পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ) ওমলাকে বিলিয়ে দিলে । বাদ রওয়াল। তাকে দিয়ে ‘বুড়ে শ্বশুরবাড়ী যায়’, ‘বুড়ে রাগ করেচে’—এ-সব খেলা দেখায় । মনিবের কথায় তাকে উঠতে বসতে হয়, তাই তার মাথায় এখন আড়াই হাত বেণী । নাচ নার বিক্রমশিলা বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা سیا তালে আড়াই হাত বেণী যখন হাটুর পেছনে দোল খায়, তখন সবাই বলে- টেকু ধে পাপ করেছে, দেবতা তার শোধ তুলেছেন । দেখ ছ না, বাদরটার লেজটা যেন চাও-সিরই মাথাব বেণীটি ! এ কীৰ্ত্তিকচন্দ্র দাশগুপ্ত বিক্রমশিলা বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠা মহfরাজা ধৰ্ম্মপাল মথন বাংল। রাজত্ব কবৃছিলেন, সে-সময় দেশে শান্তি ফিরে এসেছিল । যে “মাংশুন্যায” দেশে অশান্তি স্মৃষ্টি কবেছিল, গোপালের নিৰ্বাচনের সঙ্গে সঙ্গে তার লোপ হয় । দেশে শাস্তি ফিবে এসেছিল ব'লে ধৰ্ম্মপাল যুদ্ধবিগ্ৰহ ছাড়া অন্য পালবাজাব। বৌদ্ধ ছিলেন, তাই ধৰ্ম্মপাল একটি নতুন বিহার স্থাপন ভিক্ষুদের জন্যে । সেটি হচ্ছে—বিক্রমশিলাল বিহার। যদিও সে সময় নালন্দার বিশ্ববিদ্যালয় বিদ্যমান ছিল, তবু এই নতুন মঠটি খুব শীঘ্র একটি বড় বিশ্ববিদ্যালযে পবিণত হয় । আজকাল একট প্রশ্ন শোনা যাচ্ছে বিক্রমশিলার বিহণব কোথায় ছিল ? কেহ বিক্রমশিলাকে বিক্রমপুরেব সঙ্গে জড়িত করেছেন, তারা বলতে চান যে বিক্রমপুবেই বিক্রমশিলার মঠ ছিল । এখানে নামেব সামঞ্জস্য খুব আছে বটে, কিন্তু সেইটেই মুখ্য প্রমাণ ত’তে পাবে না । এবিষয়ে লামা তারানাথের কথা আমি অধিক বিশ্বাসযোগ্য ব’লে মনে করি । লাম। তারানাথ তার ভারতীয় বৌদ্ধধৰ্ম্মের ইতিহাসে এই বিক্রমশিলার মঠকে মগধে গঙ্গার তীরে এক পাহাড়ের উপর প্রতিষ্ঠিত ব’লে নির্দেশ করেন । ( জামান পণ্ডিত Schiefrero www.in Taranath J. as a gèas ) এই প্রমাণ অগ্রাহ ক’রে আমরা বিক্রমশিলাকে বিক্রমপুরে নিয়ে যেতে পারি নে। সেইজন্য আমাদের মনে হয়, এটি ভাগলপুরের পাথরঘাটার কাছে গঙ্গার তীরে স্থাপিত ছিল । ( J.A.S.B. 1910 পুঃ১, শ্রীনন্দলাল দের 3 কাজে তাত দিতে পেরেছিলেন । করেন কেহ প্রবন্ধ দ্রষ্টব্য ) । যতদিন ন৷ এই স্থানটি বিজ্ঞানসন্মত উপায়ে খনন করা হচ্ছে, ততদিন এ প্রশ্নের চরম মীমাংসা হবে না। যদি সরকার ব| সাধারণের চেষ্টায় এটি খনন করা হয়, তবে এখান থেকে এমন শিলালিপি বা শীল আবিষ্কৃত হতে পারে ধীর দ্বারা আমরা বলতে পারব যে এইটিই বিক্রমশিলার মঠ ছিল। অষ্টম শতাব্দীতে মহারাজ ধৰ্ম্মপাল শুধু এই মঠটির প্রতিষ্ঠ। ক'রে ক্ষান্ত হননি, যাতে এটি একটি বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হ’তে পারে তারও ব্যবস্থা . ক’রে দিয়েছিলেন । প্রথম, তিনি এর বাহসম্পদের দিকে মন দেন, যাতে ভিক্ষুরা শাস্তিতে এখানে থাকৃতে পারেন তার ব্যবস্থা ক'রে দেন। ভিক্ষুদের পূজার জন্য অনেক মন্দির তৈরী ক'রে দেন। লাম। তারানাথ বলেন—এই মঠে ১০৮টি মন্দির ছিল । মঠের ঠিক মাঝখানে একটি প্রকাণ্ড মন্দির ছিল—তাতে মহাবোধি-মূৰ্ত্তি ছিল। এছাড়া আরও ৫৩ টি ছোট মন্দির ও ৫৪ টি সাধারণ মন্দির ছিল । বল বাহুল্য এ-সব মন্দির মহাযান বৌদ্ধ মন্দির । এ ছাড়া ছাত্র ও অধ্যাপকের বাসের জন্য যথাযোগ্য ঘর তৈরী করে দেন। যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্ঞানের ও বিদ্যার গৌরব বৃদ্ধি পায় সেজন্য তিনি বিশিষ্ট অধ্যাপকদের জন্য ব্যবস্থা ক’রে দেন । লাম। তারানাথের মতে এই-রকম বিশিষ্ট্র অধ্যাপক ছিলেন—১০৮ জন। এরা ছাড়া আরও ৬ জন আচাৰ্য্য ছিলেন, তাদের কাজ ছিল প্রধানতঃ পূজাদি করা ও মঠের রক্ষণাবেক্ষণ করা। রাজা ধৰ্ম্মপাল ব্যবস্থা ক’রে দিলেন যাতে এই ১১৪ জন ۔۔۔--سر. بہ۔--سی- ~ --سم_مہ۔ حمی ۔ هر بیر ۳۰