পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৮৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૨Rર প্রবাসী—অগ্রহায়ণ, ১৩৩৭ [ ৩eশ ভাগ, ২য় খণ্ড সভাপতি শ্ৰীযুক্ত স্ন ভাষচন্দ্র বস্তুকে কেন কমিটির সভ্য করা হইল না। সভ্য নিয়োগ করিবার ক্ষমতা কাহার হাতে, জানি না । তিনি বা র্তাহারা যদি স্বভাষবা কে ডিঙাইয়। অন্য কাহাকেও মনোনয়ন করিয়া থাকেন, তাহ হইলে তাহার প্রতি তাচ্ছিল্য প্রদর্শিত হইয়াছে কিনা বিবেচ্য। আর যদি স্ব ভাষবাবুকে প্রথমে জিজ্ঞাসা করায় তিনি গররাজী হইয়া থাকেন, তাহারও কারণ জানিতে লোকের কৌতুহল হইবে । অবিলম্বে নিশ্চিত কারাদণ্ডকে তিনি ভয় করেন, ইহা বল চলিবে না। কিন্তু এরূপ অনুমান করা যাইতে পারে, যে, তিনি দীর্ঘকাল অবিচ্ছিন্ন ও অব্যাহত ভাবে কলিকাতার মেয়রের পদে অধিষ্ঠিত থাকা এবং যথাসম্ভব কংগ্রেসের কাজ করা বেশী পছন্দ করেন ।

কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার শুনিলাম, কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান রেজিষ্টারের কার্য্যকাল শেষ হইয় আসায় শীঘ্রই একজন নূতন রেজিষ্টার নিযুক্ত হইবেন । বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কিছু সম্বন্ধে আমরা যে মত প্রকাশ করি, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেকে ঠিক তাহার উন্ট কাজ করাই শ্রেয়ঃ মনে করেন । তাহা সত্ত্বেও সম্পাদকের কৰ্ত্তব্য পালন জন্য আমর এ বিষয়ে সাধারণ ভাবে কিছু বলিব । নুতন রেজিষ্ট্রারের যে-যে রকম যোগ্যতা ও গুণবত্ত থাকা দরকার, কোন-নাকোন বিদ্যায়তনের অফিসের কাজ সম্বন্ধে অভিজ্ঞতা অবশু) তাহার অন্তর্গত । তাহার উপর, সৎ চরিত্র, পাণ্ডিত্য প্রভৃতি যে যে গুণে অধ্যাপকের ছাত্রদের শ্রদ্ধা আকর্ষণ করিতে পারেন, রেজিষ্টারেরও তাহা থাকা আবখ্যক । পূৰ্ব্বে যে-সব স্থপণ্ডিত ও চরিত্রবান ব্যক্তি এই পদ অলঙ্কত করিয়া গিয়াছেন, র্তাহাদের কথা মনে রাখিয়া ইহা লিখিতেছি। বিনা বিচারে বন্দীদের দশ বাংলা দেশের যুবকদের ভাগো অনেক দুঃখ আছে । সাধারণ আদালতের বিচারে অনেক সচ্চরিত্র যুবক শাস্তি পাইয়া থাকে । তাহার উপর অাছে স্পেখ্যাল টিবিউল্যালের (বিশেষ আদালতের ) বিচার। তাহাতে নির্দোষের শাস্তি হইবার সম্ভাবনা কিছু বেশী। সৰ্ব্বোপরি সেই বিধি যাহার বলে বিনা বিচারে অনির্দিষ্ট কালের জন্য যে-কোন ব্যক্তিকে আটক করিয়া রাখা যাইতে পারে । সম্প্রতি কলিকাত গেজেটে সরকার বাহাদুর ছাপাইয়া দিয়াছেন, কোন কোন শ্রেণীর পুলিস কৰ্ম্মচারী ও হাকিম সন্দেহ হইলেই মানুষকে বিন বিচারে আটক করিতে পারিবেন। যাহাদিগকে সাধারণতঃ এই ভাবে বন্দী করা হয়, তাহারা দাগী বদমায়েস ও নিম্ন শ্রেণীর লোক নহে, শিক্ষিত ও ভদ্র শ্রেণীর লোক, এবং সাধারণতঃ সক্ষরিত্র বলিয়াই পরিচিত। সাধারণ বা বিশেষ, কোন প্রকার আদালতের বিচারেই তাহারা অপরাধী বলিয়। প্রমাণিত इग्न माझे । অতএব, এই আশ স্বভাবতই করা হয়, যে, গবন্মেণট তাহাদিগকে আটক রাখিয়াই ক্ষান্ত হইবেন এবং তাহার। যাহাতে সুস্থদেহে ও সুস্থমনে বঁচিয়া থাকিতে পারে, তাহার বন্দোবন্ত করিবেন । কিন্তু দুঃখের বিষয়, বাংলা গবন্মেটি তাহাদিগকে আটক রাখিবার জন্য বক্সা দুয়ারের দুর্গ মনোনীত করিয়াছেন । ইহা ভুটান ও ইংরেজাধিকৃত বাংলা দেশের সীমান্তে অবস্থিত । স্থানটি অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর, ম্যালেরিয়া কাগজের প্রভূতির জন্য বিখ্যাত। এরূপ স্থানে বিনা বিচারে বন্দীকৃত লোকদিগকে আবদ্ধ করিয়া রাখিবার যদি বিশেষ কোন উদেহু থাকে, তাহা ঠিক্‌ করিয়া কেবল ভগবান এবং ইংরেজ কর্তৃপক্ষ জানেন । বন্দীদিগকে কি ভাবে থাকিতে হইবে, তাহার কতকগুলি নিয়মও সরকারী কলিকাতা গেজেটে বাহির হইয়াছে । তাহার কোন কোনটি অনাবশ্বক—যথা বন্দীদিগকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকিতে হুইবে ; কারণ, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকিবার উপায় থাকিলে বাঙালী ভদ্রলোকের ছেলেরা স্বভাবতঃ পরিষ্কার থাকিডেই চায় । একটি নিয়মে আছে, যে, কেহ এমন কিছু করিতে পারিবে না যাহা হইতে দুৰ্ব্বলতা জাদি জন্মে । ইহার