পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] মহামায়া ২২৭ مدعی تمام بھی مییی۔ যুরোপের কোনো কোনো তীর্থস্থানে দৈবকৃপায় এক মুহূৰ্ত্তে চিরপঙ্গু তার লাঠি ফেলে এসেচে –এখানে তাই হোলে ; দেখতে দেখতে খুড়িয়ে চলবার লাঠি দিয়ে এরা ছুটে চলবার রথ বানিয়ে নিচ্চে-পদাতিকের অধম যারা ছিল তারা বছর দশেকের মধ্যে হয়ে উঠেছে রথী । মানবসমাজে তার মাথা তুলে দাড়িয়েছে, তাদের বুদ্ধি স্ববশ, তাদের হাত হাতিয়ার স্ববশ । আমাদের সম্রাট-বংশীয় খৃষ্টান পত্রির বহুকাল ভারতবর্ষে কাটিয়েছেম, ডিফি কান্টি যে কি রকম অনড় ভ। তার দখে এসচেন। একবার তাদের মস্কো আদা উচিত । কিন্তু এলে বিশেষ ফল হবে না-কfরণ বিশেষ করে কলঙ্ক দেপাই ঠাদের ব্যবসাগত অভr দ, আলে। চোখে পড়ে না, বিশেষত যাদের উপর বিরাগ আছে। ভূলে যান তঁদের শাসনচন্দ্রে ৪ কলঙ্ক খুজে বের করতে वट्ज़ চশমার দরকার করে ন! । প্রায় সত্তর বছর আমার বয়স হোলে—এ তকাল আমার ধৈর্য্যচ্যুতি হয়নি। নিজেদের দেশের অতি দুৰ্ব্বহ মৃঢ় তার বোঝার দিকে তাকিয়ে নিজের ভাগাকেই বেশি করে দোষ দিয়েছি । অতি সামান্য শক্তি নিয়ে অতি সামান্য ہمہمایہامی ہسپہ۔ہر প্রতিকারের চেষ্টাও করেছি কিন্তু জীর্ণ আশার রথ যত মাইল চলেছে তার চেয়ে বেশি সংখ্যায় দড়ি ছিড়েছে, চাক ভেঙেচে । দেশের হতভাগাদের দুঃখের দিকে তাকিয়ে সমস্ত অভিমান বিসর্জন দিয়েছি। কর্তৃপক্ষের কাছে সাহায্য চেয়েচি, তার বাহ বা ও দিয়েচেন, যেটুকু ভিক্ষে দিয়েচেন তাতে জাত যায় পেট ভরে না । সব চেয়ে, দুঃখ এবং লজ্জার কথ। এই যে, তাদের প্রসাদলালিত আমাদের স্বদেশী জীবরাই সব চেয়ে বাধা দিয়েছে। যে দেশ পরের কর্তৃত্বে চালিত সেই দেশে সব চেয়ে গুরুতর ব্যাধি হোলো এই—সে সব জায়গায় দেশের। লোকের মনে যে ঈর্ষা, যে ক্ষুদ্রত, যে স্বদেশ-বিরুদ্ধতায়. কলুষ জন্মায় তার মতে বিষ নেই । যাই হোক এদেশের “এনর্শ্বাস ডিফিকাণ্টিজে’র কথা বইয়ে পড়েছিলুম, কানে শুনেছিলুম, কিন্তু সেই ডিফিকাল্টিজ অতিক্রমের চেহারা চোখে দেখলুম ১ ইতি ৪ অক্টোবর, ১৯৩০ | - আপনাদের শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। মহামায়। ঐসী তা দেবী ( ৩৭ ) মঙ্গলবার দুপুরে রেজুনে ইংলিশ মেল ষ্টীমার আসিয়া পৌছায়। অঞ্চ ষ্টীমারগুলি চার দিনের দিন পৌছায়, এটি সে জায়গায় তৃতীয় দিনে আসে ; এই জন্ত যাহ্বাদের তাড়াতাড়ি থাকে তাহার। ইংলিশ মেল ষ্টীমার ধরিতে যায়াধ্য চেষ্টা করে। এই কারণে এই জাহাজটিতে १ जैौफ़ श्छ । জি মঙ্গলবার, বেল প্রায় তিনটা । জাহাজ-ঘাট লোকারণ্য। গাড়ী, মোটর, রিকৃশ, কুলি মজুর ও যাত্রীদের অভ্যর্থনাকারীর দল মিলিয়া এমন একত্ব ভীড় এবং কোলাহলের স্বষ্টি করিয়াছে যে, পারতপে সেখানে কেহ দাড়াইতে বা কান পাতিতে চায় ন জাহাজ চোখে দেখা যাইতেছে বটে, তবে এখনও ঘ ভিড়ে নাই । বাহিরে একখানি মোটরে নিরঞ্জন বসিয়াছিলেন তাহার মুখ শুষ্ক ও বিষন্ন, নিতান্ত অঙ্কমনস্কভাবে একখানা খবরের কাগজ উল্টাইজেছিলেন। খানিক পূৱে মুখ তুলিয়া ড্রাইভারকে বলিয়।