পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৭৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Óዓbo প্রবাসী—পৌষ, ১৩৩৭ ৩০শ ভাগ, ২য় খণ্ড AMMMMAMAAA AAASS রূঢ়তা ও নিষ্ঠুর সংঘর্ষের কাহিনী ? আজ তাছার মনে দু একবার বলি বলি করিয়াও অপু বিবাহের কথা হইল লীলার পায়ে একটা কাটা ফুটিলে সেটা তুলিয়া তাহাকে বলিতে পারিল না, অথচ সে নিজে ভালই দিবার জন্য সে নিজের সুখ শান্তি সম্পূর্ণ উপেক্ষা ও বোঝে, যে না বলিতে পারিবার কোনো সঙ্গত কারণ অগ্রাহ করিতে পারে। নাই । বিবাহের পর লীলার সঙ্গে এই প্রথম দেখ, কিন্তু ক্রমশ: হৈমন্তী শ্ৰীগোপাললাল দে ধানের সবুজ বান বহে যায় দিগন্তরে, সরলী-সায়রে টলমল করে শীতল জল, নব শীবে শীষে করতালি রণন রণ ; লহরী-লীলায় চল-চঞ্চল শফী খেলে, পাতায় পাতায় শন শন বাজে বাতাস ভরে, পদ্ম স্ববাস জলে ভাসে নীর-কুমুমদল দূরে দূরে যায় বায়ু ভরে তার অনুরণন। তীরে বসে আছে সারাদিন মাছ শিকারী ছেলে। মেঠো পথখানি ছাওয়া কুশ-কাশ তৃণের দলে, শুাম শিষ, দেয় কপোতের পাথে রাখিয়। তাল, কৃষক সে পথে চলেছে যেথায় কুষাণী কালে, দূর হতে আসে ঘুঘুদের মধু-কল কুজন, কালো তার বেশ, কালে কেশপাশ, কালো ত্ৰাখি কালো । চন্দনা শোনে নয়নাভিরাম ভঙ্গিমগ্রীব মুচির কাল, বসন তলে, দূরে দিগবন্ধু ছলছল চায় উদাস মন। কালো মেঘসম ধান তারই পাশে সেজেছে ভালো । রাতে পাদপীঠে চলে শিশিরের আলিম্পন, বন-তুলসীর গন্ধে আকুল বায়ুর ডাকে, সন্ধায় ঝরে হিম-কুঙ্কুম শামল মুখে ; যেমন গেলাম হেমঘূলিময় পল্লীপথে ; প্রভাত বায়ুতে চুয়-চন্দন কুহেলি কণ, দেথি বনলতা ফুটে আছে শত পথের বঁাকে, বর্ষা স্নানের সিক্ততা ঘোচে রৌদ্র স্বখে। পুষ্প-ধতুর ঘর্ঘর বাজে ভ্রমর-রথে। চন্দনটাকা দিয়া ভগিনীরা পায়সে তোষে, খেজুর তালের গাছ রহে থির ছবির মত, ঘরে ঘরে আছে স্বাদু নবারে নিমন্ত্রণ ; নবীণ বেণুব শীর্ষ শোভিছে নীলাম্বরে, বনেতে হইবে মুণ্ঠ, ভোজন, মাঠে পৌধলা প্রথম হাওয়া নাই তবু জীর্ণ শাখায় অশথ পাতার মৃত্যরত, পো’যে, জলে কদলীর ছায়া হেরি মন কেমন করে। মধুর মদিরা খর্জুর-রসে তৃপ্ত-মন ।