পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৭২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] তাহার কারণ । দারিদ্র্য নয় । শ্ৰী শব্দের বহুল প্রয়োগের মধ্যে ছ’পাচ জায়গায় শোভা-সৌন্দর্য্যের সঙ্গে ধনৈশ্বর্ষ্যের যে সম্পর্ক নাই তাহা নয়, তবে এখানকার অর্থ-দেখিতে কুৎসিত। ক্রিয়া হিসাবে ‘শ্রণীহি (৮.২.১১ ), খ্রশস্তি ( ১.৮৪.১১ ; ৮.৬৯৩ ; ৯.৮৪ ৫ ; ৯.৯৩,৩ ) প্রভৃতির প্রয়োগ আছে ; ‘শ্রীধাতু-নিষ্পন্ন ‘শ্ৰীত:’ ( ৮.৮২ ৫ ) ও ‘শ্ৰীতা: ( ৮.২.২৮ ) আছে । এই সমস্ত স্থানে ‘শ্রী ধাতুর অর্থ সোমের সহিত দুগ্ধ সংমিশ্রণ করা, বৈদিক পরিভাষায় ইহাকে ‘অভিযবণ করা বলে । তবে ঋগ্বেদে লক্ষ্মী শব্দের প্রয়োগ একবার মাত্রই আছে ; আর সেখানে তিনি সৌভাগ্যদেবীও নন । ঋগ্বেদ বলেন-- “ভদ্রৈযাং লক্ষ্মীর্নিহিতাধি বাচি”—১৯.৭১.২ তাহাদের বাক্যে [ বাক্য-রচনায় ] অতি চমৎকার লক্ষ্মী নিহিত আছে । এ লক্ষ্মীর অর্থ দেবী নয়, অন্যরূপ । পাপিলক্ষী—পুণ্য লক্ষী অথববেদে সৌভাগ্য ব৷ -“গ:বাণী রমণীকে 'লক্ষ্মী বলা হইয়াছে। লক্ষ্মী কথন ভাল, কখন মন্দ । অথববেদ ( ৭.১১৫.১ ) লক্ষ্মীকে ‘পাপিলক্ষ্মী বলিয়! সম্বোধন করিয়াছেন— প্র পতেতঃ পাপি লক্ষ্মি নষ্ঠেতঃ গ্রামুত: পত । এই বেদে ( ৭, ১১৫.৪ ) ‘পুণ্যা লক্ষ্মীও আছেন— ‘রমস্তাং পুণ্য লক্ষ্মৗর্যা: পাপীন্ত অনীনশ{ অপ ক্রামতি হুনৃতী বীর্যং পুণ্য লক্ষ্মী: -->२ ५.७ . শতপথ-ব্রাহ্মণেও ( ৮–৪,৪, ১১ ; ৮—৫.৪.৩ } লক্ষ্মীকে ‘পুণ্য লক্ষ্মী বলা হইয়াছে। ব্রাহ্মণ-গ্রন্থে সৰ্ব্বপ্রথম শ্ৰীকে শরীরিণী রূপে দেখিতে পাই । শত পথব্রাহ্মণে ( ১১.৪.৩.১ ) শ্ৰী প্রজাপতি হইতে সঞ্জাত বলিয়৷ বর্ণিত হইয়াছেন । প্রজাপতিকৈ প্রয়াঃ স্বয়মানোংতপাত। তন্মাচ্ছাস্থাত্তেপানীচ্ছ - ক্ষত্রফ্লামৎসা দীপ্যমান গ্রাজমান লেয়ায়ন্ততি জ্ঞাং দীপামানাং স্লাজমানাং লেলায়ন্তীং দেব। অত্যব্যাব ।” প্রজাপতি প্রজাহষ্টির জন্য তপ করিলেন। তিনি তপঃখাস্ত হইলে ঐ সঞ্জাত হইলেন । কম্পমান ঐয় জ্যোতিষ্মতী মুক্তি দেখিয়া তাহাকে লক্ষী ఆలీ SAAAA AAAA AAAA AAAAJJA AMMMASAMMMAAASAASAASAASAA