পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১ম সংখ্যা ] \, তামার প্রখর রৌদ্রের তাপে ক্লিষ্ট পথিককে যদিও আর ৰ্ব্বের মত শীতল ছায় বিলাইয়া পরিতৃপ্ত করিতে পারি i, তবু জগতের মধ্যে নামী হইয়া আছি ।--মাও তেমনি আছেন। ছোট খোকাকে সাহস করিয়া আদর করিতে গরেন না, বড়দের রুক্ষ্ম মলিন মুখের পানে ফিরিয়াও চান { । কি জানি, তাহার সৰ্ব্বনাশ মেহের পথ ধরিয়া আবার যদি দুরন্ত শোক ফিরিয়া আসে ? যদি ইহারাও র্যাহার স্নেহের অমর্য্যাদা করিয়া পথপ্রাস্তে ফেলিয়া চলিয়া प्रिं ? এমনি করিয়৷ বছর ঘুরিয়া গেল, অরুণের কোন মেনকা নিত্য উৎকণ্ঠি তকণ্ঠে প্রশ্ন করে, সে ত তেমন ছেলে নয় । আজ আশঙ্কায় মায়ের মুখ {ংবাদই নাই । "কি হ’ল মা অরুণের ? বছর বিধি কোম খবর দিলে ন৷ ” বিবণ হয়ে উঠে । সেই বা গ্র প্রশ্নের চরম উত্তরই হয়ত ভগবান আস্তরীক্ষে বসিয়া তৈয়ারী করিয়া রাখিয়াছেন । কের আর একখানি অস্থি হয়ত খসিয়া পড়িবে | মা অন্য কথা পাড়েন, “আর কট দিন এমনি ক’রে কাঢ়বে, মিলি ! ঘটাবাটি থালবে:সন জমিজম সবই ত শেষ হয়ে এল, —তারপর ?” মেনক প্লানমুখে বলিল, “রায়েদের ছোট গিরি বেশ পরশু ঘাটে বলছিলেন একজন র ধুনী চাহ । বিশ্বাসা জানাশোনা লোক হ’লেই ভাল হয় । আম " است و پایه ম। শাস্তুস্বরে বলিলেন, “ওদের বাড়ী রাধবি ?” তারপর কয়েক মিনিট চুপ করির৷ থাকিয়া বলিলেন, “আমিও তাই ভাবছিলাম, এ ছাড়া আর পথ কি ? দেথিস্ ত মা, আমারও যদি একট। --” আগুঘরে মেনক বলিল, “ম, মা, চুপ কর।” মা ধীরস্বরে বলিলেন, “চম্কে উঠলি কেন মিনি ? ,স বাড়ীর বউ--যে লোকের স্ত্রী অামি, সবই জানি । শনি-সঙ্গম কিছুই ভুলিনি, ম । কিন্তু টাকার সঙ্গে যে সে-সব গেছে, ম । নইলে আমার মেয়ে হ’য়ে তুই আমারই মুখের ওপর একথা বললি কি ক’রে ? ওরে তুই বুঝ বি না--কমলকে হারিয়ে আমি যত না দুঃখ পেয়েছি, তোর এই কথা শুনে তার শতগুণ দুঃখে আমার রাজমাতা Հ:Տ 鲨 বুক ফেটে যাচ্ছে । কিন্তু উপায় কি ? আমরা উপোম দিয়ে মরতে চাইলেও এ কাটাগুলো যে ছাডে না । এদের যে এখনও মানুষ করে তুলতে হবে।” মেনকা কাদিতে কাদিতে উঠিয়া গেল । ు বহুদিন পরে অরুণের পত্র আসিয়াছে । সে লিখিয়াছে— - মা ! আপনাদের নিষ্ঠুরের মত ছাড়িয়া আসিয়াছি। বং সুরাবধি পত্র দিই নাই, আমার এ অপরাধের মার্জন নাই । প্রতিজ্ঞ করিয়াছিলাম--অর্থের জন্ত মমতাকে বিসজ্জন দিব, দিয়াছিলামও তাই । এক বৎসর আপনাদের কোন সংবাদ লই নাই। আপনি হয়ত শুনিয়া বিস্মিত হইবেন আমি আজ কোটিপতি, অথের সীমা পরিসীম। অামার নাই । কিন্তু, ভগবানের রাজ্যে যে অপরাধ করিয়াছি – তার শাস্তিও সেই সঙ্গে বহন করিয়া চলিয়াছি - এই দিল্লীর পথপ্রাস্তে একদিন একবস্ত্রে রূক্ষ্মমহিল মুখে অভূক্ত আমি, সারাদিন—সারারাত্রি ঘুরিয়া বেড়াইয়াছি কেহ ফিরিয়াও চাহে নাই--কেহ তত্ত্ব লয় নাই । বুঝিয়াছিলাম ভাগ্যকে সঙ্গে বহন করিয়া আনিয়াছি ; নিয়তিকে অদৃশ্ব শূন্যে সার্থী করিয়া আমার পিছু পিছু ঘুরিতেছে, একদিন অনাহারেই উহার কোলে ঢলিয়ু পড়িব । কিন্তু নিষ্ঠুরের মত যে কাজ করিয়াছি তাহার পুরস্কার তখনও বাকী ছিল, তাই মৃতু্য আমার হয় নাই । এক ধনী আমায় মূৰ্ছিত অবস্থায় গুহে লইয়। আসেন, তাহাদেরই সেবা-ধত্বে মুস্থ হই । পরিচয়ে প্রকাশ পায়— ংলারই অধিবাসী, কিন্তু এখানে পুরুষাঙ্গুত্রমে বসতি করিতেছেন, এবং আমাদেরই স্বজাতি । লোকটি সহৃদয়, কিন্তু ব্যবসায়ী। কাপড়ের কল করিয়া হাজার হাজার কুলি খালি।ইয়া যে জ্ঞান অর্জন করিয়াছেন, তাহার ( - を菊マ。 তারা প্রয়োগ সংসারের সর্ববক্ষেত্রেই করিয়া থাকেন । আমার উপরও সেই পরীক্ষা করিলেন । পরীক্ষায় তিনি হইলেন জয়ী,--আর জুরাকাঙ্ক্ষ আশার তাড়নায় আমি হইলাম পরাজিত । ক্ষমা করিও মা, যদিও জানি আমি ক্ষমার