পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

§ প্রবাসী—বৈশাখ, ১৩৩০ ه-جت. همی- مترمر SAAAAAA AAAA AAAA AAAA AAAASASASS ২৩শ ভাগ, ১ম খণ্ড A S A SAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSASAS A SAS SSAS SSAS S S AAAA S SAAAS S S S S S S S S S S S S S S "বিচিত্র কি ! জয়ন্তপ্রসাদকে ও জয়ন্তীর রূপে হইতে পারে। হয় ত তুমি অনেক সিপাহীর সর্দার দেখিতে পাইবেন। যদি স্ত্রীলোক পুরুষ সাজিতে পারে, হুইলে উদাসী ফকীর সিপাহী সাজিবে না কেন ?" বিহারীলাল উঠিয়া কহিলেন, “আপনার সঙ্গে शाझेद ?” হাস্তমুখে রঘুনন্দন কহিলেন, “না, সন্ধ্যার পর আসিলেই ভাল হয়। অরণ্যের বাহিরে মন্দিরের নিকট আমাদিগকে দেখিতে পাইবেন ।” রঘুনন্দন চলিয়া গেলেন। দিবাভাগের অবশিষ্ট বিহারীলালের পক্ষে অস্থিরতায় কাটিল । সন্ধা হইতে না হইতেই পুণ্ডরীককে লইয়া বনের দিকে চলিলেন । পুণ্ডরীক কহিল, "আবার " “দোষ কি ?” “ঐ বনই ত সব নষ্টের গোড় !" “কি রকম ?” "কখন বনদেবী, কখন বহুরূপী, কখন বাঘের বাস।-- সবই ত ঐ বনের ভিতর আছে ! আমি ভাবিয়াছিলাম বুঝি বা বনের হাঙ্গাম ফুরাইল ।” “সে কথা ঠিক, বনে আর কিছু নাই ।” “তবে আবার কেন সেখানে ?" "এবার বনে নয়, বনের বাহিরে ।" “আ: বাচা গেল ! দিনের বেলা বাঘ-ভাল্লককে ডরাই না, কিন্তু রাত্রে : দানো দৈত্য ব্রহ্মদৈত্য কি আছে, কে জানে ? রাম, রাম !" বিহারীলাল হাসিয়া ফেলিলেন, “পু গুরাক, কথ আমি বিশ্বাস করি না । তোমার ভয় নাই, ভূতপ্রেতীকেও নয় ।” “কে বলিল ? দেখাও দেখি আমাকে একটা ভূত, দেখ ত আমার দাতকপাটি লাগে কি না ?” “ভূত দেখিতে পাওয়া যায় না বলিয়াই ত ভয়, দেখিলে আর কে ভয় পায় ?" পুণ্ডরীক অন্ত কথা পাড়িল । "আচ্ছা লালজী, তুমি যেখানে যাইতেছ সেখানে লড়াই-টড়াইয়ের কিছু স্ববিধ আছে ? একটা নাকি ভারি লড়াই বাধিবে ।” "সে কথা ঠিক । তোমারও লড়াই করিবার স্থযোগ হইবে।” “বল কি, লালজী ! এমন কথা যে কথন শুনি নাই ।” পুণ্ডরীক আহলাদে উরু চাপড়াইতে লাগিল । বিহারীলাল গম্ভীর হইয়। কছিলেন, “পুগুরীক, সম্মুখে কিছু দেথিতে পাইভেছ ?" "বাশ, রে, কন্ধকাটা ভূত না কি ? না, এ কি এ ? এ যে তাবু ; এক, দুষ্ট, তিন, দশ, বিশ, পঞ্চাশ ! এ যে লস্কর, ফৌজ, অক্ষৌহিণী ? হু, এবার আর কোন গলদ নাই, গল্প নয়, তোফা টাটুক কটুকটে লাড়াই ! যুদ্ধং দেহি । যুদ্ধং দেহি ?” "আরে নৃমান, চপ কর, নইলে বিনা যুদ্ধেই একটা গুলি পাইবে আর ক্ষুধা-তৃষ্ণার হাত একেবারে এড়াইবে।” প্রহরী ষ্টাকিল, “কে ?" “চৌধুরী বিহারীলাল ।" সম্মুগের শিবির হইতে তিন চারি জন বাহির হইয়৷ আসিলেন--রঘুনন্দন, বংশধর, আরও কয়েক জন । তাহার। বিহারীলালকে অত্যন্ত সমাদরপূৰ্ব্বক সম্ভাষণ করিলেন । বিহারীলালের চক্ষু তাহাদিগকে অতিক্রম করিয়া শিবিরের দিকে গেল । o উাবুর দ্বারে দাড়াইয়া অস্পষ্ট রমণীমূৰ্ত্তি ৷ জয়ন্তী ! তাবুতে প্রবেশ করিয়া বিহারীলাল দেখিলেন, জয়ন্ত নাই ! জয়ন্তী তার হইতে বাহির হইয়া গিয়া একটু দূরে অন্ধকারে দাড়াইলেন। বিড়াল যদি বাঘের মাসী হয় তাহা হইলে পুণ্ডরীক তাহার খুড়তুত ভাই হইবে, যেমন আলোকে তেমনি অন্ধকারে দেখিতে পায় । সে গিয় জয়ন্তীর পাশে হাজির । সে জয়ন্তীকে অত সমীহা করিত কিন্তু সেই হোলির রাত্রির বহুরূপী মূৰ্ত্তি দেখিয় পৰ্য্যন্ত তাহাকে গ্রাহাই করিত না ; বলিল, “দাড়ী কি ধোপার বাড়ী গিয়াছে ? তা আজকাল অমন হইয়া থাকে। মাবে মাঝে ধোপার বাড়ী দেওয়া ভাল।" জয়ন্তী কপট রাগ করিয়া কহিল, "তোমার দিন দিন পদ্ধা বাড়িয়া যাইতেছে।" "দিনদিন ? কয় দিন ? আজ, কাল, পরশু ? সে—i