পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

exo~ जांभद्रां फ्रांब्रफै न वांछ एड३ ६थांझांटन शछिब्र,-किङ তৰু দেখি ভীষণ ভিড়। ‘মোহনবাগান' নামটার মধ্যেই কিছু আছে কি-না জানি না, কিন্তু ওদের খেলা দেখতে বাংলা দেশ ভেঙে পড়ে । আবার মজা এই যে, যেমাস্থ্য খেলা যত কম বোঝে, সে তত আগে খেলার জায়গায় ভিড় করে। ভিড় দেখে পাচু বললে, “আমার নিজের কোনই ভয় নেই, কেন না আমি অবাধে সামনে গিয়ে হাজির হব—তবে তোমাদের জন্তে আমার দুঃখ হচ্ছে”—ইত্যাদি । আমরা অবশ্য কিছু বললাম না। একটু দাড়িয়ে পাচু পকেট থেকে একট। টুক-বই বের করে একবার কি সব দেখে নিল, এবং বিড়বিড়, ক'রে নিজের মনে দুৰ্ব্বোধ্য ইংরেজী কথা অনেকগুলি বলে নিল। তার পরেই দেখলাম, পাচু হঠাং ভিড়ের মধ্যে মিলিয়ে গেছে । অভিমস্থ্যর লুপ্তবিদ্যা পাচু তবে নিশ্চয়ই ফিরে পেয়েছে ভেবে আমরা মনে মনে পাচুকে হিংসা করছি এবং নিজেদের অক্ষমতাকে গাল দিচ্ছি, এমন সময় সাম্নে একটা ভীষণ গোলমাল উঠল। গোলমালের মধ্যে কার একটা সরু মোটা স্থর মেশানো গলা পরিষ্কার শোন। যেতে লাগল—“বে আক্কেলে—আমার পাজরে কচুয়ের গুতো দিয়ে সামনে যাচ্ছিল ; উঃ বাপ ! যা লেগেছে—মার..." তার পর সে গলাটা আর শোনা গেল না। খুব একটা মার মার ধ্বনি এবং অনেক সম্বন্ধ-বৈচিত্র্য-স্বচক শব্দ মিশে এক তুমুল গোলমল স্বরু হ'ল । হঠাৎ এক জায়গায় স্পিটা একটু ফাক হ’য়ে তার পরমুহূর্তেই সেইখান দিয়ে পাচু ছিটকে বেরিয়ে ল । গায়ের জামা তার ছেড়া, চুলও বে। ২ . কম, চটি জে। সন এse৭ নেই ; হাতে কেবল সেই পকেট-বুকটা অঁাকড়ে ধ’রে সে হুমুড়ি খেয়ে এসে বাইরে পড়লে । একজন বেশ কালো মোট লোক বিকট হুঙ্কার দিয়ে, এক এক বারে প্রায় ১২।১ওঁ ইঞ্চি লম্বা লাফ দিয়ে দিয়ে তার দিকে এগিয়ে আসছিলেন। উদ্দেপ্ত—তাকে “শিক্ষা" দেওয়া। আমরা দেখলাম বেজায় বিপদ। যা শিক্ষা পাচু পেয়েছে তাতেই বৃক্ষ নেই, আরও পেলে সে নিশ্চয়ই ব্রহ্মশির কিম্বা পাশুপত অস্ত্র আবিষ্কার করে একটা সৰ্ব্বনাশ কৰে ; काप्ख्हे আমরা সদলে পাচুকে বাচাতে ছুট লাম। প্রবালী-প্রাবণ, ১৩৪* ২৩শ ভাগ; ১ম খণ্ড মোট লোকটি তখন তেইশ লাফে বাইশ ফুট জন্ধি পার হয়ে ঘৰ্ম্মসিক্ত কলেবরে পাচুর ঘাড়ের উপর প্রায় এসে পড়েছেন। জয়ের আশায় তার চিবুকের চার থাক নিম্প্রয়োজন চৰ্ব্বি নিষ্ঠুর আনন্দে কেঁপে কেঁপে উঠছিল । অতি সূক্ষ্ম আদ্ধির পাঞ্জাবীর অন্তরালস্থিত র্তার তের-তল ভূড়িটি সদৰ্পে দুলে ছলে উঠতে লাগল। পাচুর প্রাণ ওই ঘটােৎকচরূপীর আলিঙ্গনে পড়লে মহাভারতের বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা देझ्छरद्मब्र भङ खद्देशांटनझे ८भय शङ । भब्रिग्रा इ'रब ७भन সময়ে খগেন তাকে একটি লেঙ্গি মেরে “অবস্থার গতি’সশব্দে ফিরিয়ে দিলে । একজন নিরপরাধ পাহারাওয়ালাকে জড়িয়ে তার উপুড়াবস্থা-লাভটা সকলের চোথে এতই সরল লেগেছিল, যে, তখনকার মত পাচুর অস্তিত্বের প্রমাণগুলো তারা সম্পূর্ণ ভুলেই গেল। সুবিধা দেখে পাচুও ইত্যবসরে স’রে পড়ল। মেসে ফিরে দেখি, পাচুর ঘরে খিল। রমেন্‌ ইয়ার বললে, “পাচু অভিমত্যুর দাদা, সে শুধু বৃহ ফুড়ে ঢুকতেই শিখেছিল, কিন্তু পাচু নিক্ষমণটাও আবিষ্কার ক’রে ফেলেছে।” ( २ ) এখন আসল গল্পট। বলি । এতক্ষণ পাচুর একটু পরিচয় দিচ্ছিলাম। পাচু আজকাল আর ছাত্র নয়। সে এম-এসসি ; বি-এল পাশ ক'রে ওকালতি করছে। অর্থাৎ পুলিশ-কোর্টের প্রত্যেকটি ইট পাথর আজকাল সে চিনে ফেলেছে। এ ছাড়া সে বর্তমানে বিবাহিত । তার শ্বশুর সরকারী কাজে শিমলায় থাকতেন, কিন্তু তার পশিল্পের অষ্ঠ লক্ষলে কলকাতাতেই ছিলেন। পাচুর এতে কোনও আপত্তি ছিল না, বেন না সে শ্বশুরের চেয়ে স্ত্রীকেই বেশী প্রয়োজনীয় মনে করত। শ্বশুরের আবার বদরাগী ব’লে একটা দুর্ণাম ছিল । কাজেই পাচুর খণ্ডর মহাশয়ের সঙ্গে আলাপ নেই বলে যে সে খুব কষ্টে ছিল, তা বলা যায় না । আমরা সকলেই তখন নানা কাজে নানা জায়গায় ছিলাম। পরস্পরের সঙ্গে মাঝে মাঝে দেখা হত, কিন্তু অনেক কাল, খুব জমিয়ে আডডা দেওয়া হয় নি । এতে বড় দুঃখ হতো। খগেন তখন বর্ধমানে ছিল। আমরা