পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ]


ASMAMMAASAMMAAASAAAS

মহামায়া X o q দেবকুমার বলিল, “কিছু না । এক্সাইটমেন্টের আতিশয্যে এতটা হ’তে . পারে না। বিশেষ ক’রে র্তার যখন অসম্মতি ছিল না । আমি চলে যাবার পর কিছু এমন ঘটেছে সম্ভবতঃ যা তাকে খুব শক্‌ দিয়েছে ।” নিরঞ্জন বলিলেন, “কি যে ঘটতে পারে তা ত জানি না । চাকরবাকররা তাহ’লে কিছু ত অন্তত: নোটিস করত ? আর কতটুকু বা সময় ? তুমি যাবার পর আধ ঘণ্টার মধ্যেই আমি এসেছি।” খানিকক্ষণ দুইজনেই চুপ করিয়া রহিলেন। তাহার পর দেবকুমার বলিল, “আমি আজই আপনার কাছে খাব ঠিক করেছিলাম, আপনার অনুমতি নিতে । শুধু মায় বারণ করায় একদিন দেরিতে যাব স্থির ছিল |” নিরঞ্জন বলিলেন, “আমার কিছু অসম্মতি নেই বাবা । সবদিক্ দিয়েই তুমি মায়ার যোগ্যপাত্র। সেও তোমার প্রতি আকৃষ্ট হয়েছে ব’লেই আমার মনে হয়েছিল । মার বিশেষ সেকেলে প্রেজুডিস্ নেই, তবু যারতার সঙ্গে মেয়েকে বেশী মিশতে আমি দিই না, পাছে এর থেকে মায়ার কোনো মনোবেদনার কারণ ঘটে। তুমি যে কখনও সে রকম কিছু ঘটাবে না তা বিশ্বাস করি ব’লেই তোমাকে কিছু বাধা দিইনি। আজকার দিনট। সবদিক দিয়ে আনন্দের দিন হ’ত, যদি মায়ার এই অসুখট না হ’ত ” দেবকুমার অবনত হইয়া নিরঞ্জনকে প্রণাম করিল। নিরঞ্জন তাহার মাথায় হাত দিয়া নীরবে আশীৰ্ব্বাদ করিলেন । এমন সময় ট্যাক্সি চড়িয়া চাপরাশী নাসা লইয়া ফিরিয়া আসিল । দেবকুমার জিজ্ঞাসা করিল, “ওঁকে কে দেখছেন ?” নিরঞ্জন বলিলেন, “আমাদের পঞ্চানন ডাক্তার । তিনি বিকেলে সিবিল সার্জনকে নিয়ে আসবেন বলেছেন। দেখি তার কি বলেন। দরকার হ'লে কলকাতায় টেলিগ্রাম করতে হবে।” দেবকুমার একটু ইতস্তত করিয়া বলিল, “আমি ওঁকে একবাব দেখে ধেতে পারি ?” নিরঞ্জন বলিলেন, “চল, ডাক্তার যদিও ওর ঘরে লোকজন যেতে দিতে বারণ করেছেন, তবু তুমি গেলে ক্ষতি কিছু নেই, বরং লাভ হতে পারে।” নিরঞ্জন দেবকুমারকে লইয়া উপরে উঠিয়া আসিলেন । মায়ার ঘরের দরজার কাছে বুড়ী আয় আসিয়া নীরবে অশ্রপাত করিতেছিল, সে দেবকুমারকে দেখিয়া একবার কটুমটু করিয়া তাকাইল, তাহার পর সরিয়া বসিল । বুড়ীর ধারণা হইয়াছে যে, দেবকুমারের কোনো ক্রটিতেই মায়ার এই দশা হইয়াছে। দেবকুমারের তখন সে-সব কিছু লক্ষ্য করিবার মত মনের অবস্থা ছিল না । সে নিরঞ্জনের পিছন পিছন ঘরের ভিতর ঢুকিয় গেল । মায়। তখনও ঘুমাইতেছে মনে হইল । তবে মুখের রং আর আগের মত অস্বাভাবিক পাণ্ডুবর্ণ নাই। নিঃশ্বাসপ্রশ্বাসও নিয়মিত হইয়া আসিয়াছে। নবাগত নাসটি চুপচাপ এক কোণে বসিয়া আছে, দু বিশেষ কিছু করিবার নাই । سحر لأ{ দেবকুমার চুপ করিয়া কিছুক্ষণ মায়ার বিছানার পাশে দাড়াইয়া রহিল। তাহার পর বাহির হইয়া আসিয়া বলিল, “বিকেলে আর একবার আসব, সিবিল সর্জেন ক’টার সময় আসবেন ?” নিরঞ্জন বলিলেন, “সাড়ে চারটা কি পাচটায়। তুমি তোমার বাবাকে বোলো অাজ সব কাজ দেখতে । আমি একেবারেই যেতে পার্ব কিনা জানি না । অঞ্জ আমার বোনকে আসতে টেলিগ্রাম করছি। শুধু ‘পেড়, য়্যাটেনডেণ্টে’র উপর মায়াকে ফেলে রাখতে চাই না । ইন্দু না আসা পর্য্যন্ত আমার কাজকর্শের খুবই অসুবিধা হবে ।” দেবকুমার চলিয়া গেল । নিরঞ্জন নিজের কাগজপত্র লইয়া উপরেই আসিয়া বসিলেন । দুপুর বোট প্রায় একইভাবে কাটিয়া গেল। মায়া তাকাইল না বা কথা বলিল না, কিন্তু অবস্থার কোনো অবনতিও লক্ষিত্ত হইল না । বিকালে সিবিল সার্জেনকে সঙ্গে করিয়া পঞ্চানন ডাক্তার আসিয়া উপস্থিত হইলেন। দেবকুমারও কয়েক