পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] মানের দায় ২৬১ d&ണു്.സ്.സാ মাটিনের সেতু ধ্বংস হওয়ায় সেখানে যাইবার কেনে৷ উপায় ছিল না। সকলে আশা করিতে লাগিলেন যে, পরের দিন হইতে আবার প্রান্তরটি আনন্দময় জনকোলাহলে মুখরিত হইয়া উঠিবে। রাত্রিকালে জুয়ান ডি অংরেভালে। সেতুর নিকটে আসিয়া মধ্যের খিলানটির উপর আরোহণ করিয়া চারিদিকে দেখিতে লাগিলেন । কলাকার উংসবের জন্য সমস্ত ঠিক আছে কি না তাহাই তিনি দেখিতেছিলেন । গুনগুন করিয়া গান করিতে করিতে তিনি এদিক ওদিক ঘুরিয়া ঘুবিয়া দেখিতে লাগিলেন। হঠাৎ তাহার মুখের ভাব সংশয়াকুল হইয়া উঠিল। একট। কথা মনে হইয়া তাঙ্কার ধমনীর রক্ত যেন হিমশীতল হইয়া আসিল । সেতু হইতে নামিয়া পড়িয়া তিনি তাড়াতাড়ি বাড়ী চলিয়া গেলেন। দ্বারের সম্মুখে আসিতেই তাহার স্ত্রী সহাস্যমুখে তাহাকে অভিনন্দন করিবার জন্য অগ্রসর হইয়া আসিলেন, কিন্তু তাহার চিন্তাকুল মুখ দেখিয়া তিনি ভয়ে বিবর্ণ হইয়। গেলেন । তিনি ব্যাকুল কণ্ঠে জিজ্ঞাসা করিলেন, “প্রিয় জুয়ান, তোমার কি হইয়াছে ? কোনো পীড়া হইয়াছে কি ?” স্থপতি নিজের চঞ্চলত দমন করিবার চেষ্টা করিতে করিতে বললেন, “না, আমার কিছুই হয় নাই।” র্তাহার স্ত্রী বলিলেন, “আমাকে প্রতারণা করিবার চেষ্টা করিও না। তোমার মুখ দেখিয়াই আমি বুঝিতে পারিতেছি যে, কোনো কিছু বিপদ ঘটিয়াছে।” স্থপতি বলিলেন, “আজ বড় ঠাণ্ড পড়িয়াছে, আর এই কয়দিন আমার অতিরিক্ত পরিশ্রম গিয়াছে, এই কারণে অস্থস্থ দেখাইতেছে।” তাহার স্ত্রী বলিলেন, “তুমি ভিতরে আগুনের ধারে আসিয়া বোসো, আমি খাবার গুছাইয়া আনিতেছি। আহার ও বিশ্রাম করিলেই তুমি আবার স্থস্থবোধ করিবে ।” জুয়ান যেন আপন মনেই বলিয়া উঠিলেন, “কুস্থবোধ

  • बिबरें बै ? उंशद्र जैौ उभन चाखtन आब्र७

! •8—ss ; কাঠ দিয়া টেবিলটি তাহার ধারে টানিয়া দিয়া খাবার গুছাইতে ব্যস্ত ছিলেন । জুয়ান নিক্সের মানসিক বিষাদ দূর করিবার চেষ্টা করিতে লাগিলেন, কিন্তু পারিলেন না। তাহার স্ত্রীকে আর প্রতারণ করা গেল না। তিনি বলিলেন, “আমাদের বিবাহিত জীবনে এই প্রথম দেখিতেছি যে, তুমি আমার নিকট হইতে কিছু গোপন করিতে চাঙ্গিতেছ। আমি কি আর তোমার ভালবাস ও বিশ্বাসের যোগ্য নই ?” স্থপতি মাথা তুলিয়া বলিলেন, “ক্যাথারিন, তোমার প্রতি আমার ভালবাসাকে সন্দেহ করিয়া আর আমার দুঃখের উপর দুঃখ বাড়াইও না .” স্থপতির পত্নী আবেগপূর্ণকণ্ঠে বলিলেন, “যেখানে পরিপূর্ণ বিশ্বাস নাই, সেখানে ভালবাসা কি করিয়া থাকিতে পারে ?” স্থপতি বলিলেন, “আমার এবং তোমার মঙ্গলের জন্তই আমি এই দুঃখ গোপন করিতেছি, ইহা জানিতে চাহিও না ।” র্তাহার স্ত্রী বলিলেন, “অন্য কোনো কথা হইলে জানিতে চাহিতাম না। কিন্তু তোমার গোপন দুঃখ আমি জানিতে চাই, জানিয়া উহা লাঘব করিতে চাই ।” স্থপতি মান হাসি হাসিয়া বলিলেন, “অসম্ভব। এ দুঃখের কোনো প্রতিকার নাই ।” পত্নী বলিলেন, “আমার অসীম ভালবাসার কাছে অসম্ভব বলিয়া কোনো জিনিষ নাই।” স্থপতি বলিলেন, “ডাল, তবে শোন । কাল আমার প্রাণ নষ্ট হইবে, সঙ্গে সঙ্গে মানও নষ্ট হইবে । সেতুটি কাল নদীগর্ভে ভাঙিয়া পড়িবে, এবং আমিও উহার সঙ্গে সলিল সমাধি লাভ করিব। সেতুটি বহু যত্নে, বহু আশা লইয়া আমি রচনা করিয়াছি, কিন্তু উহাই আমার মৃত্যুর কারণ হইবে।” র্তাহার পত্নী চীৎকার করিয়া উঠিলেন, “না, না, তাহ কখনও হইতে পারে না ।" তিনি দুই হাত দিয়া স্বামীকে জড়াইয়া ধরিয়া নিজের মনের অসহ বেদনাকে শাস্ত করিবার চেষ্টা করিতে লাগিলেন ।