পাতা:প্রবাসী (ত্রয়োবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ు 激注 “তোষল বা তুযু পূজা” গত বৈশাখের প্রবাসীতে শ্ৰী যতীন্দ্রনাথ জান মহাশয় তোষল বা তুধু পুজা’-শীর্ষক আলোচনায় লিখিয়ছেন—“মেদিনীপুরে যমপুকুরত্ৰত প্রচলিত নাই ; এবং মেদিনীপুরের কোথাও ইউতি ব৷ সজুই কিংবা তোমলা পূজার প্রচলন নাই।” জানা মহাশয়ের উক্ত সিদ্ধাস্ত সমীচীন নহে । কারণ আজিও মেদিনীপুরে যমপুকুর ব্রত প্রচলিত আছে । সাজুই বা সিজুতি ও তোমূলী পূজাও হইয় থাকে। আজিও গ্রামে গ্রামে এইসকল ব্ৰত উদযাপিত হয়, ও বালিকাদের মুখের মধুর বোলে ছড়াসকল আবৃত্তি হইয়া থাকে। এতদ্ভিন্ন পুস্ত্রি পুকুর, হরিচরণ’, ‘কুল .কুলতি ব্রতও হইয় থাকে। অনাবষ্ঠক বিবেচনায় এইসকল ব্রতের ছড়াগুলি উদ্ধৃত করিলাম না । শ্ৰী হরিসাধন পাইন জাতীয় একতা ও স্যার সৈয়দ আহমদ বিগত শতাব্দীর মুসলিম ভারতের অবিসম্বদিত নেতা স্যার সৈয়দ অtহমদ-সম্বন্ধে অনেকেই নানা প্রকার ভ্ৰtষ্ট ধারণ পোষণ করিয়! থাকেন । BB BB BBB SBBBSBBB BBBB B BBB BBS BBB প্রবন্ধে বিবিধ প্রসঙ্গের শ্রদ্ধেয় লেখক লিথিয়া েন : “...বহুসংখ্যক মানুষ অক্সিচেতনাবাল হইলেও প্রত্যেকেই সাৰ্ব্বজনিক সাধারণ দুঃখ, দুৰ্গুণ বা অধিকারহীনতা সম্বন্ধে সমান বেদন অনুভব করেন না । স্যার সৈয়দ আহমদের নেতৃত্বে মুসলমানের বহু বৎসর কংগ্রেসে যোগ দেন নাই। র্তাহয় তাহদের সাম্প্রদায়িক থার্থ ও কল্যাণেব উপায় ভারতবর্ষের অন্য অধিবাসীদের হইতে ভিন্ন মনে করিয়ছিলেন...” এতৎপাঠে অনেকে মনে করিতে পারেন সৈয়দ আহমদ বড়ই সম্প্রদায়িক ছিলেন, যুগসঞ্চিত জ্ঞান বিষ্ণুত হইতে পারেন নাই। কিন্তু প্রকৃত বিযয় তাহী নহে। তিনি যে মুসলমানের কংগ্রেসে যাওয়ার বিরুদ্ধমত প্রকাশ করিয়াছিলেন, তাহার মূলে রহিয়াছে সংরক্ষণ-নীতি। তিনি ও তদানীন্তন মুসলমান জননীয়কগণ অপেক্ষাকৃত অবনত মুসলমান সমাজকে অন্যান্য শক্তিশালী সম্প্রদায়ের প্রতিদ্বন্দ্বিত হইতে রক্ষা করিবার উদ্দেষ্ঠেই কিছু কালের নিমিত্ত । কংগ্রেসের বাহিরে থাকিয় ) গঠননীতি অবলম্বন প্রয়োজন মনে করিয়াছিলেন ; নচেৎ স্যার সৈয়দ আহমদ কখনও জাতীয় একতার বিরোধী ছিলেন না : তিনি কখনও মুসলমানের কল্যাণের উপায় অন্যান্য সম্প্রদায় হইতে ভিন্ন মনে করিতেন না । তিনি জাতীয় কল্যাণ ও একতা সম্বন্ধে সুপ্রসিদ্ধ Hindoo পত্রিকায় লিখিয়ছিলেন :– “হিন্দু ও মুসলমানগণ একাত্মা ও একপ্রাণ হইবার নিমিত্ত চেষ্ট৷ করিবেন এবং মিলিতভাবে কার্য্য করিবেন। কারণ একতাবদ্ধ থাকিলে র্তাহারা পরস্পর পরস্পরকে রক্ষা করিতে পারিবেন। নতুবা একের কৰ্ম্মফল অপরের বিরুদ্ধে প্রযুক্ত হইয়া উভয়কেই ধ্বংসের দিকে লইয়৷ যাইবে । হিন্দু মুসলমান ভ্রাতৃবৃন্দ ! তোমরা কি ভারতের সাম্রাজ্যের অধিবাসী ? তোমরা কি একই ভূমিতে বাস কর না ? একই দেশে জন্মগ্রহণ কর নাই ? একই ভূমিতে দগ্ধ বা প্রোপিত হুইবে না ? ۶) ھ سبسے دچ& তোমরা কি একই ভূপৃষ্ঠে বিচরণ কর না । একই দেশজননী কি তোমাদিগকে প্রতিপালন করিতেছেন না ? স্মরণ রাখিও "হিন্দু” ও “মুসলমান” এই দুইটি শব্দ কেবল ধৰ্ম্মগত পার্থক্য প্রকাশ করে মাত্র । নচেৎ ভারতের অধিবাসী মাত্রই এক অভিন্ন জাতি বা Nationএর অন্তভুক্ত জাতি বলিতে আমি হিন্দু মুসলমান এবং ভারতের অন্যান্য অধিবাসিবৃন্দ সকলকেই বুঝি ; কারণ Nation বা জাতি শব্দে ঐ অর্থই প্রকাশ করে । আমরা কোন ধৰ্ম্মাবলম্বী তাহ আমার পক্ষে প্রণিধানযোগ্য নহে । আমার অনুধ্যানের বিষয় এই খে— আমরা একই দেশের অধিবাসী—একই রাজশক্তির প্রজা— আমাদের মঙ্গলের মূলে রহিয়াছে একই শক্তি—আমরা করলে- দুভিক্ষ-যতন ভোগ করি একই যোগে । স্বতরাং তুলাভোগ্য দেশের কল্যাণার্থ মিলিত হওয়া প্রত্যেকের সকলের উচিত। এসকল কারণে আমি ভারতের যাবতীয় জনসমাজকে "হিষ্ণু এই একই নামে অভিহিত করিয়া থাকি—এতদ্বারা আমি বুৰাইতে চাই 'আমরা সকলেই হিন্দুস্থানের অধিবাসী । এতাদুশ উদীর অভিমত স্যার সৈয়দের পুৰ্ব্ববৰ্ত্তী বা পরবর্তী কোন স্থাননায়কই প্রকাশ করেন নাই । - বাহার “আদর্শ কৃষিক্ষেত্র স্থাপনের প্রয়োজন” উক্ত প্রবন্ধে শ্ৰীযুক্ত পুলিনবিহীর দাম মহাশয়ের বক্তব্য বিষয় জ্ঞাত ক’লাম । দেশে চtযবাসের যে রকম ঢ়িলে ব্যাপার দাড়িয়েছে তাতে এ রকম উদ্যোগের বিশেষ প্রয়োজন। এবিধয়ে সাহায্যও বেtধ হয় দেশবাসীদের কাছ থেকে কম পাওয়া যাবে না-কালণ এসময়ে একটা জাগরণের সাড়া পড়েছে। তবে সাহায্যকারীর সম্ভবতঃ জানতে ইচ্ছুক হবেন, কিভাবে তাদের টাকাটা ব্যবহৃত হবে। সমবায়টি সাধারণের না ব্যক্তিগত ? সাধারণের ো টাকাটা এই আদর্শ কৃষিক্ষেত্র স্থাপনে নিযুক্ত হবে তার দ্বার সাহায্যকারীদের কি ভবিষ্যতে কোনও রকম ব্যক্তিগত লাভের সম্ভাবনা আছে ? এ সম্বন্ধে শ্ৰীযুক্ত পুলিনবিহারী দাস মহাশয় তার "নিবেদনে” ঞ্জিঞ্জস্য বিষয়ের জন্য ঠাকেই লিথ তে অম্বরোধ করেছেন, কিন্তু “প্রবাসী’তে এবিষয়ে বিস্তারিত খবর বীর ক’লে সাধারণের গোচর হবে এই আশায় প্রবাসীতেই লিপ লাম । শ্ৰী শু্যমাশঙ্কর ভট্টাচাৰ্য্য গয়া হইষ্ঠে ঐযুক্ত খামাশঙ্কর ভট্টাচাৰ্য্য মহাশয় অমাব কৃষি-সম্পর্কিত “নিবেদন" সম্বন্ধে যে প্রশ্ন করিয়াছেন, তদনুরূপ বিভিন্ন স্থান হইতে বিভিন্ন প্রশ্ন আদিতেছে । সাক্ষাৎব্যতিরেকে সমস্ত উত্তর দেওয়া ঠিক স্ববিধাজনক নহে, তবে মোটামুটি নিম্নলিপিত বিষয়গুলি লিপিয়া . দিলাম । যে অবস্থ দাড়াইয়াছে তাহতে পরস্পর সহানুভূতি, সাহায্য কিম্ব। সমবেত চেষ্ট ব্যতিরেকে দেশের কোনই উপকার হওয়া অসম্ভব , এমন কি দেশবাসীগণের ধাচিয়া থাকাই অসম্ভব হইবে। কৰ্ম্মীগণের কৰ্ম্মশক্তি, ধনীগণের অর্থসঙ্গীমা, গুণীগণেব বুদ্ধিপ্রভাব প্রভূতির যথাযোগ্য সঙ্গীবেশ ন হইলে কোন অনুষ্ঠানেরই সম্যক্ বিকাশ ও শ্ৰীবৃদ্ধি