পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] লতিকা বলিল, “আচ্ছ।” কালীমোহন বলিল, “যাক এতদিনে এই প্রথম দেখলাম যে আমাদের বাড়ির একটা সমস্যার অন্ততঃ সমাধান হ’ল।” বঞ্চিত বঞ্চিত শ্রীপ্রভাতমোহন বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু যাব চলে— চির-পুরাতন কথা ভেঙে চুরে ছন্দে গেঁথে বলে ? শুধু যাব এ কেচির-পুরাতন ছবি সহস্ত্রের পদ প্রাস্তে থেকে ? শুধু কি তাহারই তরে, এত দীর্ঘ বর্ষ ধরে অস্তরে আমার পূজার আসন পাতা ? এত মন্ত্র স্তবগাথা, এত উপচার ? মত কঁাদি যত ডাকি, দেবতা আসিবে না কি ? বুঝিবে না ব্যথা ? ঃে গাথ শতক্ষতি, এই তার পরিণতি । এই নিষ্ফলতা ? আমার ঐশ্বৰ্য্য তবে, চিরদিনই স্বপ্নে ববে, মিলিবে না খোজ ? ভাগ্যে তবে চিরদিন শুধু লেখা লজ্জাহীন, এ উচ্ছিষ্ট ভোজ । সব ব্যর্থ হবে ? সমস্ত জীবন ধরি, যাব অভিনয় করি মিথ্যার উৎসবে ? কেম অযাচিতে এত বর্ণ, এত আশী, এত প্রীতি, এত ভাষা এল তবে চিতে ? কেন মোরে ছল করি, সভায় অনিল ধরি, লজ্জা দিল কেন ? দি শুনাবার মত বাণী নাহি, নাই হতো অভিনয় হেন ! প্রাণ লয়ে দীর্ণ ষেলা এমন নিষ্ঠুর খেলা নাই হতে মিছে ; rাপ নাহি দিতে তারে, যে-ভিখারী অন্ধকারে আজন্ম ভ্ৰমিছে ! প4রও খেয়ালের বশে, নাই হতো অপযশে দুরাশার শেষ । বিড়ম্বন কেন এই, ঘরে যার অন্ন নেই, তার রাজবেশ ? থাছে গীত বাদ্য হাসি, আনন্দিত পুরবাসী, সাজানে আসর আছে যাহা-কিছু চাষ্ট, শুভলগ্নে শুধু নাই বিবাহের বর! এ কি নির্যাতন ! কন দেওয়া স্বর্ণঝারি, যদি তাহে নাহি বারি, জুড়াতে জীবন ? ২৬-৮ - ●¢ፃ লতিকা বলিল, “গায়ের জোরে সমাধান করতে চাইতে এতদিন, তাই হয়নি। না হ’লে ভাল কথায় মেয়েমানুষকে বোঝালে, সে করে বোঝে না ?” কে তুমি নিৰ্ম্মম ? অদৃশ্ব গোপনবাসী হাসিয়া নিষ্ঠুর হাসি বেদনায় মম খেলায় আনন্দ আছে, কে যে মরে, কে যে বঁাচে খেলিবার ঘুটি, ত কি দেখিলে চলে ? ঘোরে ফেরে দলে দলে করে ছুটোছুটি, শুধু তব ইচ্ছামত ; যত চাও দাও তত, উচ্চপদ তারে ; পুনঃ মুহূৰ্ত্তেক গতে তুলে লয়ে সেথ হ’তে ফেলে একধারে, কি হইবে বৃথা দুর্ষি ? খেল বন্ধু যত খুশী, শুধু দয়া করে কর বদ্ধিহীন জড়, দেখায়ে ন কিছু বড়, অধম ছোট রে । দান ফিরে নাও তোমার দয়ার পাশে, শ্বাসরুদ্ধ হয়ে আসে দাও মুক্তি দাও ! কেন এ ছলনা ? আর কত কাল মোরে, রাখিবে এমন করে দহিতে বল না ? দণ্ড যদি প্রাপ্য হয়, দাও দণ্ড হে নিৰ্দ্দয় । অধম, নিলাজে, নিষ্ঠুর চরণাঘাতে, আনে ফিরে চেতনাতে পথ-ধূলিমাঝে ! চর্ণ গেক সব আশা, মৌন হোক সব ভাষ৷ শাস্ত হোক প্রাণ 5 ঘুচাও ঘুচাও লাজ, নীরব হউক আজ ছন্দহীন গান । বাসনার ভস্মস্ত পে বন্দী করি অন্ধকূপে রাখে। অন্ধবং ক্ষণে ক্ষণে রুদ্ধ ঘরে, চোখে যেন নাহি পড়ে বাহিরের পথ । মোরে দাও অধিকার বিশ্বমাঝে আপনার মূল্য বুঝে নিতে ; সত্য যদি দেয় শোক, যত অকরুণ হোক পারিব সহিতে । অন্তরে বাহিরে নিত্য, ছলনায় জলে চিত্ত সদা তৃপ্তিহীন, শূন্যগর্ভ মঞ্জুষার বহিতে পারিনে ভার, আর রাত্রি-দিন । সজ্জ লও কেড়ে সহস্ত্রের ভিড় ঠেলি নিজেরে লুকায়ে ফেলি, সভা য়াই ছেড়ে । ১ল। ভাদ্র