পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SAASAASAASAASAASAASAASAA AAAS সেকেলে বড় পার্থীতে উঠাষ্টয়া বাজনা বাদ্য ও ধুমধামের , fচত মহা অাদরে ঘাট হইতে নাটমন্দিরের বরাসনে আনা হইতেছিল—এমন সময় এক অভূতপূৰ্ব্ব ঘটনা ধল । বাড়ীর উঠানে পাল্কীখানা আসিয়া পৌছিয়াছে, ঠাং বর নাকি পান্ধী হইতে লাফাইয়া পড়িয়া চেচাইয়। পলিতে থাকে হুঙ্কা বোলাও, হুক্কা বোলাও ! ! সে কি বেজায় চীংকার । একমুহূৰ্ত্তে সব গোলমাল হইয় গেল। চীৎকার হঠাৎ থামে না, বরকত্ত্ব স্বয়ং দৌড়াইয় গেলেন, বরপক্ষের প্রবীণ লোকেরা ছুটিয়া গেলেন,-চারিদিকে সকলে অবাক, প্রজার অবক্,ি গ্রামমৃদ্ধ অবাক ! সে এক কাগু | চক্ষে না দেখিলে বুঝানো কঠিন—আর কি যে ললে, সারা উঠান জুড়িয়া প্ৰজ', প্রতিবেশী, আত্মীয় {টুথ, পাড়ার ও গ্রামের শূদ্র ভদ্র সকলে উপস্থিত, সকলের সামনে—বা দুধ্যে বাড়ীর মেয়ের বিবাহে এ ভাবের ঘটনা ঘটিবে, তাহা স্বপ্ন। ভীত, এ উহার মুখ চাওয়া-চাওয়ি করে, মেয়েদের মধ্যে কান্নাকাটি পড়িয়া গেল। বর যে প্রকৃতিস্থ নয়, একথা বুঝিতে কাহারও বাকী রহিল না । বরপক্ষ যদিও নানাভাবে কথাটা ঢাকিবার যথাসাধ্য চেষ্টা করিলেন, কেহ বলিলেন গরমে ও সারাদিনের উপবাসের কষ্টে – ও কিছু নয়, ও রকম হইয়া থাকে. কিন্তু ব্যাপারট। অত সহজে ধামা চাপা দেওয়া গেল না, ক্রমে ক্ৰমে নাকি প্রকাশ হইতে লাগিল যে বরের একটু সামান্য ছিট আছে বটে, – কিংবা ছিল বটে, তবে সেটা সব সময়ে যে থাকে তাহ! নয়, আজকার গরমে, বিশেষ উৎসবের উত্তেজনায়— ইত্যালি । ব্যাপারটা অনেকখানি সহজ হইয়া আসিতেছিল, নানা পক্ষের বোঝানোতে আবার সোজা হাওয়া বহিতে স্বরু করিয়াছিল, মেয়ের পাপ শশীনারায়ণ বাড়ুৰ্য্যেও মন হইতে সমস্তটা ঝাড়িয়া ফেলিতে প্রস্তুত ছিলেন—তাহা ছাড়া উপায়ও অবগু ছিল না—কিন্তু এদিকে মেয়ের মা অর্থাৎ প্রণবের বড় স্বামীম মেয়ের হাত ধরিয়া নিজের ঘরে ঢুকিয়া খিল পাছেন,—তিনি বলেন, জানিয়া শুনিয়া তাহার সোনার প্রতিমা মেয়েকে তিনি ও-পাগলের হাতে কখনই তুলিয়া ত পরিবেন না, যাহা অদৃষ্টে আছে ঘটিবে, সকলের অপরাজিত SASJJAAASA SAASAASAASAASAAAS Ꮌ Ꮌ☾ -۔م۔ --م۔م۔۔۔۔۔۔۔مہم س*بی۔" বহু অমুনয় বিনয়েও এই তিন চার ঘণ্টার মধ্যে তিনি আর ঘরের দরজা খোলেন নাই, নাকি এমন তেমন বুঝিলে মেয়েকে রাম-দা দিয়া কাটিয়া নিজের গলায় দা বসাইয়া দিবেন এমনও শাসাইয়াছেন, সুতরাং কেহ দরজা ভাঙিতেও সাহস করে নাই । অপর্ণাও এমনি মেয়ে, সবাই জানে মা তাহার গলায় যদি সত্যই রাম-দা বসাইয়া দেয়ও, সে প্রতিবাদে মুথে কখনো টু শব্দটি উচ্চারণ করিবে না, মায়ের ব্যবস্থ শাস্তভাবেই মানিয়া লইবে । MAAASAASAASAA পিছনের ভদ্রলোকটি বলিলেন আপনি না রক্ষা করলে আর কেউ নেই, হয় এদিকে একটা খুনো খুনি হবে, না হয় সকাল হ’লেই ও মেয়ে দো-পড়া হয়ে যাবে- এ সব দিকের গতিক তো জানেন না, দো-পড়া হ’লে কি আর ও মেয়ের বিয়ে হবে মশাই ?... আহা, অমন সোনার পুতুল মেয়ে, এত বড় ঘর, ওরই অদৃষ্ঠে শেষে কিনা এহ কেলেঙ্কারী ! এ রাত্রের মধ্যে আপনি ছাড়া আর এ অঞ্চলে ও মেয়ের উপযুক্ত পাত্র কেউ নেই—বাচান, আপনি--- প্রণব বলিল, শুকুন ভাদুড়ী মশাই, আমার বন্ধুকে অামি জানি ভালো করেই । আমি বলচি আমার বোনের যদি খুব শিবপুজোর জোর থাকে, তবেই এর মত স্বামী পেতে পারে, নয় তো নয়— অপুর মাথায় যেন কিসের দাপাদাপি, মাতামাতি .. মাথার মধ্যে যেন চৈতন্যদেবের নগর সংকীৰ্ত্তন স্বরু হইয়াছে ! এ কি সঙ্কটে তাহাকে ভগবান ফেলিলেন । সকল প্রকার বন্ধনকে সে ভয় করে, তাহার উপর বিবাহের মত বন্ধন ! এই তো সেদিন মা তাহাকে মুক্তি দিয়া গেল—আবার এক বৎসর ঘুরিতেই একি ! বিবাহের উপর তাহার একটা দারুণ বিদ্বেষের ভাব আছে, মনে মনে সে বিবাহকে ভয়ও করে | মেয়েটর মুখ মনে হইল। আজই সকালে দিঘীর ঘাটে তাহাকে দেখিয়াছে “কি শান্ত, সুন্দর গতিভঙ্গি । সোনার প্রতিমাই বটে, তাহারই অদৃষ্ট্রে উৎসবের দিনে এই বাসন ! “তাহ ছাড়া রাম-দা এর কাওট। .