পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৩৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

بر مرادی বাংলা বইয়ের পাতা উন্টাইতেছিল, ইন্দুকে দেখিয়া বলিল, “পিসীম, বাবার পাগলামী আর কোনো কালে যাবে না। কেমন মাহুষ দু’টাকে হুট করে ঘরের ভিতর এনে উঠলেন ।” ইন্দু বলিল, “ত ডাক্তার ঘরে আসবে না ত কোথায় যাবে ? তুই ত আর মুসলমানের বেগম নয় যে পরদার ওপর থেকে লেকে ডাক্তার দেখবে ? মায়া বলিল, “হিন্দুর মেয়ের বুঝি আর লজ্জাসরম নেই ? অার একজন লোক কে, একজন ত ডাক্তার ?” ইন্দু বলিল, “আর একজন ত দেবকুমার, সত্যি তাকে তুষ্ট চিনতে পারলি না ?” মায়া হাসিয়া বলিল, “কবে তাকে আমি দেখলাম যে চিনুব ?” ইন্দু আর কিছু বলিবার খুজিয়া পাইল না, চুপ করিয়া বসিয়া রহিল । এমন সময় সিড়িতে পদধ্বনি শোনা গেল । মায়া বলিল, “ঐ বুঝি বাবা ডাক্তার নিয়ে আসছেন ? কি হাড় জালাতন বাবা, অমুখ নেই বিসুখ নেই, দিমে পঞ্চাশবার করে ডাক্তার দেথাও ।” ইন্দু বলিল, “আচ্ছা, আচ্ছ, তোর অত গিল্পীপনায় কাজ নেই । তোর বাপ তোর চেয়ে কম বোঝেন না । ঘা দরকার তাই করছে । ডাক্তার যা জিগ গেষ করবে ঠিক ঠিক উত্তর দিস যেন ।” মায় বলিল, “ঠিক উত্তর দেব না ত কি গড়ে গড়ে উত্তর দেব ? তোমরা আমায় কি পেয়েছ যেন ।” নিরঞ্জন ডাক্তার মিত্রকে লইয়। ঘরের ভিতর ঢুকিলেন। ইন্দু ভাড়াতাড়ি পাশের ঘরে চলিয়া গেল । প্রায় একঘণ্টা ধরিয়া নানাভাবে ডাক্তার মায়াকে পরীক্ষা করিলেন। কোনো প্রশ্নের সে ভাল করিয়া জবাব দিল, কোনো প্রশ্নের উত্তরে খালি ঘাড় নাড়িল । মোটের উপর তাহার কয়েক বৎসরের স্মৃতি যে সম্পূর্ণ লুপ্ত হইয়াছে, এবিষয়ে কাহারও কোনো সন্দেহ রহিল না । নিরঞ্জন ডাক্তারকে লইয়া নীচে অপিস ঘরে চলিয়া গেলেন । দরজাটা ভেজাষ্টয়া দিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, “কিরকম বুঝছেন ? এ রকমের কেস আর কখনও টিট করেছেন ?” প্রবাসী—পৌষ, ১৩৩৭ [ ৩০শ ভাগ, ২য় খণ্ড ডাক্তার বলিলেন, “এ ধরণের কেস খুবই রেয়ার, নিজে কখনও টিট করিনি। আর যতদূর জানি এর টিটমেন্ট কিছু নেইও, ভাগ্যের উপর নির্ভর ক’রে থাকা ছাড়া । আপনার মেয়ের মেমরি যেমন হঠাৎ লোপ পেয়েছে, তেমনি হঠাৎ আবার ফিরেও আসতে পারে। এটা হিষ্টিরিয়ারই কেস, একে ডাবলু পাসন্তালিটির দৃষ্টান্ত বলা যেতে পারে । নিরঞ্জন জিজ্ঞাসা করিলেন, “বইয়ে এ ধরণের কেসএর হিষ্টি কিছু পাওয়া যায় ?” ডাক্তার বলিলেন, “ত আছে । তবে অবিকল এই রকম হয়ত নয় । এ ধরণের কেসের হিষ্টি, কুড়িপচিশটার বেশী বড় পাওয়া যায় না। অবশ্ব জগতে আর ঘটেনি তা বলতে পারি না, তবে সব কেস্ত রেকর্ডেং হয় না, আঠার শ একত্রিশ সনে ম্যাকনিশ ব’লে একজন Efērā Philosophy of Sleep z’zzi nzī; që cz. করেন, তাতে এই ধরণের একটা কেসের বেশ পরিষ্কাস হিষ্টি আছে । মেয়েটি আমেরিকান, তার নাম কি, তা ঠিক জানা যায় না, বইয়ে তাকে Lady of Macmis: নামেই চালিয়ে দেওয়া হয়েছে । মেয়েটি হঠাৎ গভীব নিদ্রায় অভিভূত হয়ে পড়েন। অনেক ঘণ্ট। কিছুতেই তাকে জাগান খায় নি । এ ধরণের ঘুম মূৰ্চ্চারই রূপান্ত । অবশু) । যথম তিনি জেগে উঠলেন, তখন দেখা গেল তীয় স্মৃতিশক্তি একেবারে লোপ পেয়েছে । তাকে আস্তে আয় ; আবার লিখতে পড়তে সব শেখানো হ’ল, মাতুষদেপ • ক্রমে ক্রমে তিনি চিনতে শিখলেন । কিছুকাল পরে, হঠাৎ আবার আগের মত ঘুমিয়ে পড়লেন। যখন জাগলেন তখন নিজের পূর্বাবস্থা ফিরে পেয়েছেন, কিন্তু মাঝের ঐ দিনগুলির কথা একেবারে ভুলে গিয়েছেন । এই রকম অবস্থাস্তর তার বার-বার ঘটতে লাগল, এক অবস্থায় আর এক অবস্থার কথা তার একেবারেই মনে থাকৃত না ।” নিরঞ্জন জিজ্ঞাসা করিলেন, “র্তার কি মরবার সমপৰ্য্যন্ত এই ভাবেই কেটেছিল ?” ডাক্তার মিত্র বলিলেন, “ন, তা কাটেনি। যতদূর মনে পড়ে, চার পাচ বৎসর তিনি এই রকম ভুগেছিলেন, তারপর সেরে যান ।”