পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৮৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

tు ఆS)

AAeSAeMSASMSAeeMSAMMMSASASMSAAAA দত্তমহাশয় দেশহিতৈষী, তাহা আমরা জানি । তিনি যাহা বলিয়াছেন, তাহার অনেক কথার সহিত আমরা একমত দেশে যত পুরাতন পুকুর আছে, তাহার পঙ্কোদ্ধার করাইয়ী জল বিশুদ্ধ রাখিবার ব্যবস্থা করিলে চলে জানি ; এবং ইহাও লজ্জার সহিত স্বীকার করিতেছি, যে, দেশের পুরুষ ও স্ত্রীলোকেরা, বিশেষত: স্ত্রীলাকেরা, অকথ্যভাবে জল দূষিত করে। কিন্তু আমাদের জ্ঞানাভাববশতঃ আমরা বুঝিতে পারিলাম না, যে, ডিট্রিক্ট বোড ও গ্রাম্য ইউনিয়নগুলি যে জল সরবরাহের জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা খরচ করে নাই বা করিতে পারে নাই, তাহার কারণ কি ? তাহারা কি অন্ত রকমে টাকা অপব্যয় করিয়াছে ? ন:ণহাদের উপর অর্পিত সমুদয় কাজ করিবার মত টাকা তাহাদের না থাকায় তাহারা কোনটাই ভাল করিয়া করিতে পারে নাই ? আমরা ঠিক বলিতে পারি না, কিন্তু আমাদের আকুমান এই, যে, দেশটাই গরীব হইয়া গিয়াছে ; এই কারণে ইহার ডিষ্ট্রিক্ট, বোর্ড, প্রভৃতির আয় যথেষ্ট নাই। দত্তমহাশয় ডিষ্ট্রিক্ট বোর্ড প্রভৃতির হাতের যে কয় লক্ষ টাকার কথা উল্লেখ করিয়াছেন, সমস্তই জল সরবরাহের জন্য খরচ করিলেও যথেষ্ট হইত না । কারণ তাহার নূ্যনতম আনুমানিক ব্যয় ৮ কোটি এবং অধিকতম একশত কোটি । কে অপব্যয় করে ? যখন গ্রাম্য ইউনিয়ন, ডিষ্ট্রিক্ট বোর্ড, বা প্রাদেশিক গবর্ণমেণ্ট, কাহারও হাতে যথেষ্ট টাকা নাই, তখন দেখা উচিত, কে সৰ্ব্বাপেক্ষা বেশী অপব্যয় করে। ভারতগবর্ণমেণ্ট এবিষয়ে সৰ্ব্বাপেক্ষ কৃতী, তাহার পর প্রাদেশিক গবর্ণমেণ্ট । ইহাদের অপব্যয় নিবারণ করিতে পারিলে জলের জন্য এক শত কোটি টাকা খরচ করাও অসাধ্য হয় না। যুদ্ধের সময় যে ১৫০ কোটি “স্বেচ্ছাকৃত দান” ভারতের নিকট হইতে আদায় করা হইয়াছিল, উহ। অপব্যয় । ইংলগু, অনেক হাজার কোটি টাকা যুদ্ধে ব্যয় করিয়াছেন নিজের স্বাধীনতা ও স্বার্থ রক্ষা এবং সাম্রাজ্য বৃদ্ধির জন্য ; গরীব ভারতের তুচ্ছ ১৫০ কোটি টাকা না লইলেও তাহার চলিত। উহা কেবল জগদ্বাসীর নিকট ভারতের ব্রিটিশরাজ-ভক্তি প্রমাণ করিবার জন্য লওয়া হইয়াছিল । রিভাস কেন্সিল বিলস দ্বারা যে ভারতবর্ষের ৩০।৩৫ কোটি টাকা লওয়া হইয়াছে, তাহারই বা ন্যায্যতা কি ? এইরকম আরো নানা অপব্যয় যদি ভারতগবর্ণমেণ্ট, না করিয়া এক-একটা প্রদেশের বিশেষ বিশেষ অডার দুর করিবার জন্য বিশ পঞ্চাশ কোটি টাকা মঞ্জুর প্রবাসী—চৈত্র, ১৩৩• AMAMMMMMA AMMMAM eeAMAMAMAMAAAA 曼 [ २७° छाँगं, २ग्न थ७ করিতেন তাহ! সদ্ব্যয় হইত, এবং তাহা সাধ্যাতীত হইত না।

