পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

سراون مb প্রবাসী—চৈত্র, OLLO [ ૨૭ન જાન, રસિંહ AAAA ASASASA AAAMMAMSAS SSAS SSASAMJJJAMMSAAMJAAASA SAASAASSJSMSJJJSAJ به احتمبر ۷-امیر اہم عمر -്ക്കു_ബ് ہسبیلہ صبر_x- یہ x-سیم ہم.محہم ہوتی۔ تمہـی ۶-بید. নাই, এবং কলিকাতায় যে দুই বৈজ্ঞানিক পরীক্ষামন্দিরে গবেষণা-কাৰ্য্য করিয়া থাকেন, তাহার কোনটিতেই যন্ত্র ও অন্যান্ত সরঞ্জাম যথেষ্ট নাই ।

to বাধাপ্রদান নীতি বিলাতী পালেমেণ্টে এবং অন্তান্ত দেশের ব্যবস্থাপক সভায় যখন কোন দলের রাজনৈতিকগণ নিজেদের প্রস্তাব আদর্শ মত বা বাঞ্ছ। অনুসারে গবর্ণমেণ্ট কে কোন আইন প্রণয়ন বা কাজ করাইতে কিম্বা ঈপিান্ত কোন অধিকার লাভ করিতে পারেন না, তখন র্তাহার। গবর্ণমেণ্টের সমুদয় প্রস্তাবে আইনে কাজে অমত প্রকাশ করিয়া বাধা দি"াকেন। ইহা ইতিহাসে স্বপরিচিত নীতি— স্তে a আমাদের কথা শুনিবে না, আমরাও তোমাদের কথা শুনিব না । ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভায় এবং প্রাদেশিক ব্যবস্থাপক সভাগুলিতে স্বরাজ্যদলের প্রতিনিধিগণ এবং অন্ত কোন কোন প্রতিনিধি এই নীতি অবলম্বন করিয়াছেন। তাহাতে গবর্ণমেণ্ট, ইতিমধ্যে অনেকবার ভোটে পরাজিত হইয়াছেন । বাধাদান-নীতি সভ্যদেশের ব্যবস্থাপক সভাসমূহের ইতিহাসে স্বপরিচিত হইলেও কিন্তু এংলোইণ্ডিয়ান এবং কোন কোন দেশী কাগজ এমন ভাবে মন্তব্য প্রকাশ করিতেছেন, যেন এটা একটা অশ্রুতপূৰ্ব্ব গহিত কাজ । কেহ কেহ বলিতেছেন, ইহাতে আমাদের ভয়ঙ্কর ক্ষতি হইবে-ব্রিটিশ রাজশক্তি ভারতশাসনপ্রণালীর যে সংস্কার করিয়াছেন, তাহা প্রত্যাহৃত হইবে । আমাদের সে আশঙ্কা নাই । ইংরেজ জাতি পৃথিবীর লোককে দেখাইতে চায়, যে, তাহারা ভারতবর্ষকে তাহার অধিবাসীদের সম্মতি অনুসারে শাসন করিতেছে, শাক্ত শাসন জবরদস্তী স্বারা চালাইতেছে না । এইজন্য স্বাধীন দেশে ষের ব্যবস্থাপক সভা আছে, তাহার নকল মেকি ব্যবস্থাপক সভা ভারতে প্রৰ্ত্তিত হইয়াছে। বাধাদাননীতি অমুস্থত হওয়ায় ইংরেজ চটিয়া-মটিয়া হঠাৎ নিজের মুখোস খুলিয়া জগতের সম্মুখে স্ব-ইচ্ছাচারী শাসক বলিয়া পরিচিত হইতে চাহিবে, ইহা বিশ্বাসযোগ্য নহে। রাজনৈতিক কপটাচরণে অভ্যস্ত লোকদের অত সহজে চটিয়া কাজ করিলে চলে না । সরকারী কাজও অচল হইবার সম্ভাবনা নাই । গবর্ণর জেনারেল ও প্রাদেশিক গবর্ণবৃদিগকে ভারতশাসন আইনে যথেষ্ট ক্ষমতা দেওয়া আছে। তাহারা সেই ক্ষমতার প্রয়োগ করিয়া বজেটের যে-সব বরাদ ব্যবস্থাপক সভায় নামঞ্জুর হইতেছে, তাহা মজুর করিয়া দিবেন। এই প্রকারে