পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] . ক্রোড়ে এক নগ্ন বর্বর উন্মুক্ত জীবনের জন্ত সে তৃষিত হইয়া উঠিয়াছে। সেই সহজ সরল বস্তজীবনে প্রাণের নবশক্তি দিয়া বাচিয়া থাকিবার নিছক আনন্দ উপভোগ করিতে সে চায় । তাহার যে যান্ত্রিক প্রতিভা ছিল, তাহা ত মানবসভ্যতার উন্নতির কাজে সে লাগায় নাই, সে শক্তির ব্যভিচার করিয়াছে ; যে নব যন্ত্র স্বষ্টি করিয়া মানবের কৰ্ম্মশক্তি বাড়াইতে পারিত, সে বণিক্‌ হইয় স্বর্ণের নিগড় গড়িয়ছে। এ যন্ত্রের দাসত্ব, স্বর্ণের দাসত্ব আর নয়, সে বিদ্রোহী, এ আর ভাল লাগে না । যতীন ড্রয়িংক্রমে খোলা জানালার কাছে এক ইজিচেয়ারে শুষ্টয়া সন্ধ্যাকাশের দিকে চাহিয়া ভাবিতেছিল । মাধবী তাহার পাশে সোফায় আসিয়া বসিল, ধীরে বলিল, —আজ ডাক্তার কি বললে । * মাধবীর দিকে ন চাহিয়া যতীন বলিল—কি আর ***, victim of machine, neurasthenia. ধীরে কপালে ক্ষতের দাগের উপর একটু হাত বুলাইয়৷ মাধবী বলিল,--কি ভাবছ ? কি করবে ? –তাই ভাবছি, জীবনটায় কি করবার আছে। একটা দমকা বাতাসে পথের ধুলাবালি ঘরে উড়িয়া আসিল । মাধবী শাশী বন্দ করিয়া দিতে উঠিলে যতীন বলিল,—না, না, থাকু জানালাটা খোলা, ঝড়ের মেঘগুলো ভারি স্বন্দর দেখতে । ধীরে আবার পাশে বসিয়া মাধবী বলিল,—অত নিরাশ হোয়ে না। —ই, এস, কিছু করা যাকৃ, কি করা যায় বল ত ! —ক্ষতি ত বিশেষ কিছু হয় নি, এত দমে পড়েছ কেন ? —ন, ও ক্ষতির জন্য ভাবছি না। কিন্তু ও-জীবন আর নয়, শুধু শক্তির সাধন করতে গিয়ে প্রলয়াগ্নি জলে’ উঠল। দেখ, কি কবুলুম, মানুষগুলোকে ভূতের মত খাটিয়ে পশুর মত রাখা ! —সবাইকে বাঁচতে হবে ত, খেতে হবে ত । -किरू जॉमना क. किछ rझr*त कॉख नशाrखत ব্লমল । -किस्त्र—না কিন্তু নয়, ই কিন্তু, আমরা কে ধে পরের জীবন নিয়ে খেলা করব, চালাতে গিয়ে উণ্টে হবে, আবার এমনি অগ্নিকাগু--- -

  • —-কিন্তু কিছু করতে হবে ত ।

—না, সেটা ভুল। আগে ঠিক করতে হবে জীবনের উদ্দেশ্য কি, আমাকে দিয়ে কি কাজ হ’তে পারে, কিসের জন্য আমার স্বষ্টি, সে কাজ যতই তুচ্ছ যতই সামান্ত হোক, সে কাজ করাই আমার ধৰ্ম্ম—জীবনের সত্যি কাজ আমরা খুজি না—- —সবাইয়ের কাজ কি সমান- آسیای مد --তা নয়, কিন্তু আমার শক্তি দিয়ে আমি পৃথিবীর কি কল্যাণ করে যেতে পারি,-আমার শক্তি,—না শক্তি নয়, প্রেম দিয়ে, প্রেম– প্রেম, এই কথাটি উচ্চারণ করিয়া যতীন করুণ চোখে কালে মেঘস্তুপের দিকে চাঠিয়া রহিল। মাধবীর মনও উদাস হুইয়া উঠিল । প্রেম,--তাহাদের প্রতিদিমের জীবনে কতটুকু প্রেম আছে ? : মাধবী ভাবিল, স্বামী যে অমুখী, তাহা কি তাহাঙ্গ দোষে ? সে ত একদিন প্রেমের স্বধাপাত্ৰ হাতে করিয়াই স্বামীর জীবনপথে আসিয়াছিল, তখন স্বামী শক্তির রথে জয়যাত্রায় চলিয়াছে, তাহার দিকে চাহে নাই। সেও তাই শূন্য পাত্র কতরকমে ভরিয়া রাখিতে চাহিয়াছে, কত রকমে সে মুখ খুজিয়া বেড়াইয়াছে, কিন্তু হৃদয় ত পূর্ণ হইল না। আজ এক্ট ঝড়ের অন্ধকারে মুখোমুখি দাড়াইয়৷ তাহার কি আবার নূতন করিয়া বোঝাপড়া করিয়া লইতে পারিবে, নবপ্রেমের জীবন আরম্ভ করিতে পারিবে? ধীরে সে উঠিয়া গেল। বাতাস আরও উদাম, অন্ধকার আরও নিবিড় হইয়া আসিতে লাগিল । যতীন ভাবিতে লাগিল, সত্যই সে কি এতদিন বৃথা কাজ করিতেছে, এই যন্ত্রপূজার কি কোন সার্থকতা নাই ? আছে বৈ কি ! মানবের সভ্যতার উন্নতির জঙ্ক যন্ত্রেরও দরকার। কিন্তু প্রথমে যে হৃদয়ে দরকার, প্রেম চাই, একথা যে সে ভুলিয়া গিয়াছে । আঙ্গ তাহার সমস্ত দেহে F- -"י**** == fx היא כמזכ", ה 436 חדrא בזבה",