  • .

s s s বাংলা দেশের দাবী বাংলা দেশের লোকদিগকে বাধ্য হইয়া ভিখারী সাজিতে হইয়াছে । কিন্তু আমরা যা চাই, উহ। আমাদের ন্যায্য পাওনা। দু একটা দৃষ্টান্ত দি । পাট বাংলার একটা প্রধান উৎপন্ন দ্রব্য। উহা প্রস্তুত করিবার জন্য বাংলার বহু জেলার জল পাট পচাইয়া মানুষের অব্যবহার্য্য করা হয় । অথচ উহ হইতে সরকারী যে আয় হয়, তাহ বাংলা পায় না, ভারত-গবর্ণমেণ্ট, গ্রাস করেন । বাংলা দেশ যদি বলে, আমাদের জল নষ্ট করিয়া আমরা পাট তৈয়ার করি, অতএব ভাল জলের জন্য আমাদিগকে ঐ টাকা দাও, তাহ! কি অন্তায় ? টাকাটাও বড় কম নয়। শুধু ১৯২০-২১ সালেই পাটের রপ্তানী-শুল্ক হইতে ৩,২১,১২,৬২৮ টাকা সরকারী আয় হইয়াছিল। এইরকম তিন বৎসরের টাকা দিলেই ত গ্রামে গ্রামে একটা কুপ বা পুষ্করিণী হইতে পারিত। ইহার উপর চাল ও চায়ের রপ্তানী-শুল্ক আছে। তাহারও কিছু অংশ বাংলার পাওনা । বাংলা দেশ হইতে ইন্‌কম্ ট্যাক্স ১৯২০-২১ সালেই ৮,৩৯,৭৫,২৯১ টাকা আদায় হইয়াছিল। তাহার আগের বৎসর সাড়ে নয় কোটি টাকার উপর আদায় হইয়াছিল। এই প্রভূত আয়ের কোন অংশ বাংলা পায় না । ইহা কি গুণয়সঙ্গত ? প্রাদেশিক গবর্ণমেণ্টের কোন কোন ট্যাক্সের আয় ভারত-গবর্ণমেণ্ট লইবেন, তাহার ব্যবস্থা লর্ড মেস্টন করেন । ইহার নাম মেস্টন সেট্লমেণ্ট । ইহা এমন ভাবে করা হইয়াছে, যে, যদিও বঙ্গে সব প্রদেশের চেয়ে বেশী রাজস্ব আদায় হয়, তথাপি এখানেই প্রাদেশিক গবর্ণমেণ্টের জনপ্রতি খরচ করিবার ক্ষমতা সকলের চেয়ে কম। এইজন্য বাংলা-গবর্ণমেণ্ট পর্য্যস্ত মেস্টন্‌ সেট্লমেণ্ট কে বেবমানী ব্যবস্থা বা ইনিকুইটাস সেট্লমেন্ট বলিতে বাধ্য হইয়াছেন। অবশ্ব একথা সত্য, যে, বাংলা দেশে ইংরেজেরই কৃত ভূমির রাজস্বের চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত থাকায়, এই প্রদেশে ভূমির রাজস্ব অন্য বড় বড় প্রদেশ অপেক্ষা কম। তজ্জন্য, আদায়াদি খরচ বাদে কোন কোন প্রদেশ হইতে তাহার বর্গফল ও লোকসংখ্যা অনুসারে ভারত-গবর্ণমেণ্ট, কত পান, তাহ স্থির করিয়া, বাংলা হইতে যে পরিমাণ কম পান, তাহা বাংলার অন্য আয় হইতে লইতে পারেন।