পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

** 8 —বা রে, হাত মুখ ধো ৪—ঠাণ্ড হও— গমন পেটুক কেন তু ম ?...পেটুক গোপাল কোথাকাব। পরে সে রেকাবিতে পাবার অনিয়। বলি ল—এগুলো খেয়ে ফেল, তারপর আরও দেব - দাখে। তে। খের, মিষ্টি কম হয় নি তো ?...তোমার তো আবার একটুখানি গুড়ে হবে না ? থাইতে থাইতে অপু ভবিল—বেশ তো শি:থচে করতে 1.--বেশ– পরে দেওয়ালের দিকে চোখ পড়াতে বলিল-বাঃ, ও রকম আলপন দিয়েচে কে ? ভারী স্বন্দর তো ! অপর্ণ। মৃদু হাসয় বলল –ভাদ্র মাসের লক্ষ্ম পূজোতে তো এলে ন! ! আমি বাড়ীতে পূজো করলাম, মা করতেন, সিদুর মাথা কাঠ। দেখি তোলা রয়েচে, তাতে নতুন ধান পেতে – বামুন খাওয়ালাম । তুমি এলেও দুটি খেতে পেতে গে। —তারই ঐ অল্পনা— –তাই তো ! তুমি ভারী গিী হয়ে উঠচে দেখচি । লক্ষ্মীপূজে, লোক খাওয়ানো—আমার কিন্তু এসব ভারী ভালো লাগে অপণা—সত্যি. মা-ও খুব খাওয়াতে ভtলবাসতেন একবার তখন আমরা এখানে নতুন এসেচি —একজন বুড়ো মত লোক আমাদের উঠানে ধারে এসে দাড়িয়ে বললে, থোকা থিদে পেয়েচে, দুটো মুড়ি খাওয়াতে পার ?...আমি মাকে গিয়ে বললাম, মা, একজন মুড়ি খেতে চাচ্চে, ওকে খানকতক রুট করে খাওয়ালে ভারী খুদী হবে খণ্ডিয়াবে মা ? মা কি করলে ব.ল। তো ? —রুটী তৈরী করে বুঝি — —ত নয়। মা একটু করে সরেব বি করে রাখতে, আমি বেডিং থেকে বাডী-টাড়ী এলে পাতে দিত, আমায়ু খুসি করবার জন্তে । ম৷ সেই ধি দিয়ে মাটদশ থানা পরোট। ভেঞ্জে লোকটাকে ডেকে, দাওয়ার কোলে পি ডি পেতে খেতে দিলে । লোকট। তো অবাকু, তার মুণের এমন ভাব হোলো ! -- রাত্রে অপর্ণ বলিল-দ্যাপে, মা চিঠি লিখেচেন, পূজোর পরে মুরারি দ। আসবে নিতে, পাচ ছ মাস যাইনি, তুমি যাবে আমাদের ওখানে ? অপুর বড় অভিমান হইল । সে এভ আশা করিয়া পূজার সময় বাড়ী আলিগ, আর এদিকে কিনা অপর্ণ। প্রবাসী—পৌষ, ১৩৩৭ SAAAA AAS AAAAA AAAA AAAAMAAA AAAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAMAJSJAAA AAASA SAASAASAASAASAA AAAS AAAAAHAMAMAAAA { ৩০শ ভাগ, ২য় খণ্ড বাপের বাড়ী যাইবার জন্য পা বাড়াইয়া আছে ? সে-ই তাহা হইলে ভাবিয়া মরে, অপর্ণার কাছে বাপের বাড়ী যাওয়াটাই অধিকতর লোভনীয় । অপু উদাস স্বরে বলিল—বেশ, যাও । আমার যাওয়া ঘটুবে না, ছুটি নেই এখন । কথাট। শেষ করিয়া সে পাশ ফিরিয়া শুইয়া বই পড়িতে লাগিল । অপর্ণ খানি কক্ষণ পরে বলিল—এবার যে বইগুলো এনেচ আমার জন্তে, ওর মধে একথান চয়নিক।’ তো আনলে না ? সেই যে সে-বার বলে গেলে জন্মাষ্টমীর সময় ? এক আধ কথায় জবাব পাইয়া ভাবিল সারাদিনের কষ্টে স্বামীর হয়ত ঘুম আদিতেছে। তথন পেও ঘুমাইয়া পড়িল । দশমীর পরদিনই মুরারি আসিয়া হাজির । জামাইকে ও যাইতে হইবে, অপর্ণার মা বিশেষ করিয়া বলিয়া দিয়াছেন, ইত্যাদি নানা পীড়াপীড়ি সুরু করিল। অপু বলিল-পাগল ! ছুটী কোথায় যে যাব আমি ? বোনকে নিতে এসেচ, বোনকেই নিয়ে যাও ভাই – আমরা গরীব চাকুরে লোক, তোমাদের মত জমিদার তো নই—আমাদের কি গেলে চলে ? অপর্ণ বুঝিয়াছিল স্বামী চটিয়াছে, এ অবস্থায় তাহার যাইবার ইচ্ছা ছিল না আদে, কিন্তু বড় ভাই লইতে আসিয়াছে সে কি করিয়াই বা ‘না’ বলে ? দে-টানার মধ্যে পড়িয়া সে বড় মুস্থিলে পড়িল। স্বামীকে বালল – দ্যাথে, আমি যেতাম না । কিন্তু মুরারি-দ। এলেচে, আমি কি কিছু বলতে পারি ?--রাগ কোরো না লক্ষ্মীটি, তুমি এখন না যাও, কালীপুঞ্জার ছুটিতে অবিপ্তি করে যেওঁ-ভুলে না যেন । অপর্ণ চলিয়া যাইবার পর মনসাপোতা আর একদিনও ভাল লাগিল না। কিন্তু বাধ্য হইয়। রাত্রিটা সেখানে কাটাইতে হইল, কারণ অপর্ণার। গেল বৈকালের ট্রেণে ! কোনোদিন লুচি হয় না, কিন্তু দাদার কাছে স্বামীকে ছোট হইতে না হয়, এই ভাবিয়। অপর্ণ দুইদিনই রাত্রে লুচির ব্যবস্থা করিয়াছিল – আজও স্বামীর খাবার আলাদা করিয়া ঘরের কোণে ঢাকিয়া রাখিয়া গিয়াছে। লুচি ক’খানা খাইয়াই অপু উদাসমনে জানা র কাছে