পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৩০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

.* ২য় সংখ্যা ] মহামায়া ఫిలి(r

  1. ওকে মানাবে। এখন এ পোড়া রোগ সাৰ্বলে দ্বাচি । এমন কাণ্ড জন্মে শুনিনি বাপু ”

মায়ার খাওয়া হইয়া গিয়াছিল। সে বলিল, “পিসিম, তোমার খাওয়া-দাওয়া হয়ে গেলে আমার ঘরে এস, কেমন ? একটু যোগবাশিষ্ট রামায়ণ শুনব তোমার কাছে ” - ইন্দু বলিল, “দেখি, সময় পাই ত আস্ব। আজকের জাহাজে কে এক ডাক্তার আসছে তোর জন্যে, মেজদ একটু আগে তাকে আনতে গেল । তাদের সব খাওয়াদাওয়া হোক, তোকে দেখা হোক, তারপর সময় থাকে পড়ব । বাগানে একটু বেড়ালেও পারিস্ ? সারাক্ষণ এই একটা ঘরের মধ্যে বসে আছিল, এতে ত শরীর আরও খারাপ হয় ।” মায় বলিল, “কেন তোমরা ডাক্তার বদ্যি দেখিয়ে টাকা নষ্ট করছ, তা তোমরাই জান। আমার ত কিছু হয়নি ? মাথাটা মাঝে মাঝে একটু ভার লাগে— এই যা। বাগানে যাব বিকেলে, সকালে অনেক সব বাইরের লোকজন থাকে, যেতে লজ্জা করে ।” ইন্দু বলিল, “নিজের কি অমুখ, সব কি নিজে বোঝা যায় ? তুই কেমন যেন হয়ে গেছিল, কি সব আবোলতাবোল বকিস্, তাই ত মেজদা এত ডাক্তার ডাকাডাকি করে।” মায় বলিল, “তোমার পছন্দ-মত কথা না হলেই বালতাবোল হ’ল ? আমি কি ক্ষেপেছি যে tাবোলতাবোল বকুব ? ইন্দু বলিল, “যাক গে সে কথা । তুই এখন কি ক্ষরবি ? আমি ত নীচে যাচ্ছি, ভাড়ার দেব, তরকারি 獸 তারপর স্নান করে নিজের রান্না চড়াব । তক্ষণ একল থাকুৰি ?” মায়া বলিল, “করবার ত কিছু খুজে পাই না। র কাজ সব ত চাকরবাকরেই কবৃছে, তার পর তুমি রয়েছ। আমার যে-ক’খানা বই ছিল, তি। ত পড়ে পড়ে মুখস্থ হয়ে গেল।” ইন্দু বলিল, “ওম, বইয়ের অভাব নাকি ভারি ? তার ওদিকৃকার পড়বার ঘরে, নীচে লাইব্রেরী-ঘরে ییجیحی معیسی مسیستم معمتعمدیحه تمامه বই ঠাসা রয়েছে, এসে পড় না ? তাহলে ত সময় বেশ কাটে। চলুন আমার সঙ্গে, বই নিয়ে আসবি ।” মায় একটু ইতস্তুত করিয়া বলিল, “আচ্ছা চল ।” ইন্দু তাহাকে সঙ্গে করিয়া তাহার পড়িবার ঘরে লইয়া গেল। মায়া ঘুরিয়া ঘুরিয়া সব বইয়ের আলমারীগুলি দেখিতে লাগিল। বলিল, “বাবার টাকা যেন কামড়ায়, না পিসিমা ? বই কিনেই কত টাকা উড়িয়েছেন দেখ ? আমার জন্যে এড বইয়ের কি দরকার ছিল ? সাতজন্মেও পড়ে শেষ করতে পারব ন৷ ” ইলু বলিল, “শেষ করতে পারবি না কেন ? এর অনেকগুলোই ত তোর কলেজের বই বলে শুনি ।” মায়া খানিকক্ষণ ইন্দুর দিকে স্থা করিয়া চাহিয়া রহিল। তাহার পর জিজ্ঞাসা করিল, “কিসের বই বললে পিসিমা ?” ইন্দু বলিল, “কলেজের বই, কলেজের বই। কানেও আজকাল কম শুনছিস্ নাকি ?” মায়া বলিল, “কম শুনতে যাব কেন ? কিন্তু কি তুমি যে সব বলতে স্বরু করেছ! আমার কলেজের বই মানে কি ? আমি আবার কবে কলেজ গেলাম ? বাবার কলেজের বই ?” ইন্দু ভীতভাবে বলিল, “তুই একখানা বই খুলে দেখ না, পড়তে ভাল লাগে কিনা ৷” মায় আলমারীর দরজা টানিয়া খুলিয়৷ একথান বই বাহির করিল। অনেকক্ষণ উন্ট ইয়া-পাটাইয়া দেখিয়া বলিল, “পিসিমা, তুমি আমার সঙ্গে চালাকি করছ । এ সব ত ইংরিজি বই । আমি কোথা থেকে পড়ব ? নীচের ঘরে বাংলা বই যদি কিছু থাকে, তাই চল নিয়ে আসি গে ’ ইন্দু বজ্রাহতের মত দাড়াইয়া রহিল। খানিক পরে অনেক কষ্টেই যেন জিজ্ঞাসা করিল, “কিছু পড়তে পারছিল না ?” মায়া হি হি করিয়া বোকার মত হাসিয়া উঠিল । বলিল, “পিসিমা, তুমি কি পাগল হয়েছ ? আমি কি বি-এ, এম-এ, পাশ যে ইংরিজী পড়ব ?” ( ক্রমশ: )