পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা । গাছটির কথা বিশেষভাবে বলিয়া দিয়াছিলেন। শাহজাদা স্ববায় পৌছিয়া চিঠি লিখিলেন, আমের হেফাজতের জন্য লোক নিযুক্ত করা হইয়াছে, মৌসুমের সময় বাছ বাছ আম যথাসম্ভব সহর হুজুরে পাঠান হইবে । কিন্তু আমের ডালি যখন শাহজাহার নিকট পেীড়িল, তিনি আওরংজেবের উপর ভয়ানক অসন্তুষ্ট হইলেন, কারণ আম ছিল সংখ্যায় কম, আবার তাহার মধ্যেও কয়েকটি পচা । ইহার কৈফিয়তের জবাবে শাহজাদা লিখিলেন —“এ বৎসর দক্ষিণ দেশে আম ভাল হয় নাই। বাদশপছন্দ গাছেও অন্তান্ত বৎসরের মত অাম ফলে নাই । স্ববার সংবাদ-লেখকের বিবরণে হুজুর এ সংবাদ নিশ্চয়ই জ্ঞাত হইয়াছেন । মুলতফৎ থার আত্মীয় মীর সাবির ও মীর দারাব এখন বুরহানপুরে আছে ; তাহীদের লিখিয়াছি যেন খুব সাবধানে ভাল আম ডাকচৌকীর দ্বারা পাঠাইয়া দেয়।” ইহাতেও সম্রাটের মনের সন্দেহ ঘুচিল না—তিনি মনে করিলেন বাদশ-পছন্দ আম আওরংজেব নিজেই থাইতেছে এবং আম পাঠাইতে অবহেলা করিতেছে । তিনি রাগিয়া শাহজাদাকে লিখিলেন, “আমের হেফাজতের জন্য আগামী বৎসর দরবার হইতেই একজন লোক পাঠাইব ইচ্ছা করিয়াছি।” এক স্থা চাবুকের চেয়েও এই মন্তব্য অপমানজনক ও অসহ । কিন্তু আওরংক্ষেব ইহার পরও পিতার সন্দেহ দর করিবার জন্য লিখিলেন,—“সম্রাট একায্যের জন্য স্বয়ং লোক নিযুক্ত করিবার ইচ্ছা করিয়াছেন, ইহা অতি উত্তম কথ। দরবারে পাঠাইবার উপযুক্ত কি না দেখিবার জন্য এ বংসর বাদশ-পছন্দ গাছের মাত্র তিনটি অাম আমি অনাইয়াছিলাম। এবার বাদশ-পছন্দ গাছের মাত্র একটি শাখায় আম কলিয়াছে। বাকী ডালগুলি ঝড়ে ভাঙিয়া গিয়াছে। শাহানশাহ যে-আম পছন্দ করেন তাহ। এখানে অপচয় হইতে দেওয়া এ অধীনের পক্ষে করিয়া প্রতিকর হইতে পারে ?” শাহজাই এখন পুত্রের অন্য ত্রুটি খুজিতে গাগিলেন—আম না হয় কম ফলিয়াছে, কিন্তু ডালি পৌছিতে দেরি হয় কেন, আর আমই বা পচা হওয়ার শাহজাহঁ-আওরংজেব-সংবাদ - -TarunnoBot (আলাপ) ১৬:৩৯, ১৬ এপ্রিল ২০১৬ (ইউটিসি)--്.-----ഷൂ.--l.--ഹ് లిర్ని - صحیای مس - سهمیه --.-.- ...م. -مصحح محصحمه محح صح কারণ কি ? জাহানার আওরংজেবের কাছে লিখিলেন – “বাবা বলিতেছেন এবার ভাল আম আসে নাই । বোধ হয় আম কঁাচ অবস্থায় পাড়া হইয়াছে, কিংবা ডাকচৌকীওয়ালা দেরি করিয়াছে, না হয় আমের ডালি মাটিতে রাখিয়াছে, অথবা আম বুরহানপুর হইতে দৌলতাবাদ হইয়া দিল্লীতে আসিয়াছে।” আম সম্বন্ধে বাদশার অভিযোগ শুনিয়া আওরংঞ্জেব নিজের অতিবিশ্বস্ত এবং চতুর কৰ্ম্মচারী মহম্মদ তাহিরকে বুরহানপুরে পাঠাইয়াছিলেন । লোকে বলে ‘যাটি বুদ্ধি নাটি ; ষাটের সংখ্যা পার হওয়ার পর শাহজাহারও বোধ হয় বুদ্ধিভ্রংশ হইয়াছিল, নতুবা বুরহানপুর হইতে প্রেরিত আম দৌলতাবাদ হইয়া দিল্লীতে আসিবার কল্পনা করিতে পারিতেন না । জাহানারার পত্রের উত্তরে আওরংজেব লিখিলেন –“মহম্মদ তাহির বুরহানপুর পৌছিবার পূৰ্ব্বে যে-সমস্ত ডালি রওনা হইয়াছে তাহাতে কাচ আমি থাকিতেও পারে ; কিন্তু এখন কেন কাচা আম পাড়া হইবে ? ডাকচৌকীর উপর আমি হুকুম দিয়াছি, ডালি যেন আট নয় দিনের মধ্যে হুজুরে পৌছান হয় । সরকারী উকিল কিংবা অন্য কাহাকেও আদেশ করা হউক তাহারা যেন স্বতন্ত্র চিঠিতে ডালি রওনা হইবার সময়ট। লিখিয়া দেয় । ডালি পৌছিবার তারিখের সহিত মিলাইয়। যদি সময়ের পার্থক্য দেখা যায়, ডাকচেীকীওয়ালাদের শাস্তি দেওয়া হইবে । আমের ঝুড়ি যাহাতে মাটিতে রাখা না হয় সে-বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখিবার জন্য সিরোঞ্জ ও আগ্ৰায় লোক মোতায়েন করা হইয়াছে । ...বুরহানপুর ও তন্নিকটবৰ্ত্তী স্থানের আম মহম্মদ তাহির বুরহানপুর হইতে, এবং দৌলতাবাদ ও তন্নিকটবৰ্ত্তী স্থানের আম আমি স্বয়ং দৌলতাবাদ হইতে পাঠাইয় থাকি । বুরহানপুরের আম দৌলতাবাদ হইয়া দরবারে পাঠাইবার কি সার্থকতা থাকিতে পারে ?” যাহা হউক পিতা পুত্রের ঝগড়া অবসানের সঙ্গে আমের মৌসুমও বোধ হয় ফুরাইয়া গিয়াছিল । জিতাশঙ্করমৃ [ জতসংগ্রাম ? ] হাতী শাহজাই শুনিলেন জাটিয়ার রাজা কিশোরী সিংহের