পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] অভাব বেধি ), স্প হ! ( বিষয়-তৃষ্ণা ) রজোগুণ প্রবল হইলে এই সকল জন্মায় । অপ্রকাশোহপ্রবৃত্তিশ্চ প্রমাদে মোহ এব চ। তমস্তেতানি জায়স্তে বিবৃদ্ধে কুরুনন্দন ॥ ১৪।১৩ হে কুরুনন্দন, অপ্রকাশ ( জ্ঞান-আবরণ ), অপ্রবৃত্তি { আলস্ত ), প্রমাদ ( অনবধানতা, কৰ্ত্তব্যে অকৰ্ত্তব্য বিভ্রম ) এবং মোহ ( ভ্রান্ত ধারণ ), তমোগুণ প্রবল হইলে এই সকল জন্মায় । সত্ত্বাৎ সঞ্জtয়তে জ্ঞানং রঞ্জসে। লোভ এব চ | প্রমাদমোহৌ তমসো ভবতোহজানমেব চ। ১৪১৭ সত্ত্বগুণ হইতে জ্ঞান সঞ্জাত হয়, এবং রজোগুণ হইতে লোভ ; তমোগুণ হইতে প্রমাদ ও মোহ হয়, می এবং অজ্ঞান | v3X. রজোগুণ হইতে বস্তুজ্ঞান এবং বস্তুজ্ঞান হইতে কৰ্ম্মপ্রবৃত্তি জন্মায়। অতএব সমস্ত কৰ্ম্মের মূলে রজোগুণ স্বাকার করা যায়। সমস্ত কৰ্ম্মই যদি রজ-উদ্ভূত হইল, তবে তামসিক ও সাত্ত্বিক কৰ্ম্ম বলিয়া কি কিছু নাই ? পূৰ্ব্বে বলা হইয়াছে যে তম বিষয়ঞ্জানে ভ্রান্তি জন্মাইয় দুপ্রবৃত্তি আনয়ন করিতে পারে । এই দুষ্পবৃদ্ভিজাত সমস্ত কৰ্ম্মকেই তামসিক বলা যাইতে পারে। কৰ্ম্ম ভিন্ন কেহ মুহূর্তৃ-মাত্রও বাচিতে পারে না, কিন্তু ফলাকাজক্ষরহিত কৰ্ম্ম আত্মজ্ঞানলাভে সহায়ক হয় এইজন্যই এইরূপ কৰ্ম্মকে সাত্বিক কৰ্ম্ম বলা যাইতে পারে। সত্ত্ব রজ তম শ্রেণীবিভাগের উদ্দেশু মনে রাখিলে কোন কৰ্ম্ম সাত্বিক, কোন কৰ্ম্ম রাজসিক, কোন কৰ্ম্মই বা তামসিক তাহ বিনা শাস্ত্রবিচারেও সহজে বোঝা যাইতে পারে । আধুনিক যে-সকল বিদ্যার আলোচনা হয় তাহার মধ্যে যন্ত্রবিদ্যা স্থপতিবিদ্যা শিল্পকলা সমস্তই রাজসিক বলা যাইতে পারে। সমস্ত ব্যাবহারিক বিজ্ঞান রাজসিক । পদার্থবিদ্যা কিমিতিবিদ্যা প্রভৃতি শুদ্ধ বিজ্ঞান বহির্বস্তু লইয়। কারবার করে, এজন্য ইহারা মূলত রাজসিক। কিন্তু পদার্থবিৎ বা কিমিতিবিং পক্ষপাত ও ফলাকাজক্ষ বিরহিত হইয়া কাৰ্য্য করেন বলিয়া তাহদের কার্য্য সাত্ত্বিক, জ্ঞানবৃদ্ধি তাহদের মূল উদ্বেগু । মনোৰিং অস্তদর্শনের চেষ্টা করেন। মনোরাজ্যের ব্যাপারই তাহার আলোচ্য। এজন্ত মনোবিদ্যাও যান্ধিক, সত্ত্ব রজঃ তমঃ (t মনোবিদের কার্য্যও সাত্ত্বিক। মন-চিকিৎসপে কৰ্ম্ম রাজসিক কৰ্ম্ম । শুদ্ধ সত্ত্ব রঞ্জ তম দেখা যায় না । এই তিন গুণ অল্পবিস্তর সংমিশ্রিত হইয় আছে । বিভিন্ন মানুষের স্বভাবে এই তিন গুণের প্রভাব বিভিন্ন মাত্রায় দেখিতে পাওয়া যায় । সত্ত্বগুণ সুধিক পবিমাণে থাকিলে স্বভাবকে সাত্ত্বিক বলা হয়, সেইরূপ রাজসিক ও তামসিক স্বভাবও আছে । গীতায় এই বিভিন্ন স্বভাবের ব্যক্তির কার্য্যাবলীর আলোচনা আছে। সাত্ত্বিক রাজসিক ও তামসিক স্বভাবের ব্যক্তিদের কি কি খাদ্য প্রিয়, গীতাকার তাহাও আলোচনা করিয়াছেন। যোগীদের মতে বিশেষ বিশেষ খাদ্যে এই তিন গুণের পৃথকভাবে বৃদ্ধি বা হ্রাস হইতে পারে। এতদিন পৰ্য্যস্ত কোন বিশেষ খাদ্য সাত্ত্বিক বা তামসিক নির্ণয় করিবার উপায় অজ্ঞাত ছিল । শাস্ত্রের ও যোগীদের কথাই বিনা বিচারে মানিতে হইত, কিন্তু সত্ত্ব রজ তমের আমি যে মূলতত্ব নির্দেশ করিয়াছি, তাহাতে খাদ্যের সাত্ত্বিক ইত্যাদি গুণ মনোবিদের পরীক্ষাগারে নির্ণীত হইতে পরিবে । পরীক্ষ্যমান ব্যক্তিকে যদি বিশেষ বিশেষ খাদ্য দিয়া দেখা যায় যে তাহার অন্তর্দর্শনের (introspection) ক্ষমতা বৃদ্ধি পাইয়াছে, তবে সেই সেই খাদ্য সাত্ত্বিক প্রমাণিত হইবে । তদ্রুপ রাজসিক ও তামসিক খাদ্যেরও পরীক্ষ হইতে পারে । শাস্ত্রকারের বলেন, আত্মোপলব্ধির পক্ষে প্রকৃতির তিন গুণই বাধা । তমের বাধা সৰ্ব্বাপেক্ষা প্রবল ; তার নীচে রজের, তার নীচে সত্ত্বের । পুৰ্ব্বে সত্ত্বগুণকে আত্মজ্ঞানলাভের সহায়ক বলা হইয়াছে । কিন্তু ইন্দ্রিযুঞ্জ জ্ঞানে যদি আসক্তি জন্মায়, তবে বিশুদ্ধ জ্ঞান বা কেবল জ্ঞানের উপলব্ধি হওয়া সম্ভব হয় না। সত্ত্বগুণই আত্মোপলন্ধির বাধা হইয়া দঁাড়ায়। পথের মায়া না কাটাইলে গন্তব্যস্থানে পৌঁছানো যায় না। গীতায় আছে- , গুণানেতান্তীত জীনদেবী ছেগমুক্তবান। জয়লা িৈজাহাজতে খং ! -দেহ সমূহৰ এই তিন গুণকে অতিক্ৰম কৰিব নেী (ীে चाचt) छच भूश बड झ* श्रेष्ठ विदूड श्वाथझ्छ estवत्र সমস্ত ব্যাপারেই 。、