bペ তিনি ওষুধটার দিকে খানিকক্ষণ চেয়ে রইলেন । দেখে’ কবিরাজের ভয় হ'য়ে গেল। সে ভাবলে, ওষুধ খাবার সময়ে রাজ ত কোনদিন দেখেন না । আজ কেন দেখছেন ? তবে নিশ্চয় জানতে পেরেছেন । তথনি সে রাজার পায়ের উপর আছড়ে থেয়ে পড়ল। রাজা ত কিছুই বুঝতে পারলেন না । তাই প্রহরীকে দিয়ে মন্ত্রীকে তখনি ডকুতে পাঠালেন । মন্ত্রীর ত চক্ষু স্থির । বললে, “মহারাজ ত সবই টের পেযেছেন, আমাদের মাপ করুন!” রাজা তখনে কিছুই জানতে পারেননি, ক্রমে জের। ক'রে সব ঘটনাট যখন স্পষ্ট হ’যে উঠল, তখন বিষের পাত্রটা ছুড়ে ফেলে দিয়ে দুজনকে রাজ্য থেকে দূর করে তাড়িয়ে দিলেন। তার পর ? তার পব সেই বুদ্ধিমান ছেলে কুল-প্রদীপকে এনে মন্ত্রীর আসনে বসলেন । কুল-প্রদীপ অfর তার বাবা, গরীব ব্রহ্মণের সমস্ত দুঃখ চ'লে গেল । শ্ৰী প্রভাতকিরণ বস্থ সে এসেই জোড় চাত ক’রে ফুলের রেণু ফুলের মধ্যে নানাবর্ণেব ধূলার মত ফুলের রেণু থাকে। ফুলের প্রধান উদ্দেশ্য এই রেণু-ধারণ । গভকেশরের ভিতর ছোট ছোট অপরিপুষ্ট বীজ থাকে, রেণু বা পরাগ গর্ভকেশরে পড়িলে তবে বীজ জন্মে । বীজই বৃক্ষাদির বংশ-রক্ষক বা পিণ্ডদাতা। অবত অনেক গাছের বীজ জন্মে না, কলম করিয়া বা ‘ভেউড়’ দ্বার। তাহাদের বংশ রক্ষণ হয় । কোন কোন দেশে হিম ঋতু প্রায় ১২ মাসই থাকে, বরফও একেবারে গলিয়া যায় না, তথায় অনেক গাছ এইরূপে যুগযুগান্তর ধরিয়া বংশ-রক্ষা করিতেছে— যেমন সাইবেরিয়া দেশের তৃণবর্গ। আমাদের বঁশি বংশবর্গ কয়েক রকম তালীবর্গ, কয়েকপ্রকার কদলী এইরূপে বংশরক্ষা করিতেছে । কিন্তু প্রকৃতির উদ্দেশ্য বীজ দ্বারা বংশ-রক্ষা করা। অনেকেই বোধ হয় শুনিয়াছেন যে { ২৩শ ভাগ, ২য় খণ্ড বঁাশ-গাছে ৫০।৬০ বৎসর অন্তর ধানের মত বীজ হয় । অনেক তালী-শ্রেণীর জীবনে একবার মাত্র ফল হয় ও তাহার পরেই তাহার। মরিয়া যায়। কদলীরও বীজ হয় ও তাহাতে গাছও হইয় থাকে। তবে সৌখিন কলার বীজ হয় না বটে। মানব নিজেব সুবিধার জন্ত কত ফলকে যে বীজ শুন্য করিযাছে, তাহ প্রকৃতির বিরুদ্ধে সং গ্রাম করিয়া । সাধারণতঃ সকল লুক্ষেরই বীজ অবশ্যক ও বীজ জন্মিতে রেণুব আবশ্যক । সুতরাং রেণই ফুলের চরম লক্ষ্য । আবার পরাগ কীটেবও অতি উংকৃষ্ট খাদ্য। মৌমাছি কেবল মধু লুটিতে আসে না, রেণুর লোভ ও তাহাব কম নহে । ভ্রমর কেতকীফুলে পরাগের লোভে আসিয়া কিরূপ অন্ধ তযু প্রাচীন কবিগণ তাহার সুন্দব বর্ণনা করিয়াছেন । পুরাকালে বিলাসী রমণীগণ ফলের রেণু মুপে মাখিতেন, শস্যাম ছড়াইতেন ও তাঙ্গা দিয়া কেশ সংস্কার করিতেন। এখন যে ‘পাউডার’ দেপিতে পাই, তাম্বা ও ঐ রেণুর মত, ও তাঁহারই স্থলাভিষিক্ত । বিলাসীদের আর-একটি দ্রব্য জাফরান ফলের কেশর। একটি ফুলে অনেক রেণ জন্মিয় থাকে। ইহাদের মধ্যে মাত্র দুই একটির প্রয়োজন, বাকি সব মাঠে মারা যায়। পূৰ্ব্বে যখন পরাগ বায়ু দ্বারা গর্ভকেশরে আসিতে পাইত— এখনও এরূপ ফুল অনেক আছে—তখন পুষ্পের রেণু পৰ্য্যাপ্ত জন্মিত । কারণ অনেক রেণু বাতাসে উড়িতে উড়িতে কচিং দুই একটি গর্ভকেশরে পৌছিত। পরে যখন কীট রেণু বহন করিতে আরম্ভ করিল, তখন রেণুর অপব্যয় কমিয়া গেল, কারণ কীট কেবল ফুল হইতে ফুলেই বসিত, সুতরাং অল্প রেণুতেই কাজ হইতে লাগিল। গাছের ও সুবিধ হইল। পর্যাপ্ত রেণু হুজনে তাহার যে শক্তি লাগিত তাহা হইতে অনেকটা বর্ণ গন্ধ ও মধু এ স্তুত করিতে ব্যয় করিতে পারিল । আবার বায়ু-বাহিত রেণুগুলি ছোট হাল্কা ও শুষ্ক হয় এবং সহজে বাতাসে উড়িয়া বেড়ায়। অনেক সময়ে শুনিতে পাওয়া যায় অমুক স্থানে ‘চন্দন বৃষ্টি বা রক্তবৃষ্টি
পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।