পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] AMJMMMAeMAMMMMAAA AAAA AAAAA মন না দিয়া জাতিধৰ্ম্ম নিবিশেষে বদমায়েসদিগকে শাস্তি দেওয়া অধিক বাঞ্ছনীয় । শাস্তির রকমওয়ারী সত্যা গ্রহের ও তৎসংশ্লিষ্ট অন্যান্ত “অপরাধের” জন্য শাস্তি ভিন্ন ভিন্ন বিচারক ভিন্ন ভিন্ন রকম ও পরিমাণে দিতেছেন । আদালতে,একই অভিযোগে শাস্তি নানা প্রকার হইতেছে । কয়েদীদের শ্রেণীবিভাগ আরও চমৎকার । কি কারণে যে ভিন্ন ভিন্ন কয়েদীকে হাকিম প্রচুর প্রথম দ্বিতীয় তৃতীয় শ্রেণীতে ফেলেন, তাহা দেব ন জানস্তি কুতে মানবাঃ ! একই প্রদেশে, এমন কি একই শহরে ও পাটের ব্যবহার অগ্রচায়ণের প্রবাসীতে পাটের নানাবিধ ব্যবহারের কথা লিথিত হইয়াছিল। কিছুদিন হইল আমরা ব্রাহ্ম বালিক শিক্ষালয়ে গিয়া দেখিলাম, সেখানে লেড়ী প্রিন্সিপ্যাল মহাশয়ার কামরায় চটের পরদ; রহিয়াছে । বলিয়া না দিলে সেগুলি হঠাৎ কাহারও চট্টের পরদ বলিয়া মনে হইবে না । নানা রঙের স্থত দিয়া ছাত্রীর ফুল তুলিয়। সেগুলিকে অলঙ্কৃত করিয়াছে। চটের স্বাভাবিক রঙের উপর সেগুলি বেশ মানাইয়াছে। কেত ইচ্ছা করিলে চটে সবুজ নীল বা অন্য কোন রংও দিতে পারেন । চটের পরদা বেশ টেকসই এবং তাহাতে শীঘ্র ময়লা ধরে না । জুট ফ্লানেলের জামা অনেকে পরেন। জুট কথাট হইতেই বুঝা যাইতেছে, উহার কাপড়ে পাট মিশান আছে । এই রকম পাট মিশাইয়। র্যাপার এবং অন্যবিধ শীতবস্ত্রও হইতে পারে । বাংলায় বৌদ্ধ জাতক-মালা যোল বৎসরের পরিশ্রম এবং প্রায় দশ হাজার টাকা খরচ করিয়া শ্ৰীযুক্ত ঈশানচন্দ্র ঘোষ বৌদ্ধ জাতকসমূহ বিবিধ প্রসঙ্গ—কলকাতা মিউনিসিপালিটীর আয়ব্যয় 88\ව් ബ~~ാ বাংলায় অতুবাদ করিয়া ছয় খণ্ডে প্রকাশ করিয়াছেন । ইংরেজী অনুবাদ কয়েকজন বিদ্বান লোকের পরিশ্রমে এবং অক্সফৰ্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যয়ে প্রকাশিত হয়। ঈশান বা এক নিজের পরিশ্রমে ও ব্যয়ে বাংলা অনুবাদটি প্রকাশ করিয়াছেন। অধিকন্তু তিনি একাধিক দীর্ঘ ভূমিকা এবং বহু টকা সংযোজন করিয়াছেন । এই সব কারণে র্তাহার কায্য বিশেষ প্রশংসনীয় । জাতকগুলির গল্প মনোরম এবং উপদেশপূর্ণ। তৎসমুদয় হইতে প্রাচীন ভারতের যুগবিশেষের সামাজিক অবস্থার ইতিহাসও কতকটা সংগ্ৰহ করিতে পারা যায় । এরূপ গ্রন্থ বাঙালীদের মধ্যে যত বেশী লোকে পড়িবে, ততই বঙ্গীয় জনগণের মঙ্গল হইবে । কলিকাতা মিউনিসিপালিটীর আয়ব্যয় কোন দেশেরই গবন্মেটি মিউনিসিপালিট ইত্যাদি একেবারে নিখুত নয়। কিন্তু তাই বলিয়া আমাদের দেশের লোকদের দ্বারা পরিচালিত কোন প্রতিষ্ঠানের দোষ না-দেখা কিংবা দোষ দূর করিতে চেষ্টা না-করা বোকামি । অন্ত দিকে, এদেশে দেশী লোকর কোন একটা কাজ চালায় বলিয়াই সব দোষ হইতেছে, ইংরেজরা চালাইলে দোষ হইত না, এমন মনে করাও ভুল । কলিকাতা মিউনিসিপালিটীর দোষ ত্রুটি আছে । তাহা দেখাইয়। ইংরেজরা ইহার দেশী পরিচালকদের—বিশেষত: তাহারা অধিকাংশ কংগ্রেসওয়াল বলিয়া— দোষ দেয় । কিন্তু পঞ্চাশ বৎসর আগেকার এবং তাহার পরবর্তী অনেক বৎসরের কলিকাতা প্রত্যক্ষ দেখিয়াছি, তথন ইংরেজরাই ইহার সৰ্ব্বেসৰ্ব্ব ছিল । তখন শহর এখনকার চেয়ে বেশী নোংরা ও দুর্গন্ধময় ছিল। মিউনিসিপালিটার টাকার অপচয় তখন যে হইত না, এমন নয় । আয়ের শতকরা কম টাকা তখন শিক্ষা স্বাস্থ্যোন্নতি প্রভৃতির জন্য ব্যয়িত হইত। সুতরাং দেশী লোকেরা কলিকাতাটাকে আগেকার চেয়ে খারাপ করিয়া দিয়াছে, ইহ সত্য নহে। কিন্তু কলিকাতা মিউনিসিপালিটী