পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/১৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>b-8 প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩৭ [ ৩০শ ভাগ, ২য় খণ্ড ছুয়ে মুসলমান শপথ করে, কিন্তু দর অৰ্দ্ধেক কমিয়ে দিলেও জিনিষ বিক্ৰী করে। পাঞ্জাবী দোকানদার যথা কানাদ কোম্পানী, ইসরাজ সোনি ও কাশ্মীর ডিপোতে ( তিনটিই আমিরা কদলে ) এক দর এবং . মনে হয় বেশ ন্যায্য দাম । এইখানে যাচাই ক’রে ফেরি ওয়ালাদের কাছে জিনিষ কেন যেতে পারে। অনেক সময়ই ঠকৃতে হয়, তবে প্রতিযোগিতায় সস্তাতেও লড়ক প্রদেশের প্রধান সহর লে'র দৃপ্ত পাওয়া যায় । বড় দোকানদারদের দোকানে জিনিষ দেখা দরকার, কারণ ষ্টাণ্ডার্ড বোঝা যায়, কাঠের কাজ গানীমেদী ও পীর এবং রূপার কাজের জন্য খিজির মহম্মদের দোকানই সব চেয়ে বড়। উচিত এই সব দোকানে কেন। ছোট দোকানে বা কারিগরের বাড়িতে জিনিষপত্র বেশ সস্তায় পাওয়া যায়। কাশ্মীরী সিল্কের যে বিজ্ঞাপন থাকে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, কারণ কাশ্মীরী লিস্ক প্রায় সবই বিদেশে রপ্তানী হয় । ইটালী, জাৰ্ম্মানী ও জাপান হ’তে সিদ্ধ আমদানী হয় কাশ্মীরে, কাশ্মীরার তাতে বুনে তার উপর সূক্ষ্ম কারুকার্য্য করে । সাধারণতঃ দশ টাকা হ’তে পঞ্চাশ টাকা শাড়ীর দাম । ইসরাজের দোকানে সব চেয়ে ভাল প্যাটার্ণ পাওয়া যায় । শাল সম্বন্ধে মহম্মদ নুরদীনই সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ ব্যবসায়ী, এমন অমায়িক ভদ্রত কাশ্মীরেও ফুল্লভ। এখানে অনেক মুসলমান পণ্ডিত উপাধি ধনী লোকদের পণ্ডিত গুলাম ব্যবহার করেন, অতীত হিন্দুত্বের স্মৃতির গৌরবে হিন্দুর উপাধি ও পীর হয়। দু-জন ফেরীওয়াল উল্লেখযোগ্য ; পণ্ডিত নারায়ণ ভজু সংস্কৃত ও পার্সীয়ান শ্লোকের বৃষ্টি করেন, এবং মহম্মদ শোভানার ধূৰ্ত্তত মনে রাখবার জিনিষ । এদের প্রধান সম্পন কতকগুলি বড়লোকের প্রশংসাপত্র, এর এইরূপে ক্রেতাদের মনে শ্রদ্ধা জাগিয়ে কার্য্যসাধন করে । হাউস-বোটের জীবন বড়ই বৈচিত্র্যময় ! প্রাতে ৭ট থেকে সন্ধা৷ পয্যন্ত ব্যাপারীরা শিকার করে জিনিষপত্র বিক্ৰী করতে আসে । সমস্ত দিন কাটিয়ে দেওয়া যায় এই-সব জিনিসপত্র দেখে । ব্যাপারীদের ধৈয্য ও ভদ্রতা অসীম । কিছু খরিদের জন্য অকুনয়- বিনয় করে । অনেক সময় তাদের কাতরতা দেথে কিছু খরিদ নাছোড়বানী অণশচয্য রকম বুদ্ধিমান । মাখন, রুট, পনীর, কেক ইত্যাদি ও শিকার ক’রে পৌছে দেয় । মাস মাস বিল দেয় । ঘে-কোন শৈলনিবাস অপেক্ষা কাশ্মীর সস্তা ব’লেই মনে হয়। কাশ্মীরী চাল টাকায় আট দশ সের, খি'র সের ১০, ভাল দুধ টাকায় ৫।৬ সের, মাছ ৯০, মাংস ৮০ ৷ ভারতের অন্যান্ত প্রদেশ হ’তে যে সব জিনিষ আমদানী হয় তার দাম টাকায় চার অনা বেশী মনে হয় । ঘি ও মাছ ভাল নয় । ডিম প্রধান খাদ্য ডজন yে০ । মে জুন মাসে চেরী, বেরী, খোবাণী পাওয়া যায়, সেপ্টেম্বর অক্টোবরে আপেল আঙ্গুর প্রভৃতি পাওয়ঃ যায়। ফল খুব বড় হয় এবং দাম সস্ত । জনৈক মাদ্রাজী বন্ধু বললেন যে দেড় মাসে র্তার সর্বসমেত খরচ হয়েছিল এক শত টাকা । কলিকাত থেকে ট্রেনে তৃতীয় শ্রেণী এবং মোটর বাসে পচিশ-ত্রিশ টাকায় কাশ্মীরে পৌছান যায়। কাশ্মিরী পণ্ডিত ও বাঙালী ব্রাহ্মণের অনেকটা সাদৃশ্য করতেই হয় । এর এবং