পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] রিক্ত রাহী Xహిళ উদ্বেলিত করিয়াছে—এই অন্ধকার ধরণীর স্বপ্ত বক্ষে কার জন্ত কঁাদিয়া মর,-কে সেই নিষ্ঠুর প্রিয়া তোমাকে চিরকান্নার তরঙ্গায়িত সায়রে ভাসাইয়াছে ? এ যেন শুধুই গান নয়, গানের পেছনে একটা প্রাণও হয়ত মুখ বাড়াইয়া আছে। পরদিন প্রভাতে ঘুম ভাঙিতেই দেখে তরুণীটি স্বান করিয়া আসিয়া ভিজা শাড়ীখানি ছাদে মেলিয়া দিতেছে। চোখোচোখি হওয়ায় তরুণীটি হাসিয়া মুখ ফিরাইল —আজ আর আত্মগোপন করিবার মত কোনই লক্ষণ নাই, অতি পরিচিতের মত ভাব। শাড়ী মেলিয়া দিয়া যাইবার সময় জিজ্ঞাসা করিল,—বামুনদিদিকে আবার রাখতে পারেন কি ? লোকজন ছাড়া আপনার কি করে চলবে ? কিরণ রিস্থিত হইয়া তার মুখের পানে তাকাইয়া রহিল—হঠাৎ জবাব দিতে পারিল না । তরুণীটি কহিল,—কি ভাবচেন ? বামুনদিদির মুখেই সব শুনেছি—আশ্চর্য্য হবার কিছু নেই। বলুন, রাখবেন ? আমার চেয়ে আপনারই দরকার বেশী, বলেন ত আমি ছেড়ে দিতে রাজী আছি । পুরুষ মানুষের কি রান্নাবাড়া ঘরঝাট দেওয়া অভশত কাজ পোষায় ? —পোষায় না সত্যি। কিন্তু না পোষালেও কার কি আসে যায় ? তরুণীটি লজ্জিত হইল । কহিল,—আপনার খুব কষ্ট হয়, তাই বলছিলুম, কিছু মনে করবেন না । কিরণ শুষ্ক একটু হাসিয়া মাথাটাকে বার-দুই এদিকে ওদিকে নাড়িয়া কহিল,--না না, মনে করবার কিছু নেই, থাকলেও সে আপনার উদারতার কথাই মনে করব । কিন্তু কষ্ট ত খাটুনীর জন্যে নয়, কষ্টের কথা বলে আর কাজ কি !—বলিয়াই থামিল, তারপর কি ভাবিয়া পুনরার বলিল—একটা কথা,-কিছু মনে না করেন ত জিজ্ঞাসা করি। দেথ চি আপনার খুব স্নেহ—আমার সঙ্গে কোনো সংস্রব নেই তবু আপনার কি টান—অথচ আমি ত আপনাকে চিনি না—জানি নী—“ مسیه ۹ তরুণী হাসিয়া কহিল,—জেনে আপনার লাভ কি ? লাভ ? কিরণ কহিল,—লাভ-লোকসানের কথা ছেড়ে দিন, আজ সে কথা আলোচনা করে ফল নেই। জানতে ইচ্ছে হয়, এই। এর পর আর ত ইচ্ছা-অনিচ্ছার কথা থাকৃবে না। আজই শেষ । —কেন ? —আর দেখা হবে না। তরুণীটির মুখখানি শুষ্ক ফুলের মতই যেন স্নান ও বিবর্ণ হইয়া গেল, কণ্ঠটিও ভিজিয়া উঠিল, কহিল,—কেন, কেন দেখা হইবে না ? কিরণ তার আদ্র চোখের পানে তাকাইয়া নিজেও হয়ত আদ্র হইয়া গেল, বলিল,—এখান হতে চলে যাচ্ছি— আর ফিরব না, দেনার দায়ে বাড়ী বিক্রী হয়ে গেছে, দাড়াবার জায়গা আর নেই— তরুণীটির যেন কি হইল –মুখেও কথা নাই, চলিয়া যাইবারও তাড়া নাই, জলভরা চোখে পথটার পানে তাকাইয়া রহিল। সন্ধা ঘনাইয়া আসিল । কিন্তু কোথায় যাইবে কিছুই ঠিক নাই, যাইতে হইবে ইহাই জানা আছে। এই বৃহৎ সংসারের কোথাও কি এতটুকু ঠাই নাই, কিন্তু কোথায় ? এই ঘর, ঘরের সংসার, বৃথাই সব ; ফেলিয়া যাইতে হইবে। লইয়া যাইবার জায়গা নাই । বাক্স খুলিয়া মায়ের নাম লেখা বইখানা আর মমতার মুখের একটুকরা ছবি বাহির করিয়া সঙ্গে লইল, ছন্নছাড়া ঘরখানার পানে সস্নেহে একবার তাকাইয়া বইখানা ও ছবির টুকরাটি বুকে চাপিয়া বাহির হুইয়া পড়িল । অজ্ঞাতের যাত্র-নিতান্তই দিশাহীন। তার কোনো বাধাধরা পথ নাই । शंश्ष्ड बाहेप्ड अककाब्र नभौब्र भोट्म झरे श्ाङ তুলিয়া প্রণাম করিল, তারপর চোখ মুছির অন্ধকারে । চলিতে লাগিল । J.---