পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

و هوا SAASAASAASAAMMeM ASASASA AAA AAAAM খলিফাকে, তিনি আগে রাজা ছিলেন বলিয়া, পদচ্যুত করিবার কারণ বুঝা গেল, কিন্তু রাজবংশের নহেন এমন কোন ধাৰ্ম্মিক মুসলমানকে তুর্কের কেন খলিফা নিৰ্ব্বাচন করিলেন না । ইহার কারণ আমরা অমুসলমান হইলেও কতকটা অনুমান করিতে পারি। খিলাফং সম্বন্ধে মুসলমানের আগে আগে যাহা বলিয়াছেন ও এখনও বগিতেছেন, তাছাতে এই ধারণা হয়, যে, খলিফা কেবল ধৰ্ম্মনেতা..ইলে চলিবে না, মুসলমান তীর্থাদি সম্বন্ধে তাহার কীৰ্ত্তব্য সম্পাদন জন্য র্তাহার পার্থিব ক্ষমতা সৈন্যদল ধনসম্পত্তিও থাকা দরকার। কিন্তু সাধারণতন্ত্রের এলাকায় এইরূপ পার্থিবশক্তিশালী কাহারও অস্তিত্বের সহিত গণসুবু সামঞ্জস্য ও সঙ্গতি রক্ষিত হইতে পারে না। এইরূ":ক্তশালী ব্যক্তির শক্তির সীমা নির্দেশও কঠিন, এ* উনি যে ঐ শক্তি বাড়াইয়৷ সাধারণতন্ত্রকে বিপৰ্য্যস্ত রিও চাহিবেন না ও পরিবেন না, সে বিষয়েষ্ট বা কেমন করিয়া নিশ্চিন্ত হওয়া যায় ? মানুষের মনের উপর ধৰ্ম্মের প্রভাব খুব বেশী। ধৰ্ম্মনেতা খলিফা পার্থিব উদ্দেশ্বে বহু অনুচর পাইবার চেষ্টা করিলে, সে চেষ্টা সফল হইবার সম্ভাবনা আছে । ইহা গেল আমাদের অম্বুমান । তুর্ক দেশপতি মুস্তাফ কমাল পাশ। যে টেলিগ্রাম ভারতীয় মুসলমানদিগকে পাঠাইয়াছেন, তাহাতে ইহা অপেক্ষা গভীর ও নিগূঢ় কথা বলিয়াছেন । তাহা আমরা ঠিক বুঝিতে পারিয়াছি কি না জানি না, কিন্তু যাহা বৃঝিয়াছি বলিতেছি । “ তিনি বলেন, খিলাফং মানেই গবর্ণমেণ্ট, বা বাষ্ট্র : তুরস্কের গবর্ণমেণ্ট ও রাষ্ট্র এখন সাধারণতন্ত্র । সুতরাং তদ্ভিন্ন আবার একটি খিলাফত পদের প্রয়োজন কি ? তুরস্ক-সাধারণতন্ত্রেব মধ্যে আলাদা একটি দিলাই ই পদ থাকায় তাহা তুরস্কের আভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক প ফ ব বিস্ত্র জন্মাইয়াছিল। এই কারণে খলিফাব পদই "াইয়া দেওয়া হইয়াছে । তা ছাড়া তিনি আরো বলিয়াছেন, যে, মুসলমানের খলিফাকে জগদ্ব্যাপী একটি মুসলমান রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি বা নেতা মনে করিয়া আসিতেছেন ; কিন্তু এই জগদ্ব্যাপী মসলেম রাষ্ট্র বা গবর্ণমেণ্ট কখন বাস্তবে পরিণত হয় নাই ; বরং ইহা মুসলমানদের মধ্যে অনেক "গড়া দ্বন্দ্ব ও কপটাচরণের কারণ হইয়াছে। অন্যদিকে, এই নীতিই কাৰ্য্যতঃ গৃহীত ও অমুস্থত হইয়া আসিতেছে, যে, প্রকৃত লোকহিতার্থ ভিন্ন ভিন্ন দেশের সামাজিক লোক সংঘ বা লোকসমষ্টি আপনাদিগকে এক একটি স্বাধীন রাষ্ট্র ও গবর্ণমেণ্টে, পরিণত করিতে অধিকারী। তিনি আরও বলেন, ভিন্ন ভিন্ন মুসলমান দেশের মধ্যে আধ্যাত্মিক ও প্রকৃত বন্ধনরজ্জ্ব, এবাসী—চৈত্র, ১৬৩৪ [ २७° छोग, २झ थ७ حصحصیه حصمیمی কোরান শরিফের “ইয়৷ মুল মোমিচুন্‌ ইখ।” এই বচনের অর্থে উহ্য রহি শছে। 