পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] এ বেণীর জুড়ি নেই। রাজা মহাখুসি হ’য়ে সদাগরকে বখশিশ দিলেন—সোনার-পাতে-মোড়া মোতাতের এক নল ; আর তার সাথে 'চিয়েন’-এর এক পত্র, তার মানে চাও-সির শীগগির মরণ নেই। সদাগরের মাথার বেণী আড়াই হাত । সদাগরের বে। টিয়ানের পা দুখানি আড়াই আঙ্গুল ; রাজ্যের মধ্যে এমন সুন্দর পা আর নেই ?—রাণী আদর ক'রে টিয়ানকে ইনাম দিলেন—মুক্ত-ঝিনুকের তৈরী কচি পায়ের জুতো । সংসারে চাও-সি আর টিয়ানের কোন দুঃখ কষ্ট নেই, কিন্তু মনে ভারি আপশোষ—একমাত্র ঘরের ছেলে মাতুয হ'ল না! বেণী দূরে থাক, ছেলে টেকুর মাথায় টিকিটও নেই । তার উপর আবার সর্বনেশে কথা শোনো,— বলে কিনা, ষোল আঙল পা না হ’লে সে মেয়েকে বিয়ে করে কে ?...ছিঃ ছিঃ ! টেকু হ’ল কি ! সকলে বললে—দেশের শত্তর ...বেনেব পো, সময় থাকৃতে অমন ছেলেকে ত্যাজ্যপুস্তুর করে। পাড়াপাড়শী সায় দিলে—ঠিক কথা। ..আর, চাও তে, আমাদের ঘরের ছেলেকে পুষ্যিপুত্তর দিতেও আমরা রাজী। উঠানে দাড়িযে জ্ঞাতিকুটুম চ্যাচাতে লাগ ল— ‘তা তো যেন হ'ল । কিন্তু কুপুস্যি ছেলে যে বাপপিতাম'র আইন না মেনে দেশের মুখে কালী দিয়েচে, তার পেরচিত্তিরের কি ? দেশ যে রসাতলে যাবে,— চাও-সি, ভাল চাও তে। হারাকিরি করে । তুমিই ঘরের কত্তা, তোমারই এ পেরচিত্তির করতে হয়। পেটে ছোরা চালাতে ভয় হয় ত, নাও—এ রেশমী ফিতে, গলায় ফাশি দিয়ে কুলের কালী ঘুচোও । শুনে চাও-সির মহাচিন্ত!—সে কি ! তোবঙ্গে আমার রাজার নিজেব হাতের লেখা চিয়েন তার মানে শীগগির আমার মরণ নেই, আমি ম’রে কি রাজার অপমান করতে পারি ? ( R ) চাও-সি টিয়ানকে বললে—রাঙ বেী, তুমিও যে আমিও সে–শাস্তরেরই কথা । বাপ-পিতাম’র আইন ছেলেদের পাততাড়ি-চানে গল্প 〜へヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘイーヘへヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘヘ Ե (: ASA SSASAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS মানে ন-ছেলে, না দেশের শত্তর । ছেলের জন্যে দেশ ত রসাতলে যায় ! —এর পেরচিত্তির এখন হারাকিরি। কিন্তু তোরঙ্গে আমার রাজার নিজের হাতের লেখা 'চিয়েন্‌’, তার মানে শীগগির আমার মরণ নেই ; তুমিই এ রেশমী ফ্যশটি গলায় দিয়ে কুলের মান রাখে। আড়াই আঙুল কচি পা দুটি নাচিয়ে নাচিয়ে টিয়ান বললে—সে কি কথা ; পায়ে আমার রাণীর দেওয়া মুক্তোঝিঙ্গকের জুতো,—আমি মরলে এ জুতোর মান রাখে কে ? সদাগর বললে—ত ও তো বটে ...আচ্ছা, তবে দেখ, কোথায় আছে মালীর বেটা চৌ-চেী ; তারই গলায় রেশমী ফাশ দিয়ে বংশের ইজ্জত রাখা যাক। ( ৩ ) আফিং পেয়ে চৌ-চেী ঘরের কোণে ঝিমুচ্ছিল । টিয়ান তাকে জাগিয়ে তুললে , বললে—আহা, চৌ-চে, চিরদিনট থেটে পেটে থেটেই মরলে ! এখনও কি জিরোবে না ? মিট মিট ক’রে তাকিয়ে চৌ-চেী বললে—ম ঠাকুরুণ, জিরেন কি আর চাই নে, কিন্তু পাই কই ? কত্তা-মশা'র কড়ি হজম ক’বে বসে থাকৃবে, কার ঘাড়ে দুটো মাথা ! টিয়ান বললে—তাই তো বলি, বাছা,- এদিন শুধু ভূতের মতন খেটেই মরলে ; তবু কেউ কদর বুঝলে না, সেইটেই তো আরো দুঃখ । fটয়ানের আদরে চৌ-চে গ’লে গেল। আঠারবার মাজা চুইয়ে তালে তালে সে টিয়ানকে সেলাম ঠুকুতে লাগল। টিয়ান বললে—আর খটুনীতে তোমার কাজ নেই, বাপু এখন একটু জিরোও ! ধরে, নাও এ রেশমী ফিতেটি—গলায় ক’সে গিরে দিয়ে একবার ঝুলেই দেখে, কত আয়েসের জিরেন মিলবে '−এই-না ব’লে টিয়ান্‌ চৌ-চৌর গলায় বেশ মী ফণশটি পরিয়ে দিলে । ওমাঃ !—ব’লে চৌ-চৌ লাফিয়ে উঠল । টিয়ান স’রে যেতেই সে দুহাতে গলার ফাশ টেনে খুলে’ ফেললে । ভা বলে—দুত্তোর জিরেন ! এ কেমন জিরেন রে ... মেীতাতের আয়েসটাই মাটি হ’ল ।