পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] ভারতের ইতিহাসে প্রকৃতির প্রভাব wog& থামিল। এই বিষম শক-ঝটিকা প্রতিরুদ্ধ করিতে পারে এমন জননায়ক এই যুগে ভারতে জন্মগ্রহণ করে নাই । খ্ৰীষ্টাবের চতুর্থ শতকের প্রারস্তে গুপ্ত-সাম্রাজ্যের উখানে প্রায় দুইশত বৎসর পর্য্যন্ত ভারত বিদেশীয় আক্রমণ হইতে মুক্ত ছিল। ইহায় অনেক পূৰ্ব্ব হইতেই কিন্তু পৃথিবীর ইতিহাসের এক বিখ্যাত ঘটনা-চুনঝটিকা বহিতে আরম্ভ হইল। এই ঝটিকার আঘাতে পুথিব প্রতিষ্ঠিত রাজ্যগুলি থর থর করিয়া কপিতে লাগিল । তরঙ্গের পর প্রবলতর তরঙ্গের মত মধ্যএশিয়া হইতে এই হ্ৰণ-আক্রমণ প্রস্থত হইতে লাগিল। ৩৭৫ খ্ৰীষ্টাব্দে এই তরঙ্গের আঘাত প্রথম ইয়ুরোপে অস্তুভূত হয়। এশিয়াতে স্থণগণ পারস্য-রাজ্য অভিভূত করিয়া আফঘানিস্থানের পাৰ্ব্বত্য প্রদেশস্থ কুষাণ-রাজ্যগুলি উন্মুলিত করিয়া প্রবলবেগে আসিয়া ভারতের গুপ্ত-সাম্রাজ্যেকে আঘাত করিল। মহাবীর স্কন্দগুপ্ত কিন্তু এই আঘাতে বিচলিত হইলেন না, সাম্রাজ্যের সমস্ত শক্তি সঞ্চিত করিয়া তিনি এই বৰ্ব্বর হুণ-ঝটিকাকে প্রতিঘাত করিলেন । তৃণগণ পরাজিত হইয়া পলায়ন করিল। এইরূপে, ৪৮০খ্ৰীষ্টাব্দের নিকটবৰ্ত্তী কোন বৎসরে শতাব্দীকাল অব্যাহত গতিতে বহিয়া ভারতেই প্রথম তুণ-ঝটিকা প্রতিহত হয়। কিন্তু স্কন্দগুপ্তের পরে গুপ্ত-সাম্রাজ্যের দারুণ তুর্দিন উপস্থিত হয়। পূৰ্ব্ববর্তী গ্রীক ও শক আক্রমণেরই মত এই ভূণ-আক্রমণও কিছুদিন পৰ্য্যস্ত অপ্রতিহত গতিতে অগ্রসর হইয়াছিল। ভারতের উত্তর-পশ্চিমাংশেই মাত্র এই আক্রমণের ভাব অনুভূত হইয়াছিল। ক্রমশঃ ঝড়ের বেগ কমিয়া আসিল, ভারতীয়গণ এই প্রচণ্ড ঝটিকার প্রথম আঘাতে যেন অনেকট হতবুদ্ধি হইয়া পড়িয়াছিল, তাহাদের এই জড়ভাব ক্রমশঃ কাটিয়া যাইতে লাগিল । ইণদেয়-বিরুদ্ধে ভারতীয় শক্তি জাগিতে লাগিল, গুপ্তবংশজ বালাদিত্য এবং মালবের নবোদিত ভূপতি যশোধৰ্ম্মণের নাম্বকতায় হুণ-নায়ক মিহিরকুল সম্পূর্ণ পরাজিত হইলেন, ভারতে হুণদের প্রতিপত্তি ফুরাইয়া গেল। খ্ৰীষ্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীতেও পৰ্য্যন্ত দেখা যায় মে, প্রকৃতির প্রভাবে ভারতীয়গণ মনুষ্যত্ব হীরাইয়া বসে নাই । আরবে উদ্ধাগতিতে মুসলমান শক্তির অভূখান পৃথিবীর ইতিহাসে এক আশ্চর্ঘ্য ঘটনা। এক শতাব্দীর মধ্যে দেখিতে দেখিতে স্পেন হইতে আরম্ভ করিয়া ভারতের সীমান্ত পৰ্য্যস্ত মুসলমান সাম্রাজ্য বিস্তৃত হইয়া পড়িল এবং গ্রীক বা স্পেনিস কোন জাতিই মুসলমান বীরগণের গতিরোধ করিতে পারিল না। ভারতের সিন্ধুদেশে প্রথম ৭১২ খ্ৰীষ্টাব্দে মুসলমান-ঝটিকা আসিয়া আঘাত করে । আর তারাইনের যুদ্ধে ১১৯৩ খ্ৰীষ্টাব্দে ঘোরীর হস্তে পৃথ্বীরাজের পরাজয় হয় এবং এই পরাজয়েই ভারতে মুসলমান সাম্রাজ্যের ভিত্তি স্থাপিত হয়। ভারতবর্ষ যে অবশেষে মুসলমানের অধীনতা স্বীকার করিতে বাধ্য হইয়াছিল, ইহার জন্য কি ভারতের প্রাকৃতিক প্রভাবের দোষ দিব ? না, যে মুসলমান আক্রমণ সহিয়া আক্রান্ত কোন দেশই বেশীদিন স্বাধীনতা রক্ষা করিতে পারে নাই, তাহাকে দীর্ঘ চারি শতাব্দী কাল বাধা দিয়া রাখিতে পারিয়াছিল বলিরা ভারতীয়গণের বীরত্বের গুণ গাহিব ? গুর্জর-প্রতিহারবংশীয় রাজগণ যেভাবে প্রকৃত প্রতিহারীর কাজ করিয়া সুদীর্ঘকাল ধরিয়া ভারতের দ্বাররক্ষা করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন, পঞ্জাবের ব্রাহ্মণ শাহী-রাজবংশ গজনীর সবুক্‌তিগিনের এবং অসাধারণ যুদ্ধবিশারদ সুলতান মামুদের বিরুদ্ধে যে-ভাবে ভারতীয় রাজগণের শক্তিকে দলবদ্ধ ওঁ জাগ্রত করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন, মহাবীর পৃথ্বীরাজ প্রথম বারের যুদ্ধে ঘোরীকে যে-ভাবে হারাইয়া দিয়াছিলেন, এই সমস্ত ব্যাপার পর্ঘ্যৰেক্ষণ করিয়া এই কি মনে হয় না যে, প্রাকৃতিক প্রভাবে ভারতীয়গণ দুৰ্ব্বল হইয়া পড়িয়াছে এই কথা একেবারে মিথ্যা ? ভারতে সাহস ও বীরত্বের অভাব কোনদিন-ই হয় নাই ; কিন্তু যুদ্ধজয় শুধু সাহস ও বীরত্ব থাকিলেই হয় না। যোদ্ধারা যতই বীর হউক না কেম, সেনাপতি যদি भख्रुिशैन श्न ७ष सूक्ष्कोत्रण मा बूत्खन, उत्न यूरक