4. তুষ্টঙ্কে । ফিং উঠাইয় দেওয়ায় মৌলানা শৌকৎ আলী,যে কুফলের আশঙ্কা করিয়াছেন, তাহ ইতিমধ্যেই কিয়ং পরিমাণে দেখা দিয়াছে । হেজাজ, ইরাকৃ ও ট্রান্স জোর্দানিয়ার মুসলমানের হেজাজের রাজা হোসেনকে খলিফার পদ প্রদান করিতে চাওয়ায় তিনি তাহা গ্রহণ করিয়াছেন। রয়টারের তীরে দেখা গেল, বে, প্যালেষ্টাইনের এক শত জন প্রতিনিধি ঐ দেশের মুসলমানদের পক্ষ হইতে র্তাহাকেই খিলাফৎ প্রদানেচ্ছু। এইসকলের মধ্যে কতটা ব্রিটিশ চা’ল আছে, বলা যায় না। কারণ, রাজা হোসেন ব্রিটিশ প্রভাবাধীন। মিশরের লোকেরা তাহদের দেশে খিলাফতের অধিষ্ঠানভূমি হয়, এইরূপ ইচ্ছা প্রকাশ করিয়াছে বলিয়া কাগজে দেখা গেল। এমন কথাও বাহির হইয়াছে, যে, মরক্কো তুরস্কখিলাফতের প্রভাবাধীন কথন ছিল না । কেহ কেহ হায়দরাবাদের নিজামকে খলিফা করিবার অসঙ্গত প্রস্তাব তুলিয়াছেন। মুসলমান বক্তা ও লেখকদের কথা হইতে আমরা এই বুঝিয়াছি, যে, যে স্বাধীন রাজ বা ব্যক্তির মসে মৃ তীর্থস্থানগুলি রক্ষার শক্তি নাই, তিনি খলিফা হইতে পারেন না । ভারতবর্ষের কোন মুসলমান নৃপতি স্বাধীন নহেন, এবং আরব প্যালেষ্টাইন বা অন্য বিদেশে তাহীদের কোন ক্ষমতা নাই । ভারতীয় মুসলমানের তুরস্কের মুসলমানদের প্রতি সৰ্ব্বদাই দরদ দেখাইয়। আদিতেছেন, এবং তাহাদের অনেক টাকাও তুরস্কে গিয়াছে। কিন্তু তুরস্ক টাকা লওয়া ছাড়া ভারতীয় মুসলমানদের কোন খাতির করিয়াছেন, ব। তাছাদের মতের ও মনের ভাবের প্রতি কায্যতঃ কোন শ্রদ্ধা দেখাইয়াছেন বলিয়া মনে হয় না । তাহার একট। কারণ, নব্য তুর্কের গোড়া মুসলমান নহেন, এবং তাহারা অনেকে নিখিল-তুরানীয় প্রচেষ্টার (Pan Turanian Movementএর ) সমর্থক । এই প্রচেষ্টার মূলীভূত একটি নীতি এই, যে, তুর্কের তুরানীয়, অতএব তাহাদের সভ্যতার বিকাশ আরবীয় ও পারসীক সভ্যতার প্রভাব হইতে নিমুক্তভাবে হওয়া উচিত। সমগ্র মুসলমান জগৎ যাহাকে খলিফা বলিয়া মানিৰেন, ভবিষ্যতে এমন কোন ব্যক্তি খলিফা হইবেন কি না, বলিতে পারি না। কিন্তু সেরূপ খলিফা নিৰ্ব্বাচন করিতে হইলে সকল মুসলমানপ্রধান দেশ ও প্রদেশ হইতে প্রতিনিধি নিৰ্ব্বাচন করিয়া একটি কংগ্রেসে বিষয়টির আলোচনা ও মীমাংসা করিতে হইবে ।