১ম সংখ্যা ] AAAAAA AAAA AAAA AAAAMAAA AAAA AAAA SAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS ফেরৎ চাই না, বুদ্ধি ফেরৎ চাই । যদি তোমরা পয়সা ফিরিয়ে নিতে চাও তা হ’লে এত লোকের সামনে একখানা কাগজে নিজের হাতে লিখে দিতে হবে, যে, ও আমার বুদ্ধি শুনে কখনও চলবে না। যেখানে ঝগড় হবে, সেইখানেই দাড়িয়ে দেখ বে।” চার পাশে যারা ভিড় করেছিল, তারা সবাই তার কথায় সায় দিলে । কাজেকাজেই ধতুৰ্দ্ধর একখানা কাগজে, যেমন বল হ'ল, তেমনি লিগে নাম সই ক'রে দিলেন । তার পর দুটে পয়সা হাতে পেয়ে মনে করলেন, খুব সহজে কাজ হাসিল করা গেল । পরের দিন সকালবেলা, সেই দেশের রাজার দুই রাণী, দুই সখীকে বাজারে পাঠিয়েছেন আতরের নমুন। আনতে । দুই সখী এক দোকানে এসে উঠল । দুজনে দু শিশি আতর দেখতে চাইলে । দোকানীর কাছে তপন একটিমাত্র শিশি ছিল । কাজেই কে সেট নিয়ে যাবে এই নিয়ে ঝগড়া বেধে গেল । সেই সময়ে গোবরগণেশ সেখানে এসে পড়েছে, আর দূর থেকে কুলপ্রদীপকে দেখতে পেয়ে সে পালিয়ে যাবে মনে করেছিল, কিন্তু আর প{লাবার উপায় নেই! দাড়িয়ে দাড়িয়ে দেখতে লাগল । গোবরগণেশকে একল সামনে পেয়ে রাণীর সখীর দুজনেই তাকে সাক্ষী মেনে বসল। তার পব তার বাড়ী গিয়ে দুই রাণীর কাছে পরস্পরের নামে নালিশ করলে, আর প্রত্যেকেই বললে, তার যে কোন দোষ নেই একটি ছেলে তার সাক্ষী আছে। রাজার কাছে তাদের বিচারের জন্যে পাঠিয়ে দিয়ে দুই রাণী গোবরগণেশকে বলে পাঠালেন যে অপরের সধীর হয়ে কোন কথা বললে তার মাথাটি কাটা যাবে ! গোবরগণেশ ভয় পেয়ে তার বাপের কাছে গিয়ে সব কথা খুলে বললে। তিনি সমস্ত দিন সমস্ত রাত্রি ভেবেও কোন উপায় বার করতে পারলেন না। তখন স্থির হ’ল সেই বুদ্ধিওয়ালার কাছে যাওয়৷ যাক, সে যদি কিছু বুদ্ধি দেয় । তার পর দুজনে কুলপ্রদীপের কাছে যেতেই সে চেয়ে বসূল পাচশো টাকা। প্রাণের দায়ে ধতুৰ্দ্ধর তাকে তাই দিলেন। টাকা হাতে নিয়ে সে বললে, রাজার কাছে ছেলেদের পাততাড়ি–কুল-প্রদীপ SAMMA AMMe eMMeA AMMA AMAeMAMAMAMMAAA AAAA AAAAM MAM MA MA AMA MM AeM AAAA AAAA SAAA AAAA AAAA AAAAA b-> গিয়ে একটি কথার ও জবাব লিও না, কেবল পাগলের ভাণ করবে।” রাজসভায় গিয়ে গোবরগণেশ তাই করলে। যা জিজ্ঞেস করা হয় তার কিছু জবাব দেয় না, শেষটা ঘোড়ার ডাক, কুকুরের ডাক ডাকৃতে আরম্ভ কবুলে। রাজা তখন চ'টে গিয়ে বললেন, “দাও ওটাকে রাস্তায় বার ক’রে !" রাস্তায় না বেরিয়ে গোবরগণেশ চোচ। দৌড় দিলে । দিন কতক যায । একদিন ধতুৰ্দ্ধবের ভয় হ’ল, রাজা যদি কোন স্থত্রে জানতে পারেন, যে গোববগণেশ সত্যি সত্যি পাগল নয়, ত। হ’লে ত তাঁর ভয়ানক শাস্তি হবে । এর প্রতিকার কি, জানতে গেল বুদ্ধির দোকানে । কুল-প্রদীপ বললে, “পঞ্চাশ টকা ন নিবে ত কইব না !” তাই দিতে, বললে, “রাজার মেজাজ যখন ভালে। থাকবে, তখন গিযে সব কথা খুলে’ ব’লে মাপ চাইলেই হবে ।” গোবরগণেশ একদিন তাই করলে । রাজ। ত ব্যাপা বট। শুনে ভারি খুসি হলেন । তিনি তখনি কুলপ্রদীপের কাছে লোক পাঠিয়ে খবর দিলেন, “আমাকে একটা বুদ্ধি দাও, যা দাম লাগে, দেব ।” কুলপ্রদীপ বলে পাঠালে, “আপনাকে একটি খুব ভাল বুদ্ধি দেব, তাব দাম বেশী নয়, একহাজার টাকা ।” রাজা কুলপ্রদীপের কথা সব শুনেই বুঝেছিলেন, ছেলেটির বুদ্ধি বড় কম নয়। তাই তাকে একহাজাব টাকাই দিলেন। কুলপ্রদীপ শুধু এই কথাটি লিখে দিলে, “খাবার আগে দেখে নেওয়া উচিত।” কথাটি খুব সুন্দর সমস্ত থাবাব পাত্রে ঐটি লিখিয়ে রাখলেন। দিনকতক পরে হঠাৎ একদিন তার খুব অস্থখ হ'ল । মন্ত্রী তাকে মেরে ফেলবার মংলব ক’রে কবিরাজকে ব’লে ওষুধের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে দিলে । সোনার বাটিতে সেই ওষুধটা ঢেলে রাজার হাতে যখন তুলে দেওয়া হ'ল, তখন তার নজরে পড়ল সেই লেখাটি,-“খাবার আগে দেখে নেওয়া উচিত । কথ{
পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।