন দেশে খুব বেশী শাস্তি থt,ঞ্জতে পারে, ব্রিটিশ ভারতবর্য অপেক্ষা ও বেশী থাকিতে পারে , কিন্তু তাহা ব্রিটিশ শাস্তি নহে, কারণ সে দেশটাই যে ব্রিটিশ মহে অর্থাৎ ইংরেজের অধিকারভুক্ত নহে। বঙ্গে জল সরবরাহ সরকার পক্ষ হইতে প্রমাণ করিবার চেষ্ট হইয়াছে, যে, দেশে দেশে জল সরবরাহ করা গবর্ণমেণ্টের কাজ নহে । কোনটা উষ্ঠার কাজ, কোনটা নয়, সে-বিষয়ে কোন বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিভাগ নাই । সেকালের ভারতীয় রাজারা বহু জলাশয় কৃপ আদি খনন করাইয়াছিলেন। আধুনিক কালেও কোন কোন দেশী রাজ্যে বৃহৎ জলাশয় খনিত হইয়াছে । সাধারণতঃ যাহা রাজশক্তির কাজ নয়, বিশেষ কারণে ও অবস্থায় তাহা রাজকৰ্ত্তব্য হইয় উঠে। সাধারণতঃ মাকুযকে খাইতে দেওয়া রাজশক্তির কৰ্ত্তব্য নহে ; কিন্তু দুর্ভিক্ষের সময় কর্তব্য । তেমনি সাধারণত: জল জোগান সরকারী কাজ না হইলেও, অবস্থাবিশেষে উহা সরকারী কৰ্ত্তব্য । বঙ্গে সেই অবস্থা উপস্থিত হয় নাই, ইহা সৰ্ব্ববাদিসম্মত সিদ্ধান্ত নহে । আমাদের মনে হয়, ষে, শ্ৰীযুক্ত গুরুসদয় দত্ত যাঙ্গ বলিয়াছেন, তাহাতে, যতটুকু দরকার, তার চেয়ে বেশী প্রমাণ করা হইয়াছে। যদি জল সরবরাহ কর রাজশক্তির কাজই নয়, তাহা হইলে ৫০,০০০ টাকাই বা কেন দেওয়া হয় ? - আরও বেশী নাকি দেওয়া হইত, অর্থঙ্কচ্ছতা বশত: নাকি দেওয়া হয় নাই। এই সাধু ইচ্ছ। পোষণ করিবারই বা কি দরকার ছিল ? যাহা সরকারের কর্তব্য নহে, তাহার নিমিত্ত ৫০ ০০০ টাকার মত সামান্ত টাকাও অপব্যয় করা উচিত নয়। এই টাকায় লাটসাহেব ও তাহার পরিষদবর্গের মশারি কিনিয়া দিলে কেহ টু শব্দটি করিতে পারিত না।