পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাশ্মীরের কথা অধ্যাপক শ্ৰীসুরেন্দ্রনাথ ভট্টাচাৰ্য্য, এম্-এ সম্রাট জাহাঙ্গীর দিল্লী হ’তে কাশ্মীর আসতেন হাতীতে চড়ে ছ'মাসে, কারণ পথের উপর কাপেট বিছিয়ে দেওয়া হ’ত, পাছে তার হাতীর পায়ে লাগে। আমরা এসেছি ট্রেনে ও মোটরে । শীঘ্রই সেদিন আসবে যখন হাওয়াই জাহাজের কুপায় বোম্বাই, মান্দ্রাজ ও কলিকাতাবাসী এই ভূস্বর্গ কাশ্মীরে পৌছে যাবেন কয়েক ঘণ্টায়। বক্তমান যুগে আমরা বিশেষ ব্যস্তবাগীশ হ’য়ে উঠেছি । পথের শেষে পৌছানোর জন্য আমরা ব্যস্ত ; কিন্তু পথে কি আনন্দ নেই ? যে পথ আমাদের গন্তব্যস্থানে পৌছে দেয়, তারও দাবী আছে । যখন গরুর গাড়ী, এক্কা, টাঙ্গ৷ ও ঘোড়াই ছিল পথের সঙ্গী তখন পথের প্রত্যেক অংশের সঙ্গে মানুষের পরিচয় হ’ত । এখনও এ পথে টাঙ্গ চলে, গরুর গাড়ী মাল নিয়ে চলে রাত্রে, দিনে বিশ্রাম করে, প্রায় পনের দিন লাগে শ্রীনগর পৌছতে। ডমেলের নিকট দেখলাম দুজন ইংরেজ-মহিল হাতে ক্যামেরা নিয়ে হেঁটে চলেছেন, পাশে টাঙ্গ চলেছে । পুঝলাম এদের সৌন্দয্যপিপাস্ত্র মন মোটরে সস্থঃ ত’তে পারেনি, কাজেই এই দীঘ পথ এর পায়ে হেঁটে ও টাঙ্গায় অতিক্রম করতে চান । রাওয়ালপিণ্ডি থেকে শ্রীনগরের পথ ১৯৮ মাইল । এই পথটি অনেক দিনের , পথে অনেকগুলি ডাকবাংলো আছে । বাস্তবাগীশের একদিনেই মোটরে এই পথ অতিক্রম ক’রে গৌরব বোধ করেন। পেশোয়ার এক্সপ্রেস রাওয়ালপিণ্ডি পৌছায় সকাল ছ’টায় । ষ্টেশনে সামান্য কিছু জলযোগ ক’রে তক্ষশীলা দেখতে যাওয়া উচিত। মোটরপথে পচিশ মাইল, ট্রেনেও যাওয়া যায়। হিন্দু ও বৌদ্ধযুগে নগর নিৰ্ম্মাণ-কৌশল কেমন ছিল তার পরিচয় এখানে পাই। পাহাড়ের উপর সুন্দর প্রাকৃতিক আবেষ্টনের মধ্যে বৌদ্ধ বিহার নিৰ্ম্মিত হ’য়েছিল, তার ধ্বংসাবশেষ এখনও আছে। ভাস্করের যে কত বড় সাধক ছিলেন র্তাদের খোদিত বোধিসত্ত্বের মূৰ্ত্তিতেই তার পরিচয় পাই। তক্ষশীলা মুজিয়মটি বড় সুন্দর। অতীতের এত ঋিলমের গর্জ অমূল্য সম্পদ এমন চমৎকার ক’রে সাজিয়ে রাখা হয়েছে যে, তার জন্য মাশাল সাহেবকে ধন্যবাদ না দিয়ে থাকা যায় না । এখান থেকে বেলা ১১টায় রাওয়ালপিণ্ডিতে ফিরে বেলা ২টা নাগাং শ্রীনগর যাত্রা করা যায়। মোটরের ভাড়া সম্বন্ধে কিছু স্থির করা কঠিন ব্যাপার। সাধারণতঃ মে ও সেপ্টেম্বরে ৮০ টাকায় ( ‘টোল’