পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] তিনি এই-রকম প্রাপের পরিচয়েই তুষ্ট হবেন না। সকল যুগে, সকল দেশেই উীদের সংখ্যা কম। উদীয়মান কবিকে বরণ করবার জন্যে তার সব যুগেই বিদ্যমান ; আবার অস্তগত কবির যশোরশ্মি চিরদিন উত্তরোত্তর উজ্জল করে তোলাও তাদেরই কাজ। কবির গৌরব উার প্রতিভায়, তার কল্পনাশক্তিতে : তার ভক্তি বা হৃদয়বত্তায় নয়। তাই বলে’ কবি যে সহ্যদয় নন, এমন কথা বললে হাস্যাম্পদ হতে হবে । কিন্তু সে সহৃদয়ত কল্পনাশক্তিরই নামান্তর। লৌকিক অর্থে কবির সত্যই হৃদয়হীন, সে অর্থে স্বষ্টিকৰ্ত্ত ভগবানও হৃদয়হীন। এই বিষয়ে ব্রাউনিংজায়ার একটি সুন্দর কবিতা আছে, অনেকেই পড়েছেন । ‘প্যান্‌-দেবতা একটি বঁাশী তৈরি করবেন বলে' নদীতীরে শরবনে নেমে গেলেন ; নদীর নিৰ্ম্মল জল ঘুলিয়ে, সমস্ত স্থানটি বিপৰ্য্যস্ত করে দিয়ে একটি শর ভেঙে নিয়ে ডাঙায় উঠে বস্লেন । তার পর সেই শরগাছটির পাতাগুলি সব ছিড়ে ফেলে, সেটিকে কেটে-কুটে ছোট করে ফেললেন ; তাকে ফাপ করবার জন্যে তাব হৃদয়টি কুরে-কুরে সব শাসটুকু বার করে ফেললেন ; শেষে তার গায়ে গোট। কয়েক গৰ্ত্ত করে' বঁাশী বানিয়ে নিলেন। তারপর বঁাশীবাজানো স্বরু হ’ল । সুরলহরীতে আকাশ-বাতাস ভরে উঠল, নদীর জল আবার স্থির হ’ল, আবার সেখানে গাংফড়িঙেরা এসে জুটুল। বঁাশী তৈরি হ’ল বটে, কিন্তু সেই শরগাছটি আর তেমন করে’ শরবনে তার সার্থীদের সঙ্গে দুলবে না। তার সেই সরল স্বদীর্ঘ ততুষষ্টি, সেই পাতাগুলি, সে হৃদয় আর নেই । ‘প্যান-দেবতা পূর-দেবতা নয়—অৰ্দ্ধেক দেবতা অৰ্দ্ধেক পশু, তাই এ ব্যাপারে তার একটুও দুঃখ হ’ল না। কিন্তু আসল দেবতা ধারা, তার যখন মানুষ দিয়ে কবি তৈরি করেন, তখন তারাও এমনি নিষ্ঠুর কাজ করেন বটে, কিন্তু ব্যথাও পান। এই প্রাণ' কথাটা যে অর্থে কাব্যসমালোচনায় ব্যবহার হয়, তাতে কাব্যের আদর্শ ও কাব্যের আত্মার সম্বন্ধে একটা বডড স্থল ধারণা প্রকাশ পায়। কাব্যের ‘আত্মা’ বলতে যে কি বোঝায়, তা নিয়ে আমাদের প্রাচীন কাব্যশাস্ত্রেও অনেক বাদাতুবাদ আছে ; কতকগুলি সূত্রের স্থষ্টিও হয়েছে, কিন্তু তার ভাষ্য কবুতে গিয়ে কাৰ্য-কথা esa MAMA AA MA AeMA AMMeeMAM MeeA MAAA AAAA SAAAAA MAMA eeeeeMMSMSMMS বহু মতবাদের উৎপত্তি হয়েছে। পাশ্চাত্য সৌন্দৰ্য্যবিজ্ঞান এ-বিষয়ে এখনো একমত হ’তে পারে নি—কোনো বিজ্ঞানই ত পারবে না। তবু এইসব আলোচনার ফলে উভয়ত্র এমন কতকগুলি সাধারণ লক্ষণ আবিষ্কার হয়েছে, যাতে এই ব্যাপারটার চূড়ান্ত মীমাংসা না হলেও, সাহিত্যের আসরে কাব্য সম্বন্ধে যা-তা বলা আর চলে না। কাব্যের প্রাণ বলতে যে জিনিষটি বোঝায় তার প্রধান গুণ হচ্ছে— লোকোত্তর-চমৎকার রসাবেশ ; কাব্য যে আনন্দ দান করে তার একটা বিশেষ উপাদান—“বৈচিত্র্য ‘চারুতা" বা ‘বিচ্ছিত্তি’ । কাব্যের মধ্যে রসিক যে রসাস্বাদ করে থাকেন, তার মধ্যে এমন একটি অকুভাব বিদ্যমান, যা লৌকিকতার স্পশশষ্ঠ বলেই চিত্তচমৎকারী। কবির কল্পনা বাস্তবকে আশ্রয় করেই কাব্যহষ্টি করে, বাস্তবকে একেবারে বাদ দেবার জো নেই, কিন্তু তার কল্পনার অঘটনঘটনপটীয়সী শক্তি এমন, যে, বাস্তব অবাস্তবের ভেদ আর থাকে না, থাকৃলে চিত্তচমৎকার ঘটত না । এই জন্যে কাব্যবস্তুটাই ( content ) বড় নয়, কবির যে ওই শক্তি—যাকে ‘প্রজ্ঞা প্রতিভা প্রভৃতি অনেক নাম দেওয়া হয়েছে--ওই শক্তির লীলা বা ফুর্ভিই কাব্যের উৎকর্ম-অপকর্ষের কারণ। এই প্রজ্ঞা অপূৰ্ব্বৰস্তুনিৰ্ম্মাণক্ষম’। এই অপূৰ্ব্বতাই সেই লোকোত্তর-চমৎকার, indefinable charm ol off cottfälä of কবির প্রজ্ঞা'ই সব, কবিতার বিষয়নিৰ্ব্বাচন যেমনষ্ট হোক। এই দৃষ্টির সাহায্যে ক্ষুদ্রতম বস্তুর মধ্যেও অপুৰ্ব্ব রস আস্বাদ করা যায়—একটি ছোট নগণ্য ফুলের মধ্যেও এমন ভাবের পরিচয় পাওয়া যায়—যা “too deep for tears”—এত গভীর যে চোখের জলে ধরা দেয় না । এই রস হর্ষ-বিষাদ প্রভৃতি লৌকিক অমুভাবের অতীত, কারণ ওর মধ্যে লোকোত্তর-চমৎকারিত রয়েছে। কবি যখন বলেন, এই রস একটি ‘দীনতম পুষ্পের মধ্যেও অনুভব করা যায়, তার অর্থ-রস উপলব্ধি করতে হ’লে সেই হৃষ্ঠত চাই যা বস্তুনিরপেক্ষ ; তার মানে এ নয়, যে, কেবল ছোট ছোট জিনিসের মধ্যেই তা আছে । এই হৃষ্ঠত, চারুতা এবং এই লোকোত্তরচমৎকার উল্লেক করবার জন্তে উনবিংশ শতাব্দীর যুরোপীয় ভাবপষ্ঠী কবির কত কাওক্ট