পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

రిలీఫి দুইশত হাতী আছে , তাহার মধ্যে জিতসংগ্রাম নামে হস্তীটির জোড় হিন্দুস্থানে নাই। কিশোরী সিংহের কয়েক বৎসরের কর বাকী পড়িয়াছিল । সেই অজুহাতে তাহার বিরুদ্ধে সৈন্য প্রেরণ করিয়া তাহার সমস্ত হাতী— বিশেষতঃ জিতসংগ্রাম হাতীfট—দিল্লী পাঠাইয়া দিবার জন্য সম্রাট আওরংঞ্জেবকে হুকুম করিলেন। শাহজাদা কিশোরী সিংহের রাজো খুব বিশ্বাসী লোক পাঠাইয়া জিতসংগ্রাম হাতীর বহু অনুসন্ধান করিলেন । শেষে বাদশাকে জানাইলেন, “জিতসংগ্রাম নামক হাতীর সন্ধান ঐ দেশের কেহই বলিতে পারিল না । কেহ কেহ বলে, ঐ মুলুকে এই নামে প্রসিদ্ধ পাহাড়ের উপর একটি কিল্লা আছে ()। কিশোরী সিংহের নিকট এতগুলি হাতী থাকাও সম্ভব বলিয়া মনে হয় না । যদি বাস্তবিকই এরূপ কোন হাতী থাকিত, তবে যে-বৎসর শাহনওয়াজ থা আপনার হুকুমমত এ সুবার সমস্ত ফৌজ লইয়া ঐ রাজ্য আক্রমণ করিয়াছিলেন তখন অবশ্বই বাদশাহী নজর-স্বরূপ হাতীগুলি লইয়া আসিতেন ।...যে-ব্যক্তি কিশোরী সিংহের হাতীর কথা হুজুরে জানাইয়াছে এবং জিতসংগ্রাম হাতীর প্রশংসা করিয়াছে, তাহাকে অধীনের কাছে পাঠাইবার আদেশ হউক । সে বাদশাহী ফৌজের সহিত গিয়া কোথায় ঐ সমস্ত হাতী আছে দেখাইয়া দিলে বড় ভাল হয় । --” শাহজাহা মনে করিলেন, হয়ত শাহজাদ। কোনো মতলবে কিশোরী সিংহের বিরুদ্ধে ফৌজ পাঠাইতে অনিচ্ছুক । তিনি উত্তরে আওরংজেবকে এক কড়া চিঠি লিখিলেন—“মহম্মদ সুলতান এবং হাদিদাদ থাকে যেন অবিলম্বে বাদশাহী ফৌজের সহিত দেওগড় ( নাগপুরের অন্তর্গত কিশোরী সিংহের রাজধানী ) আক্রমণে পাঠান বান্দার রাজা শত্রুতাবশে কিশোরী সিংহের বিরুদ্ধে এই সমস্ত কারসাজি করিতেছিল, ইহা আওরংজেবের অজ্ঞাত ছিল না । তিনি লিপিলেন, “ফৌজের সঙ্গে গিয়া বান্দার রাজা হাতী সনাক্ত করুন এবং যে প্রকারে হউক ঐ হাতী কিশোরী সিংহের নিকট হইতে হস্তগত করুন।” এই জিতসংগ্রাম হস্তীর জন্য ১৬৫৫, ২২শে অক্টোবর দুইদল ফৌজ বিভিন্ন দিক্ হইতে কিশোরী সিংহের ق"[sں 33 হয় । প্রবাসী—পৌষ, లరిగి [ ৩০শ ভাগ, ২য় খণ্ড রাজধানীর দিকে অগ্রসর হইল। কিশোরী সিংহ বিন যুদ্ধে মোগল-সেনাপতির কাছে আত্মসমর্পণ করিলেন । আওর’জেব শেষ চিঠিতে সম্রাটকে জানাইলেন, “মির্জা থার সহিত জাটিয়ার রাজা আসিয়া আমার সঙ্গে দেখা করিয়াছেন। সৰ্ব্বসমেত র্তাহার কাছে যে বিশটি হাতী ছিল সমস্তই সঙ্গে আনিয়াছেন এবং শপথ করিয়া বলিতেছেন যে র্তাহার কাছে অন্য কোনো হাতী নাই ; এ কয়টি ছাড় । র্তাহার কাছে অন্য কোন হাতী আছে,—ইহা যদি কখনও প্রকাশ পায় বা কেহ দেখাইয়া দিতে পারে তাহা হইলে তিনি দগুনীয় হইবেন । বান্দার রাজা এবং তাহার উকিল দুদ নায়েক বোধ হয় দরবারে পৌছিয়াছেন ; তাহার কথাপ্রসঙ্গে হাদিদাদ থার কাছে প্রকাশ করিয়াছেন যে, জিতসংগ্রাম ও জাটিয়া-রাজের অন্যান্য হাতীর কথা র্তাহার। কিছুই জানেন না,—কেহ বাদশার কাছে মিথ্যা ংবাদ দিয়া থাকিবে । হাদিদাদ খা আমার কাছে এ কথার উল্লেখ করিয়াছেন । র্তাহার চিঠিতেই শাহান শী সমস্ত বুঝিতে পরিবেন।” জাহাজ-নিৰ্ম্মাণ সম্রাট কোনো স্থত্রে জানিতে পারেন, আওরংজেব স্বরাট বন্দরে সরকার কাঠের সাহায্যে একটি নূতন জাহাজ ভৈয়ার করাইতেছেন। আওরংজেব নিজ পুত্র মহম্মদ সুলতানকে লিখিলেন, “আমি স্বরাট বন্দরে কোনো নূতন জাহাজের ফরমাইশ দিই নাই । মোগল খার আমলের একটি জাহাজ তাত (সিন্ধু দেশের অন্তর্গত প্রসিদ্ধ বন্দর ) বন্দরে ভাঙিয়া যাওয়ায় কক্রাল পরগণার লোকদের হাতে পড়িয়াছিল ; ঐ ভাঙা জাহাজ খলিসা-ই-শরিফ বা খাস সরকারী সম্পত্তি ; বাদশাহের নিকট হইতে ইনাম-স্বরূপ আমি উহ! পাইয়াছিলাম । কিছুদিন হইল সালামৎ-রস নামক জাহাজের সহিত বাধিয়া ইহা স্বরাট বন্দরে আনাইয়াছি। ঐখানকার মুতসঙ্গী আমার আদেশমত উহার প্রয়োজনীয় সংস্কার আরম্ভ করিয়াছে । ঐ জাহাজ মেরামত করা যদি বাদশার ইচ্ছাবিরুদ্ধ হয়, তবে কাজ বন্ধ করিয়া দেওয়া যাইবে । এ পর্য্যস্ত মাত্র কয়েকখানি তক্তা উহার স চ রকর্ধে ব্যবহৃত হইয়াছে।”