AAAAMAMAMSMSMSMS পাইবার জন্য দেবতাদের লোভ হয়। র্তাহারা প্রজাপতির নিকট প্রস্তাব করেন যে, তাহার। ঐকে মারিয় তাহার দানগুলি আত্মসাং করিতে চান। প্রজাপতি বলিলেন, — পুরুষ সাধারণতঃ স্ত্রীলোককে মারে না, শ্ৰীকে প্রাণে না মারিয়া তাহার দানগুলি তিনি লইতে বলেন । ফলে অগ্নি তাহার অন্ন, সোম—ল্পাঞ্জ্য, বক্ষণসাম্রাজ্য, মিত্র –ক্ষত্র, ইন্দ্ৰ—বল, বৃহস্পতি—ব্রহ্মবচস, সবিতা-রাষ্ট্র, পূৰ্য-ভগ, সরস্বতী—পুষ্টি, তুষ্ট – রূপ লইলেন ( শতপথ-ব্রাহ্মণ ১১ ৪.৩.৪ ) । ঐ বলিলেন, প্রজাপতি, আমার সকলই ইহার লইল । প্রজাপতি বলিলেন, যজ্ঞেনৈনান পুনর্যাচস্ব’—ষজ্ঞে তুমি এগুলি ফিরাইয়া পাইবে । শ্রী সফলকাম হইলেন । যজুর্বেদে শ্ৰী দেবীরূপে কথিত হইয়াছেন। ইহাতে র্তাহার রূপের কোন উল্লেখ নাই। সংহিতা-গ্রন্থে ঐ ও লক্ষ্মী উভয়েরই উল্লেথ আছে । তাহদের আকৃতির কোন বর্ণনা সংহিতাতে না থাকিলেও র্তাহারা যে শরীরিণী তাহ বেশ বুঝিতে পারা যায়, কিন্তু তাহারা তখন অভিন্ন ছিলেন না । বাজসনেয়ী সংহিতাতে ( ৩১.২২ ) লক্ষ্মী ও শ্রীকে আদিত্যের পত্নীদ্বয় করা হইয়াছে। তৈত্তিরীয় সংহিতায়ও লক্ষ্মী ও শ্ৰী আদিত্যের দুই স্ত্রী। অতঃপর পরবর্তী বৈদিক সাহিত্যে সুলক্ষণ হিসাবে শ্ৰী-লক্ষ্মী-র উল্লেখ একত্র দেখিতে পাওয়া যায় । ঐসুক্তে শ্রী ও লক্ষ্মী অভিন্ন দেবতা । শ্রীস্থক্তের পাঠের এত গগুগোল থে, প্রস্থক্তের কাল-নির্ণয় অত্যস্ত দুরূহ ব্যাপার । তবে শ্রীশ্বত্ত যে বৌদ্ধযুগের বহু পূৰ্ব্বৰক্তী গ্রন্থ তাহ নিঃসন্দেহে বলিতে পারা যায় । এই ঐক্তে সৰ্ব্বপ্রথম পদ্মের সহিত শ্ৰী বা লক্ষ্মীর সম্পর্ক। ইহার পূৰ্ব্বে কোথাও পদ্মের সহিত শ্রীর সম্বন্ধ নাই । ঐক্তে তিনি ‘পদ্মস্থিত ’ এবং পদ্মের উপর দণ্ডায়মান । শ্ৰী ও লক্ষ্মী পূৰ্ব্বে এক দেবতা ছিলেন মা। স্বত্রগ্রন্থের কাল পর্য্যস্ত শ্ৰী ও লক্ষ্মী পৃথকু দেবতা ছিলেন । তৈত্তিরীয় আরণ্যকে ( ১০.৩৫ ) পাই “প্ৰিয়ং আবাহুয়ামি গায়ত্র্যা।” শাখ্যায়ন-গৃহ-স্বত্রেও (২.১৪ ) কাহাই প্রতিধ্বনিত করিয়াছে। বৌধায়ন-ধৰ্ম্মস্থজেও (২.৫-৯.১- ) আছে— “শ্ৰিয়ং দেবীং তপয়ামি।"