পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లిe: আমরা জনসাধারণ বলি, এখানে তারাই একমাত্র । মন্ধেীয়ের রাস্তা দিয়ে নানা লোক চলেচে। কেউ ফিটफ्रांझै बग्न, ८झश्रलड़े (बादी शोग्न अरुकाश्रास्त्रीङ्ग झल একেবারে অন্তৰ্দ্ধান করেচে, সকলকেই স্বহস্তে কাজকৰ্ম্ম করে দিনপাত করতে হয়, বাৰুগিরির পালিশ কোনে। জায়গাতেই নেই। ডাক্তার পেট্রোভ ব'লে এক ভদ্রলোকের বাড়ী যেতে হয়েছিল, তিনি এখানকার একজন সম্মানী লোক, উচ্চপদস্থ কৰ্ম্মচারী। যে-বাড়িতে র্তার আপিস সেটা সেকালের একজন বড়লোকের বাড়ি, কিন্তু ঘরে আসবাব অতি সামান্ত, পারিপাট্যের কোনো লক্ষণ নেই --নিষ্কাপেট মেঝের এক কোণে যেমন তেমন একখান টেবিল , সবসুদ্ধ, পিতৃবিযোগে ধোবানাপিতবর্জিত অশৌচদশার মতো শয্যাসনমূন্ত ভাব, যেন বাইরের লোকের কাছে সামাজিকতা রক্ষার কোনো দায় নেই। আমার বাসায় আহারাদির যে ব্যবস্থা তা গ্র্যাও হোটেল নামধারী পান্থাবাসের পক্ষে নিতান্তই অসঙ্গত। কিন্তু এজন্তে কোনো কুণ্ঠ নেই – কেননা সকলেরই এক দশা । আমাদের বাল্যকালের কথা মনে পড়ে। তখনকার জীবনযাত্রা ও তার আয়োজন এখনকার তুলনায় কতই অকিঞ্চিংকর, কিন্তু সে জন্তে আমাদের কারো মনে কিছুমাত্র সঙ্কোচ ছিল না; তার কারণ, তখনকার সংসারযাত্রার আদর্শে অত্যন্ত বেশি উচুনীচু ছিল না—সকলেরই ঘরে একটা মোটমোট রকমের চালচলন ছিল—তফাং যা ছিল তা বৈদগ্ধোর অর্থাং গান বাজনা পড়াশুনো ইত্যাদি নিয়ে। তাছাড়া ছিল কৌলিক রীতির পার্থক্য অর্থাৎ ভাষা ভাব ভঙ্গী আচারবিচারগত বিশেষত্ব। কিন্তু তখন আমাদের আহার-বিহার ও সকল প্রকার উপকরণ প্রবাসী—পৌষ, ১৩৩৭ SAASAASAASAASAASAASAAAS [ ७०* श्ठांशं, २झ १७ যা ছিল তা দেখলে এখনকার সাধারণ মধ্যবিত্ত্ব লোকদের মনেও অবজ্ঞা জাগতে পারত। ধনগত বৈষম্যের বড়াই আমাদের দেশে এসেচে পশ্চিম মহাদেশ থেকে । এক সময়ে আমাদের দেশে যখন হাল আমলের আপিসবিহারী ও ব্যবসাদারদের ঘরে নতুন টাকার আমাদানি হ’ল, তখন তারা বিলিতী বাবুগিরির চলন মুরু করে দিলে। তখন থেকে আসবাবের মাপেই ভদ্রতার পরিমাপ আরম্ভ হয়েছে । তাই আমাদের দেশেও আজকাল কুলশীল রীতিনীতি বুদ্ধিবিদ্যা সমস্ত ছাপিয়ে চোখে পড়ে ধনের বিশিষ্টত। এই বিশিষ্টতার গৌরবই মানুষের পক্ষে সবচেয়ে অগৌরব । এরই ইতরত যাতে মজ্জার মধ্যে প্রবেশ না করে, সেজন্যে বিশেষ সাবধান হওয়া উচিত। এখানে এসে যেটা সবচেয়ে আমার চোখে ভাল লেগেছে সে হচ্চে এই ধন-গরিমার ইতরতার সম্পূর্ণ তিরোভাব। কেবলমাত্র এই কারণেই এদেশে জনসাধারণের আত্মমর্যাদা এক মুহূৰ্বে অবারিত হয়েছে। চাষাভূযে সকলেই আজ অসম্মানের বোঝা ঝেড়ে ফেলে মাথা তুলে দাড়াতে পেরেচে। এইটে দেখে আমি যেমন বিস্মিত তেমনি আনন্দিত হয়েছি । মামুযে মাচুষে ব্যবহার কী আশ্চৰ্য্য সহজ হয়ে গেছে। অনেক কথা বলবার অাছে, বলবার চেষ্টা করব—কিন্তু এই মুহূৰ্ত্তে আপাতত বিশ্রাম করবার দরকার হয়েচে। অতএব জানলার সামনে লম্বা কেদারার উপর হেলান দিয়ে বসব, পায়ের উপর একটা কম্বল টেনে দেবতারপরে চোখ যদি বুজে আসতে চায় জোর করে টেনে রাখতে চেষ্টা করব না। ইতি ১৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৩০ | [ শ্ৰীমতী নিৰ্ম্মলকুমারী মহলানবীসকে লিখিত ]