পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ꮌ ᎼᏬ


----- ....بیہہ یہی۔ مہمہ۔۔۔۔۔۔۔--ممم ۔

সে বলিল চল ভাই, যা করতে বলবে, আমি করবো, এস । নীচে কোথাও কোনো শব্দ নাই, উৎসব-কোলাহল থামিয়া দিয়াছে, বরপক্ষ এবাড়ী হইতে সদলবলে উঠিয়া গিয়া ইহাদের সরিক রামদুল্লভ বাড়ধ্যের চণ্ডীমণ্ডপে আশ্রয় লইয়াছেন, এবাড়ীর ঘরে ঘরে খিল বন্ধ । কেবল নাটমন্দিরের উত্তর বারান্দার স্থানে স্থানে দু-চারজন লোক জটলা করিয়া কি বলাবলি করিতেছে, আশ্চর্য এই যে সম্প্রদান সভায় পুরোহিত মহাশয় এত গোলমালের মধ্যে ৪ ঠিক নিজের কুশাসনখানির উপর বসিয়া আছেন, তিনি নাকি সেই সন্ধ্যার সময় আসনে বসিয়াছেন আর উঠেন নাই । সকলে মিলিয়া লইয়া গিয়া অপুকে বরাসনে বসাইয়া দিল । এসব ঘটনাগুলি পরবর্তী জীবনে অপুর তত মনে ছিল নু, ব্রাঞ্জা খবরের কাগজের ছবির মত অস্পষ্ট ধোয় ম্পধোয় ঠেকিত। তাহার মন তখন এত দিশহারা ও অপ্রকৃতিস্থ অবস্থায় ছিল, চারিধারে কি হইতেছে, তাহার স্বাদেী লক্ষ্য ছিল না । আবার দু-একটা যাহা লক্ষ্য করিয়াছিল, যতই তুচ্ছ হোকৃ, গভীরভাবে মনে তাকিয় গিয়াছিল, যেমন— সামিয়ানার কোণের দিকে কে একজন ডাব কাটিতেছিল, ডাবটা গোল ও রাঙা, কাটারির বাটটা বাশের— অনেকদিন পর্য ও মনে ছিল । রেশমী-চেলী-পর। সালঙ্কার। কন্যাকে সভায় আনা হইল, বাড়ীর মধ্যে হঠাৎ শাক বাজিয়া উঠিল, উলুধ্বনি শোনা গেল, লোকে ভিড় করিয়া সম্প্রদান সভার চারিধারে গোল করির দাড়.ইল । পুরোহিতের কথায় অপু চেলা পরিল, নতুন উপবীত ধারণ করিল, কলের পুতুলের মত মস্ত্রপাঠ করিয়া গেল । স্ত্রী আচারের সময় আসিল, তখনও সে অন্তমনগ্ধ, নববধূর মত সে-ও ঘাড গুজিয়া আছে, ব্যাপারট। কি ঘটিতেছে চারিধারে তখনও ঘুেন সে সম্যক ধারণা করিতে পারে নাই—কানের পাশ দিয়া কি একটা যেন শিল্প শির করিয়া উপরের দিকে প্রবাসী — কীৰ্ত্তিক, ১৩৩৭ [ ৩০শ ভাগ, ২য় খণ্ড উঠিতেছে,—না-ঠিক উপরের দিকে নয়, যেন নীচের দিকে নামিতেছে । প্ৰণবের বড় মামী-মা কাদিতেছিলেন তাহা মনে আছে, তিনিই আবার গরদের শাড়ীর আঁচল দিয়া তাহার মুখের ঘাম মুছাইয়া দিলেন, তাহাও মনে ছিল। কে একজন মহিলা বলিলেন-মেয়ের শিবপুজোর জোর ছিল বড়বে, তাই এমন বর মিললে । ভাঙা দালান যে রূপে আলো করেচে 1 • • শুভদৃষ্টির সময় সে এক অপূৰ্ব্ব ব্যাপার । মেয়েটি লজ্জায় ডাগর চোখ দুটা নত করিয়া আছে, অপু কৌতুহলের সহিত চাহিয়া দেখিল ভাল করিয়াই দেখিল, যতক্ষণ কাপড়ের ঢাকাট ছিল, ততক্ষণ সে মেয়েটার মুখে ছাড়া অন্যদিকে চাহে নাই—চিবুকের গঠন ভঙ্গিটি একচমক দেখিয়াই এত সুঠাম ও সুন্দর মনে হইল। দেবী প্রতিমার মত রূপই বটে, চূর্ণ অলকের ছ এক গাছ। কানের আশে পাশে পড়িয়াছে, হিস্কুল রঙের ললাটে ও কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম। কানে সোনার দুল আলো পড়িয়া জলিতেছিল। মুখশ্রীর পবিত্রতা মনে একটা আনন্দের ভাব জাগাইয় তোলে। বাসর হইল খুব অল্পক্ষণ, রাত্রি অল্পই ছিল । মেয়েদের ভিড়ে বাসর ভাঙিয়া পড়িবার উপক্রম হইল । ইহাদের মধ্যে অনেকেই বিবাহ ভাঙিয়া যাইতে নিজের নিজের বাড়ী চলিয়া গিয়াছিলেন, কোথা হইতে একজমকে ধরিয়া আনিয় অপর্ণার বিবাহ দেওয়া হইতেছে শুনিয়া তাহারা পুনরায় ব্যাপারটা দেখিতে আসিলেন, একরাত্রে এত মঞ্জা এ অঞ্চলের অধিবাসীর ভাগ্যে কখনও জোটে নাই—কি স্তু পথ-হইতে-ধfরয়া-অনি! বরকে দেখিয়া এবং তাহার কথা ও গলার স্ট্রর শুনিয়া স লেই একবাক্যে স্বীকার করিলেন এইবার অপর্ণার উপযুক্ত বর হইয়াছে বটে। প্ৰণবের বড় মামী-ম। তেজস্বিনী মহিল, তিনি বাকিয় না বসিলে বোধ হয় বায়ুরোগগ্ৰস্ত পাত্রটির সহিতই আজ তাহার মেয়ের বিবাহ হইয়া যাইত নিশ্চয়ই । এমন কি তার অমন রাশ-ভার স্বামী শশীনারায়ণ বাড়য্যে যখন নিজে বদ্বদরজার কাছে দাড়াইয়া বলিয়াছিলেন