কিছু দিন কাজ চলিবে । শেষ ফল কি হইবে, সে-বিষয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করা অসম্ভব নহে ; কিন্তু কখন সেই শেষ ফল ফলিবে, বলা সম্ভব নহে । আমরা জাতীয় আত্মকর্তৃত্ব লাভ করিবই, তাহাতে সন্দেহ নাই ; কিন্তু কখন করিব, তাছার তারিখ ফেলিবার সাধ্য কণহারও নাই । আপাততঃ শাসনকৰ্ত্তারা আইনপ্রদত্ত ক্ষমতার দ্বারা কাজ চালাইবেন । ইতিমধ্যে বিলাতী মন্ত্রীসভা অবস্থা পৰ্য্যালোচনা করিয়া ব্যবস্থা করিবার নিমিত্ত যে কমিটী নিয়োগ করিয়াছেন, র্তাহারা সম্ভবতঃ কোন কোন দিকে ভারতশাসনসংস্কার আইনের পরিবর্তনের প্রস্তাব করিবেন । যদি সেই প্রস্তাবগুলি ভারতীয়দের ইচ্ছাকুরূপ হয় এবং তদমুসারে আইন পরিবর্তিত হয়, তাহা হইলে ভালই। নতুবা জাতীয়আত্মকর্তৃত্বলিপ্ত, প্রতিনিধিদিগকে ৰাধাদান নীতি অনুসারে কাজ করিতে থাকিতে হইবে। তাহার উত্তরে শাসনকৰ্ত্তারা আইনপ্রদত্ত ক্ষমতার বলে টাকা মঞ্জুর করিয়া কাজ চালাইবার চেষ্টা করিবেন । তখন বাধাপ্রদাতাদিগকে নিজ উদ্দেশ্য সিদ্ধির নিমিত্ত ট্যাক্স না দেওয়ার প্রচেষ্টা প্রবর্তিত করিতে হইবে। যদি দেশের লোক তঁহিীদের নেতৃত্বে ট্যাক্স দেওয়া বন্ধ করে, তাহ। হইলে গবৰ্ণমেণ্ট, সম্পত্তি ক্রোকৃ ও নিলাম প্রভৃতি নানা উপায়ে ট্যাক্স আদায়ের চেষ্টা করিবেন। এই প্রকারে সৰ্ব্বস্বাস্ত হইলেও, প্রাণ গেলেও, ট্যাক্স দিব না, শান্তভাবে ' দৃঢ়তার সহিত এই পণ রক্ষা করিতে পারিলে দেশের জিত অবশ্যম্ভাবী । ইহার পর আমরা লিখিতে যাইতেছিলাম, যে ট্যাক্স আদায় উপলক্ষে মারপিট দাঙ্গাহাঙ্গামা শাস্তিভঙ্গ খুনজখম হইবার সম্ভাবন, এবং তাছার ফলে “সামরিক আইন” প্রবর্তন ও কিছুকাল ভীষণ শাক্ত শাসনের প্রচলনের সম্ভাবনা আছে ; কিন্তু দেশের লোক সে অবস্থাতেও দৃঢ় থাকিলে লোকমত জয়ী হইৰেই হইবে,...... এমন সময় কাগজে দেখিলাম, স্বরাজ্য দল ও স্বাঞ্জাতিক (nationlist) দল বাধাদান-নীতি ত্যাগ করিয়া, আগেকার স্বাধীনচেতা মডারেটু প্রতিনিধিদের মত, বজেটের প্রত্যেক বরাদ সম্বন্ধে ভাল মন বিচার করিয়া অমুকুল বা প্রতিকূল ভোট দিবেন। কি কারণে হাঁদের এই নীতি ও মতি পরিবর্তন ঘটিয়াছে, বলিতে পারি না । পণ্ডিত মোতীলাল নেহরু যে কারণ দেখাইয়াছেন, তাহ যথেষ্ট বলিয়া মনে হইতেছে না । অপব্যয়ের জন্য বরাদে ত সম্মত হইবই না, ভাল কাজের জন্য টাকার বরাদেও স্মতি দিব না, এইপ্রকার উভয়মুখী বাধায় ধৰ্ম্মবুদ্ধি সাধারণতঃ সায় দেয় না। কিন্তু যদি কাহারও ধারণ এইরূপ হয়, যে, গবর্ণমেণ্ট কতকগুলা দেশহিতকর কাজে কিছু টাকা খরচ করেন কেবল নিজেদের