পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ぬめ8 প্রবাসী—কাৰ্ত্তিক, ১৩৩৭ [ ৩০শ ভাগ, ২য় খণ্ড مبہ، مرہ بر* مبسی،: محمدیہ مجمح" কিন্তু তার মুখের ভাব দেখেই আমি বুঝতে পারি, তিনি খুশি হয়েছেন কি না।” দেবকুমার কিছু বলিল না । গাড়ী যখন প্রায় বাড়ীর কাছাকাছি আসিয়া পড়িয়াছে, তখন মায়ার দুই হাত ধরিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “মায়, হয়ত মায়ের অনুমতি পাবে না । তখন কি করবে ? আমার কাছে তাহ’লে আর আসবে না ?” মায়ার চোখ আবার জলে ভরিয়া উঠিল । সে দেবকুমারের দিকে চাহিয়া বলিল, “আপনাকে ছেড়ে আমি বঁচব না।” গাড়ী ফটকের ভিতর ঢুকিয়া পড়িল। হলট খালি, ছোকৃর দিড়ির এক কোণে বসিয়। ঢুলিতেছে । গাড়ী থামার শব্দে সে চমকিয় উঠিয়া পলায়ন করিল। মায় নীরবেই গাড়ী হইতে নামিয়া আসিল । দেবকুমারও তাহার পিছন পিছন হলে ঢুকিয়া বলিল, “তোমার গাড়ীটাকে আর খাটাব না, ট্যাক্সিওয়ালাটাকে V. সময় এখানে আসতে বলে দিয়েছি। নট বাঙ্গতে বেশী দেরি নেই, মিনিট দশ বারে। ততক্ষণ নীচেই কোথাও বস। যাকু ” নিরঞ্জনের আপিস ঘরট খালি পড়িয়], তিনি তখনও ফেরেন নাই। মায়ু সেই ঘরে গিয়া প্রবেশ করিল, দেবকুমারকে ডাকিয় বলিল, “এই ঘরে আসুন ।” দেবকুমার ঘরের ভিতরে আসিয়া জিজ্ঞাসা করিল, “আমি কি চিরকালই আপনি থাকব না কি ?” মায়ার মুখে একটা ক্ষীণ হাসির রেথ দেখা দিল, সে বলিল, “এখনও সময় উৎরে যায় নি ত ? হঠাৎ ‘তুমি’ বলতে কেমন যেন বাধবাধ ঠেকে।” দেবকুমার উঠিয়া আসিয়া মায়ার চেয়ারের হাতলের উপর বসিয়া বলিল, “তোমার হয়ত হঠাৎ মনে হচ্ছে আমি কিন্তু গোড়া থেকেই ‘তুমি বলতে ব্যস্ত ছিলাম, কাজেই আমার একটু ৪ বাধবাধ ঠেকেনি। ভাগ্যে রাশিয়ান ব্যালেটট এসেছিল, তাহন হ’লে আরও কত দিন তোমায় “আপনি" : মশায়” করে কাটাতে হ’ত ত৷ কে জানে ? কৃতজ্ঞ তার গতিরে আরও একদিন আমাদের খাওয়া উচিত। অবিশুি নাচ দেখাটা সমানই হবে " মায়া বলিল, “যা হবার তা হ’তই, রাশিয়ান ব্যালেট না হোক, একটা কিছু উপলক্ষ্য করে হ’ত ।” দেবকুমার উঠিয়া পড়িয়া বলিল, “ঐ যে আমার রদ এসে পৌছল দেখছি। লোকট। একটু কম পাংচুয়েল হ’লেও ক্ষতি ছিল না। নিতান্ত তাহ’লে উঠতে হ’ল । তোমার বাবার কাছে কাল তাহ’লে যাব না ? কেন জানি না, আমার মনে হচ্ছে গেলে তিনি অমত করতেন না ।” মায়াও উঠিয় দাড়াইয় জিজ্ঞাসা করিল, “কেল আপনার তা মনে হচ্ছে ?” দেবকুমার বলিল, “তোমাকে ব্যালেটে নিয়ে যেতে অনুমতি দিলেন ব’লে । আমাকে একেবারে একট। ‘স্থানডিজায়ারেব’ল্ মনে করলে কখনও তা করতেন না ।” মায়ারও এই কথ। এই কারণে মনে হইয়াছিল, সে বলিল, “হয়ত আপনার কথাই ঠিক । বাব। এর আগে কখনও আমাকে একল! কারও সঙ্গে খেতে দেন নি ।” দেবকুমার হাসিয়া জিজ্ঞাস করিল, “কেউ নিয়ে যেতে চেয়েছিল কি ?” মায় বলিল, “ত চায়নি অবশ্ব ।” বাহিরে ট্যাক্সিওয়াল অসহিষ্ণু হইয়। উঠিয়াছে বোঝ। গেল। দেবকুমার বলিল, “আচ্ছা, চললাম, কাল ন যাই, পরশু কিন্তু নিশ্চয় যাব । এর ভিতর তোমার যা করবার করে নিও । কাল কি আসব একবার, না তাও বারণ ?” মায় বলিল, “ন, ন, বারণ কেন হবে, আপনি আসবেন ।” দেবকুমার মায়ার দুই হাত ধরিয়া নিজের কাছে টানিয়। আনিয়া বলিল, “আজ রাত্রে খুব ভাল স্বপ্ন দেখে । এতখানি পাবার পরে যদি আবার ফিরে যেতে হয় তাহ’লে সহ করতে কিছুতেই পারব না।” মায়া দেবকুমারের বুকের উপর মাথ। রাখিয়া বলিল, “আপনার চেয়ে আমারই ভয় বেশী।” দেবকুমার মায়ার চুলের উপর চুম্বন করিয়া বলিল, “থাক, ও বিষয়ে ইতর-বিশেষ ঠিক করবার প্রয়োজন না হ’লেই ভাল। যাই তাহ’লে এখন, কেমন ? কাল সাড়েপাচটার মধ্যেই অসিব ।”