পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা } অপরাজিত » X°ል বড়-বেী, কি কর পাগলের মত, দোর খোল, আমার মুখ রাখে।--ছিঃ—তখনও তিনি অটল ছিলেন । তিনি বলিলেন—ম যখনই একে পুলুর সঙ্গে দেখেচি, তখনই আমার মন যেন বলেচে এ আমার আপনার লোক— ছেলে তো আরও অনেক পুলুর সঙ্গে এসেচে গিয়েচে কিন্তু এত মায়া কারোর ওপর হয়নি কখনও—ভেবে দ্যাখে। মা, এ মুখ আর লোকালয়ে দেখাবে না ভেবেছিলাম-ও ছেলে যদি আজ পুলুর সঙ্গে এবাড়ী না আসতে – পূর্বের সেই প্রৌঢ় বাধা দিয়া বলিলেন – তা কি করে হবে মা, ওই যে তোমার অপর্ণার স্বামী, তুমি আমি কেনারাম মুখুয্যের ছেলের সঙ্গে ওর সম্বন্ধ ঠিক করতে গেলে কি হবে, ভগবান যে ওদের দুজনের জনো দুজনকে গড়েচেন, ও ছেলেকে যে আজ এখানে আসতেই £বে মা-- প্ৰণবের মামী-মা বলিলেন—আবার যে এমন ক’রে কথা বলবো তা আজ দুঘণ্ট। আগেও ভাবিনি—এখন আপনার পাঁচজনে আশীৰ্ব্বাদ করুন, যাতে–মাতে— চোথের জলে র্তাহার গল। আড়ষ্ট হইয়। গেল । উপস্থিত BBBB BB BB BB BS BBB BBBBD BBB অশ্ৰুজল চাপিয়া বসিয়া রহিল। প্রশবের মামী-মার উপর শ্রদ্ধা ও ভক্তিতে তাহার মন মায়ের পরই বোধ হয় এমন তার কাহার উপর - কেবল আর একজন আছেন তিনি মেজো বোরাণী-লীলার মা । তাহ ছাড়া মায়ের উপর তার মনোভাব, শ্রদ্ধা ব! ভক্তির ভাব নয়, তাহা আরও অনেক ঘনিষ্ট, অনেক গভীর, অনেক আপন—বত্রিশ নাড়ীর বাধনের সঙ্গে সেখানে যেন যোগ—সে-সব কথা বুঝাইয়া বলা যায় না । যাক সে কথা । বিশ্বাসঘাতক প্রণব কোথা হইতে আসিয়া সকলকে জানাইয়। দিল যে, নতুন জামাই খুব ভাল গাহিতে পারে । অপর্ণার মা তখনই বাসর হইতে চলিয়া গেলেন,বালিকা ও তরুণীর দল একে চায় তো অারে পায়, এদিকে সন্ম প্রমিয়া রাঙ হইয়া উঠিয়াছে, না সে পারে ভাল করিয়া বসিয়া কাহার ও দিকে চাইতে, মা মুখ দিয়া বাহির হয় কোন কথা। নিতান্ত পীড়াপীড়িতে একটা রবিবাবুর গান গাহিল, তারপর আর কেহ ছাড়িতে চায় নী-সুতরাং আর একটা । মেয়েরাও গাহিলেন, একটি বধূর কণ্ঠস্বর ভারি সুমিষ্ট। প্রৌঢ় ঠান্‌দি নববধূর গা ঠেলিয়া দিয়া বলিলেন-ওরে ও নাতনি, তোর বর ভেবেচে, ও বাঙাল দেশে এসে নিজেই গান গেয়ে আসর মাতিয়ে দেবে— শুনিয়ে দেন তোর গলা—জারিজুরি একবার দে না (5び&ー অপু মনে মনে ভাবে—কার বর ?...সে তাবার কার বর ?.এই যে স্থসজ্জিত সুন্দরী নতুবা মেয়েটি তার পাশে বসিয়া, এ তার কে হয় ?.গ্ৰী.তাহারই স্ত্রী ? কথাটা এখনও যেন সে মনের মধ্যে গ্রহণ করিতে পারিতেছিল না, সবট মিলিয়া যেন একট। স্বপ্ন বা একটা बस्न ठेाप्ले ।”-- পরদিন সকালে পূৰ্ব্বতন বরপক্ষের সহিত তুমুল কাণ্ড বাধিল । উভয় পক্ষে বিস্তর তর্ক, ঝগড়া, শাপাশাপি, মামলার ভয় প্রদর্শনের পর কেনারাম মুখুয়ো দলবলসহ নৌকা করিয়া স্বগ্রামের দিকে যাত্রা করিলেন । প্রণব বড়মামাকে বলিল— ওসব বড়লোকের মুধু জড়ভরত ছেলের মেয়ে আমি যে অপূৰ্ব্বকে কত বড় মনে করি . এক কলকাতা শহরে সহায়হীন অবস্থায় ওকে যা দুঃখের সঙ্গে লড়াই করতে দেখে চি আজি তিন বছর ধরে—কি পড়াশুনোর টান, আর কি ভয়ানক খাটুনি থাট্‌ছে— ওকে একটা সত্যিকার মানুষ বলে ভাবি–অপুর ঘর বাড়ি নাই, ফুলশযা এখানেই হইল । সে রাত্রে অপু ঘরে ঢুকিয় দেখিল, ঘরের চারিধারে ফুল ও ফুলের মালায় সাজানে', পালঙ্কের উপর বিছানায় মেয়ের একরাশ বৈশাখী চাপাফুল ছড়াইয়া রাখিয়াছে, ঘরের বাতাসে পুপসারের মৃদু সৌরভ । অপু সাগ্রহে নববধূর আগমন প্রতীক্ষা করিতেছিল, বাসরের রাত্রের পর আর মেয়েটির সহিত দেখা হয় নাই বা এ পর্য্যন্ত তাহার সঙ্গে কথাব্যস্ত। হয় নাই আদেী—আজকার রায়ে তাহার সঙ্গে আলাপের সুবিধা ঘটিবে, তাহার সম্বন্ধে সব কথা জানা যাইবে । আচ্ছ, ব্যাপারটা কি রকম ঘটিবে ? অপুর বুক কৌতুহলে ও আগ্রহে টিপ, চিপ, করিভেছিল।