পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ა oჯ) প্রবাসী—কাৰ্ত্তিক, ১৩৩৭ [ ৩০শ ভাগ, ২য় খণ্ড S SAASAASAASAASAASAAAS নিরঞ্জন বলিলেন, “আচ্ছ, আপনিই গিয়ে একজন নাস পাঠিয়ে দেবেন। আমার চাপরাশীকে আপনার সঙ্গে দিচ্ছি। আপনি আর কাকে কাকে ডাকা দরকার মনে করেন ? কলকাতায় টেলিগ্রাম করতে হ’লেও আজই করা ভাল।” ডাক্তার বলিলেন, “আহা, আপনি অত ভয় পাচ্ছেন কেন ? তেমন সিরিয়ুস মনে করলে আমিই কি টেলিগ্রাম করতে বলতাম না ? তা আপনি যখন অত ব্যস্ত হচ্ছেন, তখন বিকেলে আমি একেবারে সিবিল সার্জেনকে নিয়ে আস্ব। আমার মনে হয়, দু-এক দিনের মধ্যে আপনার মেয়ে নিজের থেকেই ভাল হয়ে উঠবেন ।” নিরঞ্জন ডাক্তারের সঙ্গে সঙ্গে নীচে নামিয়া আসিলেন । তাহার তখনও চা খাওয়া হয় নাই । ছোকরা আসিয়া জানাইল চা দেওয়া হইয়াছে। নিরঞ্জন চিন্তিত মুখে খাবার ঘরে ঢুকিয় চেয়ার টানিয়া বসিয়৷ ড়িলেন। ওয়ার রুচি তাহার ছিল না। এক পেয়াল **उंभू निम्न। लङ्केश आएख आrख हूम्रू निरउ লাগিলেন । মায় তাহার একমাত্র সস্তান। জীবনের সকল ব্যর্থ স্নেহ, ভালবাসা, সবই এই একমাত্র কন্যাকে আশ্রয় করিয় এতদিনে সাধক হইয়াছিল । মায়াই ছিল তাহার বিশ্বজগৎ । তাহাকে বাদ দিয়া কোনো কিছু তিনি আজকাল ভাবিতেও পারিতেন না । তাহার হঠাৎ এই রকম অস্থখ হইয় পড়ায় নিরঞ্জনের বুকের ভিতরটা দমিয়া গেল। কেন যে এইপ্রকার হইল, কিছুই তিনি বুঝিতে পারিতেছিলেন না, ডাক্তারদেরও কিছুই বলিতে পারেন নাই। দেবকুমার আমিলে খানিকটা কিছু বোঝা যাইবে মনে করিয়া তিনি তাহার আসার অপেক্ষ করিতেছিলেন । বাহিরে গাড়ী দাড়াইবার শক শোনা গেল । নিরঞ্জন ছোকরাকে বলিলেন, “তুমি ব্যারিটার সাহেবকে এখানেই নিয়ে এস, আর একটা চায়ের পেয়ালা দাও।” ছোকরা পেয়াল সাজাইয়া রাথিয়া চলিয়া গেল এবং মিনিটখানিক পরেই দেবকুমারকে সঙ্গে করিয়া ফিরিয়া --مہابیہی ہے ۔۔۔۔۔۔۔۔۔ আসিল । দেবকুমারের চেহারা ভাল দেখাইতেছিল না, কোনো কারণে সেও বেশ খানিকটা মূষ ড়াইয়া পড়িয়াছে তাহা বোঝাই যাইতেছিল । ছোক্রাকে বিদায় করিয়া দিয়া নিরঞ্জন বলিলেন, "বোসে । চা থেয়ে এসোনি বোধ হয় ?” দেবকুমার বলিল, “ম, আপনার চিঠি পেয়েই তাড়াতাড়ি চলে এলাম, চা খাইনি।” সেও এক পেয়াল চ টানিয়া লইয়া বসিল বটে, কিন্তু খাইবার চেষ্টাও করিল না। খবরের কাগজখানা উঠাইয়া লইয়া উন্টাইয়া পাণ্টাইয়া দেখিতে লাগিল । নিরঞ্জন বলিলেন, “তোমায় কেন ডেকেছি বুঝতে পারনি বোধ হয়। তাড়াতাড়িতে সব কথা লিখিনি । কাল রাত্রে ব্যালেট থেকে ফিরবার পরই মায়া হঠাৎ ফেণ্ট করেছে, এখন পর্য্যস্ত ভাল করে জ্ঞান হয়নি । ডাক্তার বলছেন খুব একটা শক্‌ পেয়ে সম্ভবতঃ এ রকম হয়েছে। তুমি যদি কিছু বলতে পার, সেইজন্তে তোমায় ডেকে পাঠিয়েছি । ঝি-চাকররা কিছুই জানে না ।” দেবকুমারের মুখ আশঙ্কায় বেদনায় যেন কালে হইয়া উঠিল । মিনিটখানিক ভাবিয়া লইয়া বলিল, "কালকে এক্সাইটেড হবার মত কারণ র্তার ঘটেছিল বটে, তবে কিছু শক্‌ পেরেছেন বলে ত মনে হয়নি । আমার সঙ্গে যখন ফেরেন তখন ত বেশ ভালই ছিলেন ।” নিরঞ্জন বলিলেন, “এক্সাইটেড কেন হয়েছিল, আমায় বলতে পার ” দেবকুমার বলিল, “আমি তার কাছে বিবাহের প্রস্তাব করেছিলাম।” সাজাইয়া গুছাইয়া কিছু সে বলিতে পারিল না, তাহার যেন কণ্ঠরোধ হইয়। আসিতেছিল । নিরঞ্চম বলিলেন, “মায়া কি উত্তর দিয়েছিল ?” দেবকুমার আগের মত ভাবেই বলিল, “তিনি অমত করেন নি। বাড়ী পৌছানোর সময় তাকে কিছু অসুস্থ মনে হয়নি।” নিরঞ্জন বলিলেন, “কেন এরকম হ’ল কিছু বুঝতে পারছ না ?”