পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] ASAMAMMMAMMMMAAASA SAASAASSAAAAAAMMAMMAAAS r***സ്സ--------l-l-l-l.--ഹ് নেছন হাতে পায়ে অদৃষ্ঠ নাগপাশের মত দিন দুড়াইয়া পড়িতেছে ? পূজার সময় শ্বশুরবাড়ী যাওয়া ঘটিল না। একে তো অর্থাভাবে সে নিজের ভাল জামা-কাপড় কিনিতে পারিল ম, শ্বশুরবাড়ী হইতে পূজার তত্ত্বে যাহা পাওয়া গেল, গ্রহ। পরিয়া সেখানে যাইতে তাহার ভারী বাঁধবাধ ;কিল । তাহা ছাড়া অপর্ণার মা চিঠির উপর চিঠি দিলে কি হইবে, তাহার বাবার দিক হইতে জামাইকে পূজার সময় লইয়। যাইবার বিশেষ কোনো আগ্রহ দেখা গেল স; বরং তাহার নিকট হইতে উপদেশপূর্ণ পত্র পাওয়৷ গেল যে, একটা ভাল চাকরি-বাকুরী যেন সে শীঘ্ৰ দেখিয়৷ লয়, সামান্য পচিশ টাকা বেতনে কোনো ভদ্রসন্তানের দিন চলিতে পারে নী, বিশেষতঃ সে যখন বিবাহিত । এখন অল্প বয়স, এই তে। অর্থ উপাৰ্জ্জনের সময়, এখন আলস্য ও বাসনে কটাইলে- এমনি ধরণের নানা কথা ; এখানে বলা অবশ্যক, এ বিবাহে তিনি অপুকে একেবারে ফাকি বিয়ছিলেন, কেনারাম মুখুয্যের ছেলেকে যাহা দিবার কথা ছিল তাহার সিকি ও এ জামাইকে দেন নাই । শীতকালে বার-তিনেক লোক আসিল, অপর্ণার মা সাদাকাটা করিতেছেন, সম্বন্ধে সকলে একেবারে নির্বাক । কিন্তু সে সময় অপুর দোন ছিল না, ছুটি চাহিয়াও সে পাইল না । ছুটি পাওয়া গেল পুনরায় বৈশাখ মাসে। পূৰ্ব্বদিন রাত্রে তাহার কিছুতেই ঘুম আসে না, কি রকম চুল ছট হইয়াছে, আয়নায় দশবার দেখিল । ওই সাদ! পাঞ্জাবীতে তাহাকে ভাল মানায়, না এই তসরের কোটটাতে ? অপর্ণার মা তাহাকে পাইয়া হাতে যেন আকাশের গদ পাইলেন। সেদিনটা খুব বৃষ্টি, অপু নৌকা হইতে নামিয়া বাড়ীর বাহিরের উঠানে পা দিতেই কে পূজার গলানে বসিয়াছিল, ছুটিয়া গিয়া বাড়ীর মধ্যে খবর গি। এক মুহূর্বে বাড়ীর উপরের নীচের সব জানাল লয় গেল, বাড়ীতে কি-বৌয়ের সংখ্যা নাই, সকলে জনাল হইতে মুখ বাড়াইয়া দেখিতে লাগিলেন-মুঘল ধারায় বৃষ্টিপাত অগ্রাহ করিয়া অপর্ণার মা উঠানে \ \છ ( অপর্ণ কি করিতেছে সে SAASAASAASAASAAMAMMSMSYSMAAASAASAASAAAS তাহাকে আগু বাড়াইয়া লইতে ছুটিয়া আসিলেন, সার বাড়ীতে একটা আনন্দের সাড়া পড়িয়া গেল । ফুলশয্যার সেই ঘরে, সেই পালন্ধেই রাত্রে শুইয়। সে অপর্ণার প্রতীক্ষায় রহিল। কিন্তু অপর্ণ এক আসিল না, তাহার পিছনে একদল বালক-বালিকা উপরে উঠিয়৷ দোরের বাইরেই নিঃশবে দাড়াইয়া রহিল । এক বৎসরে অপর্ণার এ কি পরিবর্তন ! তখন ছিল বালিকা—এখন ইহাকে দেখিলে যেন আর চেনা যায় ন!..লীলার মত চোখ ঝলসানো সৌন্দৰ্য্য ইহার নাই বটে, কিন্তু অপর্ণার ঘাহা আছে, তাহা উহাদের কাহারও নাই। অপুর মনে হইল দু-একখানা প্রাচীন পটে শ্লাক তরুণী দেবীমূৰ্বির, কি দশমহাবিদ্যার ষোড়শী মূৰ্বির মুখে এ-ধরণের অনুপম, মহিমময় স্নিগ্ধ সৌন্দর্য্য সে দেখিয়াছে। , একটু সেকেলে, একটু প্রাচীন ধরণের সৌন্দর্য্য.মৃতরাং দুষ্পাপ্য। যেন মনে হয় এ খাটি বাংলার মাটির জিনিয, এই দূর পল্লীপ্রাস্তের নদীতীরের সকল শামলতা, সকল সরসত, পথিপ্রাস্তের বনফুলের সকল সরলতা ছানিয়া এ মুখ গড় । শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরিয়া বাংলার পল্লীর চু্যতবকুলবীথির ছায়ায় ছায়ায় কত অপরাহ্লে নদীঘাটের যাওয়া-আসার পথে এই উজ্জ্বলহামবর্ণ, রূপসী তরুণী বধূদের লক্ষ্মীর মত আলতা-রঙা পদচিহ্ন কতবার পড়িয়াছে, মুছিয়াছে, আবার পড়িয়ছে...ইহাদেরই স্নেহপ্রেমের, দুঃখ-মুখের কাহিনী, বেহুলা লক্ষীন্দরের গানে, ফুল্লরার বারমাস্তায়, সুবচনীর ব্ৰতকথায়, বাংলার বৈষ্ণব-কবিদের রাধিকার রূপবর্ণনায়, পাড়াগায়ের ছড়ায় উপকথায়, সুয়োরাণী দুয়োরাণীর গল্পে . অপু বলিল –তোমার সঙ্গে কিন্তু আড়ি, সারাবছরে একপান চিঠি দিলে না কেন ?... অপর্ণা সলজ্জ মৃদু হাসিয়া চুপ করিয়া রহিল। পরে একবার ডাগর চোখদুটি তুলিয়া স্বামীর দিকে চাহিয়া চাহিয়া দেখিল। খুব মৃদুস্বরে মুখে হাসি টিপিয়া বলিল— আর আমার বুঝি রাগ হ’তে নেই ?... অপু দেখিল এতদিন কলিকাতায় সে জারুল কাঠের তক্তাপোষে শুইয়া অপর্ণার যে মুখ ভাবিত—আসল মুখ ہےسہہ بم، مسسیسہ، منھم.م.0:سvبx