পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] বিবিধ প্রসঙ্গ—ইঙ্গ-ভারতীয় বৈঠকের কাজ ও কাজের প্রণালী లిసి আলোচনাও হইতে পাব্লিবে । কিন্তু আলোচনা ও তাহার শেষ ফল কিরূপে নিণীত হইবে ঐ বৈঠকের কার্য্যপ্রণালীর কোন আভাসই পাওয়া যায় নাই । ভারতবর্ষ হইতে ৫০ +১৬-৬৬ জন লোক মনোনীত হইয়াছেন, আরও কয়েকজন হইতে পারেন, সরকারী জ্ঞাপনীতে এরূপ আভাস আছে । ব্রিটিশ পক্ষের কতজন লোক বৈঠকে থাকিবেন, জানা নাই। উহাদেরও তিন রাজনৈতিক দলের কি ৬০৭০ জন লোক বৈঠকের সভ্য হইবেন ? এ পর্য্যন্ত কাগজে যাহা বাহির হইয়াছে, তাহাতে মনে হয় না, যে, ব্রিটেনের এত প্রতিনিধি কনফারেন্সে যোগ দিবে। কিন্তু ভারতীয়দের সংখ্যার চেয়ে ইংরেজদের সংখ্যা যদি কম বা বেশী হয়, তাহা হইলে প্রত্যেক প্রস্তাব সম্বন্ধে শেষ সিদ্ধান্ত কি প্রকারে হইবে ? লর্ড আরুইনের এক বক্তৃতায় আছে, যে, কনফারেন্সের সর্বাপেক্ষ অধিক ঐকমত্য ( এগ্ৰীমেন্ট ) যাহা হইবে, ব্রিটিশ গবন্মের্ণ তাহাকে ভিত্তি করিয়া পালেমেণ্টে বিল উপস্থিত করিবেন । কিন্তু ঐকমত্যটা কি প্রকারে নিৰ্দ্ধারিত হইবে ? যে-যে প্রস্তাবে বৈঠকের সভ্যদের মধ্যে কেহই আপত্তি করিবে না, কেবল তাহাই বৈঠকের সিদ্ধাস্ত বলিয়া গৃহীত হইবে ? তাহা হইলে ত ঐকমত্যের সম্ভাবনা খুব কম বলিতে হইবে। কারণ, বৈঠকটা গোল ত নহেই, প্রধানতঃ ত্রিকোণ ও ত্রিভুজ । এক বাহু বা পক্ষ ইংরেজ, আর এক বাহু ভারতীয় রাজন্তবর্গ ও তাহদের কৰ্ম্মচারীরা,এবং তৃতীয় বাহু ব্রিটিশশাসিত ভারতবর্ষ হইতে মনোনীত ভারতীয়ের। ব্রিটিশ পক্ষে ব্রিটিশ তিন রাজনৈতিক দলেরই লোক থাকিবে । ভারতবর্ধকে কত কম দেওয়া যায়, সে বিষয়ে মূলতঃ তিন দলের বেশী মতভেদ না থাকিলেও, পুরা ঐকমত্য না হইতেও পারে। ভারতীয় রাজন্তবর্গ নামে রাজা হইলেও তাহারা ইংরেজের সম্বন্ধে ভারতীয় প্রজাদের চেয়ে অধিক “স্মনোভাবের পরিচয় দিতে বাধ্য। তথাপি সব বিষয়ে তাহারা ইংরেজদের মতে সায় দিতে পরিবেন না, এবং তাহাদের নিজেদের মধ্যেও ব্রিটিশ-শাসিত ভারতের লাকদের রাষ্ট্ৰীয় অধিকার সম্বন্ধে ঐকমত্য হইবার সম্ভাবনা কম। ব্রিটিশ-শাসিত ভারতবর্ধ হইতে গবন্মেষ্ট ষথাসাধ্য নিজেদের মনের মত সভ্য নিৰ্ব্বাচন করিয়া থাকিলেও, তাদের সৰাই “ধামাধর” বা “জে-হুকুম” নয়। স্বতরাং সবাই একমত হইয়া ইংরেজের মতে সায় দিতে পরিবে না। ’ অতএব, অনেক প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হইবে না মনে করা যাইতে পারে । তাহা হইলে কি অধিকাংশের ভোট অনুসারে প্রস্তাৰগুলির ভাগ্যনির্ণয় হইবে ? সেই প্রণালীই যদি অবলম্বিত হয়, তাহা হইলে ভোটগণনা কি প্রকারে হইৰে ? ইংরেজ ও ভারতীয় প্রত্যেক সভ্যের এক ভোট, এইরূপ একটা বুঝাপড়া আগে হইতে হইয়া বৈঠকের কাজ আরম্ভ হইবে কি ? তাহা যদি হয়, এবং যদি ইংরেজ সভ্যের ংখ্যা অপেক্ষ ভারতীয় সন্ড্যের সংখ্যা বেশী হয়, তাহা হইলে আপাতদৃষ্টিতে মনে হইতে পারে, যে, কোন কোন বিষয়ে সব ভারতীয় একমত হইলে ব্রিটিশ পক্ষ হারিয়া যাইবে। কিন্তু ভারতীয় রাঙ্গ ও প্রজাদের মধ্যে সম্ভবতঃ এত “জো-হুকুম" আছে, যে, এরূপ "দুর্ঘটনা’ না-ঘটিতেও পারে। বৈঠকের সভাপতি কে হইবেন, তাহার আলোচনা বিলাতী সংবাদপত্রমহলে হইতেছে । কোন কোন কাগজ লয়েড জর্জ কে সভাপতি করিতে বলিতেছে । একথান। কাগজ লিখিয়াছে প্রধানমন্ত্রী ম্যাকডোনাল্ড সভাপতি হইবেন স্থির হইয়াছে। তাহ অসম্ভব নয় । এত বড় একটা সমস্তার সমাধানের চেষ্টা প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে হওয়া সঙ্গত । ভারতবর্ষের প্রতি সভাপতির মনের ভাবের উপর ভারতবর্ষের কম-পাওয়া বেশী-পাওয়া বিন্দুমাত্রও নির্ভর করে না, বলিতে পায় যায় না। ংগ্রেসের নেতাদের সহিত মধ্যৰৰ্ত্তীর সাহায্যে সন্ধির কথাবার্তা নিষ্ফল হওয়ায়, জিলাতী অনেক খবরের কাগজে এই গুজব রটাছে যে, রিলাষ্ঠী রক্ষণশীল ও উদারনৈতিক দলের নেতারা বৈঠকের সভ্য হইবেন না, উহাদের দলের অন্ম কোন কোন লোককে তাহারা বৈঠকে পাঠাইবেন । এই চালের অর্থ অনুমান করা যাইতে পারে। কংগ্রেসের নেতাদের বৈঠকে যোগ