পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] رییسه আরামের নিঃশ্বাস ফেললুম। আমরা যা দেখে এসেছি ডার বর্ণনা শুনে তারও উৎসাহ খুব ফিরে এল ; আর আমার দ্বারায় বেদ-পাঠের প্রস্তাবের কথা শুনে তিনি ইউরোপে রবীন্দ্রনাথ ৯৭ খুব অকুমোদন করলেন আর ব’ললেন যে আমাকে যথাসাধ্য ভালে ক’রে এই কাজটি সাঙ্গ করতে হবে । [ ক্রমশ:} تتنتت تنتنتایج تشتتنتشت ইউরোপে রবীন্দ্রনাথ * শ্ৰীহামিয়চন্দ্র চক্রবর্তী ২৫শে জুলাই, ১৯৩০ }মাটের মত জাৰ্ম্মেণী পরিক্রমণ করচি—শ্রেষ্ঠ যাকিছু আপনিই আমাদের কাছে এসে পড়চে । যেখানে {-কিছু সুন্দর, স্মরণীয় ; এদেশের মনীষী যারা ভাবচেন, *কচেন, লিখচেন রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে সহজে সকলের পরিচযু ঘটচে, আমরাও ভাগ পাচ্ছি। এমন গভীর ক’রে বিচিত্ৰ ক'রে যুরোপকে জানবার শুভযোগ কখনো হবে ভাবিনি । মহামাতুষের দেশে এসেচি, এর বড় ক’রে ভাবতে জানে এবং প্রচণ্ড শক্তি দিয়ে ভাবকে কৰ্ম্মে নিয়োগ করে । এদের জাতীয় জাগরণ এক স্তু দুৰ্গতির মধ্যে ও মানবচরিত্রের পূর্ণতাকে অস্বীকার করেনি, শিল্পে সাহিত্যে সমাজ সৃষ্টিতে রাষ্ট্রি কচিন্তায় এর গোড়া থেকে কাজে লেগেচে । এমন স্তন ক’বে এক গ্র সাধনাদ্ধার এর মতন জৰ্ম্মানীকে গড়ে তুলচে যে, স্তম্ভিত হতে বাড়ী বানানো, বই লেখা, দৈনিক সাংসারিক বিধিব্যবস্থা, সকল ক্ষেত্রেই এদের মন সম্পূর্ণ নুতন ,চস্তনের উজ্জল আলো ফেলেচে, মূল থেকে প্রাণের সব বদলে গেছে, মূল থেকে প্রাণের উচ্ছসিত, বীৰ্য্য দুৰ্দ্ধমনীয় হয়ে প্রকাশিত হচ্ছে । fরা ইংরেজের মত তুষারশীতল ভদ্রতার আড়ালে গৰ্ব্বিত আত্মচেতনায় নিৰ্ব্বাসিত নেই। এর ফরাসীর গত চঞ্চলচকিত নিয়ত পরিবর্তনশীল নয়, এদের ”দে ভারি একট। চারিত্রবিস্তার আছে, সরল আড়ম্বরগণ হৃদয়বান মনুষ্যত্ব আছে। পৃথিবীতে কোথাও রবীন্দ্র 奪西 I আঞ্জেয় • মীযুক্ত সোমনাথ মৈত্রকে লিখিত পত্র হইতে। 3 নাথকে এর চেয়ে বেশী ভালবাসে ভাবতে পারি না ; – টাগোরে’ শুনলেই হোটেলের কর্তৃপক্ষ, ট্রামগাড়ীর টিকিট ক্লার্ক, কলেজের ছেলেমেয়ে অধ্যাপক, বণিক, রাষ্ট্রনেতা রাজকুম্প্রতিনিধি—এমন কেউ নেই এদেশে যার মুখ উজ্জল হয়ে না ওঠে ; যেখানেই আমরা যাই জয়ধ্বনি আনন্দ অভ্যর্থনায় এদের পক্ষে উৎসাহ সম্বরণ করা অসাধ্য হয়ে ওঠে । হাজার হাজার ছেলেমেয়ে পথে পথে রৌদ্রে বৃষ্টিতে দাড়িয়ে আছে ‘টাগোরে’কে দেখবে বলে—এদেশের শ্রেষ্ঠ প্রতিভ র্যারা তারা সভয়ে ক্ষণেকমাত্র ওর কাছে এসে শ্রদ্ধা জানিয়ে উৎফুল্লচিত্তে চলে যান । যার যা-কিছু আছে, ফুলের বাগান, মুন্দর বাড়ী, বড় গাড়ী, সমাদর, আতিথ্য অজস্র হয়ে কবির কাছে ঝরে পড়ে ; উনি অনাসক্তচিত্তে সকলের মধ্য দিয়ে চলে যান, কিছুই ওঁকে বাধে না । সমস্তক্ষণই এত ইনস্পায়ার্ড থাকেন যে, যখনই ঘ বলচেন ত কবিতার মত শ্রেষ্ঠ প্রকাশ পায় । চিস্তার চরম ঐশ্বৰ্য্য পথে পথে ছড়িয়ে চলে যান। কোনোথান থেকে বিদায়কালে রবীন্দ্রনাথের বন্দনায় যে করুণ, যে বেদন লোকের মুখে দেখতে পাই তাতে আমাদের মন বিকল হয়ে যায় । আমরাও সঙ্গগুণে ভালবাস পাই, বন্ধুহৃদয়ের দান এমন করে আমাদের কাছে আসে যে সঙ্কোচ হয়, যোগ্যতার পরীক্ষায় অস্থয় গুচি হয়ে ওঠে। কি সুন্দর দেশের মধ্যে দি: খড়ি কি বলব—এতই বেশী সৌন্দর্য্য দেখেচি, এত বেশী সহৃদয়ত পেয়েচি যে বহুকাল পূৰ্ব্বেই আমাদের