পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| " “ভয়োৎপাদন নীতির সহসা আবির্ভাব” জেলসমূহের ইনস্পেক্টর-জেনার্যাল সিমসন সাহেব ৮ই ডিসেম্বর কলিকাতায় নিহত হন । তিনি বড় কৰ্ম্মচারী ছিলেন এবং ইংরেজ ছিলেন । সুতরাং এই গৰ্হিত হত্যাকাণ্ডের সংবাদ স্বভাবতই তৎক্ষণাং বিলাতে পৌছিতে দেরি হয় নাই । ৯ই বিলাতী কাগজে এবিষয়ে সম্পাদকীয় মন্তব্য বাহির হইয়াছে । ঢাকাতে অনেক সপ্তাহ ধরিয়৷ অরাজকতা অপেক্ষ। অধম অবস্থ। বিদ্যমান থাকায় যে অনেক গৃহদাহ, নরহত্য, জখম ও লুটপাট হইয়াছিল, তাহার খবর এখনও ভাল করিয়৷ বিলাতী কাগজে বাহির হয় নাই এবং বিলাতী কাগজগুলা অনেক বিলম্বে ও এই ভীষণ অবস্থা সম্বন্ধে কিছু না বলায় তৎকালে বিলাতপ্রবাসী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্পেক্টটর কাগজে তাহাদের এই নৈর্বাক্য সম্বন্ধে মন্তব্য প্রকাশ করিয়াছিলেন । কতকট। ঢাকার মত অবস্থা বাংলা দেশে কিশোরগঞ্জ মহকুমায়, সিন্ধুদেশে সক্কর প্রভৃতি স্থানে, এবং পেশাওয়ারে হইয়াছিল। তাহাতেও বিলাতী সম্পাদকদের টনক নড়ে নাই । বিদেশী ভিন্নধৰ্ম্মী অশ্বেতকায় পরাধীন লোকদের অবস্থা সম্বন্ধে বিলাতের লোকদের ঔদাসীন্য আছে বলিয় তাহদের স্বদেশী সধৰ্ম্মী শ্বেতকায় লোকদের সম্বন্ধেও ঔদাসীন্ত থাকিবে, আমরা এরূপ আশা করি না । সেরূপ ঔদাসীন্য স্বাভাবিক হইত না। তাহা যে নাই, পৃথিবীর যে-কোন স্থানে এক জন ইংরেজের গায়ে আঁচড় লাগিলে যে তাহার স্বদেশবাসী ইংরেজদের হৃদয়ে আঘাত লাগে, ইহা স্বাভাবিক ও ভালই। তবে, সেই সঙ্গে সঙ্গে বিদেশী ভিন্নধৰ্ম্মী অশ্বেতকায় পরাধীন লোকদের গায়ে আঁচড়ের চেয়ে বেশী কিছু লাগিলে যদি ইংরেজদের হৃদয়ে একটু চিন্তার ছায়াও পড়িত, তাহা হইলে আমরা তাহাদের প্রশংসা করিতে পারিতাম ; এবং 帽型リ |-ఫ్రై কোথাও আমাদের স্বদেশী কাহারও অপমান, লাঞ্ছনা, প্রাণবধ ঘটিলে যদি আমাদের প্রাণে সামান্ত একটুও ঘ। লাগিত তাহ হইলে সন্তোষের বিষয় হইত। কিছুকাল আগে পর্য্যস্ত বিলাতী ম্যাঞ্চেষ্টার গাডিয়ান কাগজ ভারতবৰ্ষ সম্বন্ধে সত্য ও ন্যায্য কথা কিছু বলিত। এখনও বলে, তবে আগেকার চেয়ে কম। সেই কাগজে সিমসন সাহেবের হত্যাসম্বন্ধে ৯ই ডিসেম্বর যাহা লেখ৷ হইয়াছে, তাহার নিম্নমূদ্রিত চুম্বক ৯ই ডিসেম্বরই রয়টার ভারতবর্ষে পাঠাইয়াছে :– The Mauchosler (Huardian in its editorial deplores the outburst of terrorism in India at present “when the Round Table Conference is working and the method of discussion and compromise is revealing the possibilities of harmonious settlement of the Indian problem before unthought of.” The Guardian says that the argument will be used that the murtler of Mr. Simpson shows dramatically the necessity for law and order remaining in British lands, but actually it has no bearing on the general prohlen of India. As long as the Nationalist India has the sense of grievance, the methods of terrorism are liable to be used, whoever may be responsible for law and order. Fanatic excesses can best he cured by reasonableness and Inoderation. Injustice is the lifeblood of terrorism and the work of the Round Table Conference is to put an end to injustice.”H. tter. তাৎপৰ্য্য। “যখন গোল টেবিল বৈঠক কাজ করিতেছে এবং যখন আলোচনা ও রফার পদ্ধতি ভারতীয় সমস্যার সামঞ্জস্যপূর্ণ মীমাংসার অচিন্তিতপূৰ্ব্ব সম্ভাবনাসমূহ প্রকটিত করিতেছে, তখন ভারতবর্ষে ভয়োৎপাদন নীতির সহসা আবির্ভাবে ম্যাঞ্চেষ্টার গাডিয়ান তাহার সম্পাদকীয় প্রবন্ধে দুঃখ প্রকাশ করিয়াছে। গাডিয়ান বলিতেছে, যে, সিমসন সাহেবের হত্য আইন ও শৃঙ্খলা রক্ষার ভার ব্রিটিশ হস্তে রাখিবার আবশুষ্কত নাটকীয়