পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৫৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*Bob ব্যাজপ্রশংসা ? বড়লাটের একটি চিঠি সম্প্রতি তিনি খবরের কাগঞ্জসকলের মারফতে প্রকাশ করিয়াছেন। উহা সন্ধির কথাবাৰ্ত্ত উপলক্ষ্যে মধ্যবর্তীদের আচরণ সম্বন্ধে । তিনি চিঠিখানার গোড়ায় তাহদের খুব প্রশংসা করিয়াছেন । আমরাও তাহদের সাৰ্ব্বজনিক কার্য্যে সময় ও শক্তি ব্যয় এবং তাহদের ধৈৰ্য্যের প্রশংসা করি। তাহার পর, চিঠির গ্যাঞ্জে স্থল থাকা সম্বন্ধে ইংরাজী প্রবাদ অনুসারে বড়লাট মধ্যবৰ্ত্তাঁদের দোষ দেখাষ্টয়াছেন । র্তাহার মতে র্তাহাদের সহিত বড়লাটের যে-সব কথা গোপনীয় ভাবে হইয়াছিল, উiহারা তাহাও তাহার অতুমতি না লইয়া কংগ্রেস নেস্তাদিগকে বলিয়াছেন ও সৰ্ব্বসাধারণের নিকট প্রকাশ করিয়াছেন । ইহার উত্তর মধ্যবৰ্ত্তীর ঠিক দিতে পারিবেন, আমাদের মন্তব্য কেবল এই, যে, রাজনৈতিক দর কষাকষি যথাসম্ভব লিখিত আকারে হওয়াই বাঞ্ছনীয়, এবং মৌখিক কিছু হইলে তাহা অনতিবিলম্বে লিখিত আকারে ধাহাদের মধ্যে কথা হইয়াছে, তাহাজের দ্বারা স্বাক্ষরিত হওয়া অবখ্যক ; এবং কোনটি প্রকাশিতব্য ও কোনটি গোপসীয় তাহাও প্রত্যেক লিখিত জিনিষটির প্রত্যেক পাত্তার মাথায় লেখা থাকা দরকার, নতুবা ভবিষ্যতে বাঙ্গাজুবাদ ও মনোমালিন্তের সম্ভাবনা ঘটে । " , সকলের চেয়ে ভাল হইত, যদি বড়লাট সাক্ষাৎভাবে সেই সব কংগ্রেস নেতাদের সহিত কথা কহিতেন ব্যুহাদের মঞ্চ মধ্যবর্তীদের সাহায্যে জানা হইয়াছে। তাহাদিগকে মুক্তি দিয়া, কিংবা কয়েদের অবস্থাতেই একত্র করিয়া,তিনি ইছা করিতে পারিতেন। তাহা হইলে কাহারও ভুল খুঞ্জিবার অবসর থাকিত না । ইহার বিরুদ্ধে এই একটি আপত্তি হইতে পারে, যে, তাহা হইলে লোকে স্বলিত, গবষ্মেন্ট প্রথমে অগ্রসর হইয়া সন্ধি করিতে চাহিয়াছিলেন। কিন্তু এখনও যে লোকের মনে সে ’গঙ্গেহ লাই, এরূপ বলা যায় না। বড়লাট অতঃপর মধ্যবৰ্ত্তীর উাহাকে না দেখাইয় তাদের একটি নোট প্রকাশ করিয়াছেন বলিয়৷ প্রকাশ করিয়াছেন। নোটটি তাহাকে خاسسانایع -- প্রবাসী—কাৰ্ত্তিক, ১৩৩৭ [ ৩eশ ভাগ, ২য় খণ্ড দেখাইয় তাহার পর ব্যবহার করিবার কথা ছিল কিন মধ্যবৰ্ত্তীরা বলিতে পারিবেন। সৰ্ব্বশেষে বড়লাট একটি বিশেষ বিষয়ে মধ্যবর্তীদের লেখা হইতে সৰ্ব্বসাধারণের ভ্রম জন্মিতে পারে বলিয়াছেন। বিষয়টি এই, নেতার চাহিয়াছিলেন, ভারতবর্ষের সরকারী সব ঋণ নিরপেক্ষ কোন পক্ষ দ্বার পরীক্ষিত হইয়। স্থির হইবে, কোন ঋণ ভারতবর্ষ পরিশোধ করিতে স্তীয়তঃ বাধ্য, কোন ঋণ পরিশোধ করিতে ভারতবৰ্ষ বাধ্য নহে। মধ্যবৰ্ত্তীরা বলেন, বড়লাট তাহাদিগকে বলিয়াছিলেন, ভারতবষের সমুদয় সরকারী ঋণ এই প্রকারে অস্বীকার করিতে দিতে তিনি অসম্মত,কিন্তু কোন কোন দফা সম্বন্ধে কেহ ইচ্ছা করিলে গোলটেবিল বৈঠকে প্রশ্ন উত্থাপন করিতে পারেন। বড়লাট তাহার চিঠিতে বলিতেছেন, এমন কথা হইতে লোকে মনে করিতে পারে, তাহার মতে কোন কোন ঋণ অস্বীকার করা যাইতে পারে ; কিন্তু বাস্তবিক তাহার মতে প্রত্যেক সরকারী ঋণই ভারতবর্ষ শোধ করিতে বাধ্য। মধ্যবৰ্ত্তীর বলিতে পারিবেন, এবিষয়ে তাহাদের সহিত বড়লাটের কি কথা হইয়াছিল । স্মৃতিবিভ্রম, ভাষার অস্পষ্টতা, বুঝিবার ভুল, বা অষ্ট কারণ হইতে উৎপন্ন ভুল কেবল মধ্যবর্তীদেরই হইডে পারে, বড়লাটের হইতে পারে না, এমন নয় । বরং দুজন মানুষের একসঙ্গে ভুল হওয়ার চেয়ে একজনের ভুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশী । সরকারী ঋণ অস্বীকার করা যাইতে পারেই না, এমন নহে । কোন সময়ে কোন দেশের উপর যাহাদের কর্তৃত্ব থাকে তাহারা অন্যায় করিয়া যদি এমন কতকগুল। ঋণ সেই দেশের উপর চাপাইয়া থাকে, বাহা সেই দেশের উপকারের জন্ত করা হয় নাই বা ষাহার স্বার। সেই দেশ উপকৃত হয় নাই, এবং যদি সেই দেশের লোককে পুরুধাতুক্রমে সেই ঋণগুলার স্বদ দিতে বাধ্য করা হয় এবং পরিশেষে আসল টাকাটা দিতে বাধা করা হয়, তাহ হইলে তাহ নিশ্চয়ই অস্কায় । রুশিয়ার বর্তমান গবন্মেণ্ট আগেকার সরকারী ঋণ অস্বীকার করিয়াছে। গত মহাযুদ্ধের সময় ব্রিটেন আমেরিকার নিকট অনেক বেশী টাকা ধার করিয়াছিল । তাহা অস্বীকার না করিলেও এখন ব্রিটিশ