পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] যুক্তি-শেষে রামহরিবাবুর কন্যাকে বিবাহ করিতে আপত্ত্বির বিচিত্র কারণ দেখাইয়া সে চিঠি শেষ করিল। মেয়েটি যে অত্যন্ত ট্যার এ কথাটিও নৃপেনের ইচ্ছার বিরুদ্ধে হুকুমার লিখাইয়া দিল । চিঠিখান নিজ হাতে তাকে পাঠাইয়া সুকুমার মুক্তির নিঃশ্বাস ফেলিয়া কহিল, “বাচ লাম হে! বড়ই ঘোরালো হ’য়ে উঠেছিল!” নৃপেন দত্তের চিঠি পড়িয়া স্বকুমারের মাত ব্ৰজদুলালবাবুকে সগৰ্ব্বে কহিলেন, “দেখলে তো ! তেমন ছেলেই গৰ্ভে ধরিনি। দাও চিঠি পাঠিয়ে মাষ্টারের বাড়ী ।” ব্ৰজদুলালবাবু বাধা দিয়া কহিলেন, “ছি, তার চেয়ে লোক দিয়ে ব’লে পাঠাও এখন বিয়েতে ছেলের মত নেই।” সুকুমারের মাত কহিলেন, “উহু, মাষ্টারের মেয়ে ছেলেকে তাহলে ‘গুণ করবে।” বলিয়াই তিনি চলিয়া গেলেন এবং নুপেন দত্তের চিঠিখান ক্ষাস্ত দাসীর হাতে প্রাতঃকালেই যথাস্থানে রওনা হইয়া গেল । বীণ সুকুমারের জন্য একটা বালিশের ওয়াড় সেলাই করিয়া তাহাতে একজোড়া গোলাপ ফুল তুলিতেছিল। এমন সময় মায়ের ক্ৰন্দনধ্বনি শুনিয়া বাহিরে আসিয়। দাড়াইল, দেখিল তাহার মাতা মাটিতে মাথা খুড়িতেছেন, আর চীৎকার করিতেছেন, “ওরে আমার পোড়া কপাল ।” দাওয়ায় শুদ্ধমুখে রামহরিবাবু একটি খুটি ধরিয়া বসিয়া আছেন আর ক্ষান্তদাসী একখানা চিঠি হাতে করিয়া হতভম্ব হইয়া দাড়াইয়া আছে । সুকুমারের অমঙ্গল আশা করিয়া বীণা ছুটিয়া আসিয়া মাতাকে জড়াইয়া ধরিয়া শঙ্ক-বিহ্বলম্বরে কহিল, “কি মা !” গৃহিণী বীণাকে দূর করিয়া ঠেলিয়া দিয়া কহিলেন,"দূর হ ! কালামুখী ! দূর হ! মুখ দেখাস নি আর ! দেখগে য চিঠিতে কি লিখেছে!” ৰীণা ক্ষম্ভদাসীর হাত হইতে চিঠিখানা লইয়া চলিরা গেল। مur বেলা তখন দুপুর গড়াইয়া গিয়াছে, তখনও বীণ৷ কাঠের পুতুলের মত নৃপেন দত্তের চিঠিখান হাতে করিয়া বসিয়া ছিল । তাহার যে কি হইয়াছে তাহা সে ভাবিতেও পারিতেছিল না। গত কয়েক মাসের বড় ছোট ট্যারা কাছে পত্র লিথিল। বৰ্ত্তমানে বিবাহের বিরুদ্ধে নানারূপ সকল ঘটনা, সুকুমারের 8৬৫ SSAS A SAS SSASAS SS SAAAAAMMAS SSAS SSAS প্রত্যেকটা কথা মনের মধ্যে আবর্তিত হইয়া উঠিতেছিল। সকল কথার মধ্যে একটি কথাই বিশেষ করিয়া মনে পড়িতেছিল, সুকুমার বলিয়ছিল—“ট্যার বলেই তোমাকে আরও বেশী ভাল লাগে!” স্বকুমার আজ লিখিয়াছে সে ট্যারা ! ভাবিতে ভাবিতে দেয়ালে টাঙানো স্বকুমারের ছবিখানার দিকে তাহার চোখ পড়িল ; ভাবিল স্বকুমারের সম্মুখের উচু দাত দুটি তে। তাহার চোখে কোনো দিন কুত্ৰ লাগে । নাই । কেবলই মনে হইয়াছে দণত দুটি উচু না হইলে যেন মোটেই মানাইত না, কিন্তু তাহার ট্যার চোখটি সুকুমারের চোখে বিশ্ৰী লাগিল কি করিয়া ! “নাও, হয়েছে! খুব ঢলিয়েছ এখন দুটো গিলে নাও!” বলিয়৷ গৃহিণী ঘরে ঢুকিলেন । ঘরে ঢুকিয়া বীণার মুখের দিকে চাহিয়া গৃহিণী স্তব্ধ হইয়া দাড়াইলেন। তাহার পর কন্যার গলা জড়াইয়া ধরিয়া কাদিয়া ফেলিলেন । বীণা মায়ের বুকের মধ্যে মুখ লুকাইয় পড়িয়া রহিল। সন্ধ্যাকালে রামহরিবাৰু ফিরিয়া অতি শুষ্কম্বরে বীণাকে ডাকিলেন, সে সাড়া দিল না। থাইবার জন্য গৃহিণী ডাকিলেন, মাথাধরার অছিলায় সে বিছানায় পডিয়া রহিল । রামহরিবাবু শুধু কহিলেন, “ওকে আর আজ ডেকে না ।” রাত্রি দ্বিপ্রহর পর্য্যস্ত জাগিয়া বীণ সুকুমারের চিঠিগুলি পড়িল, তারপর সুকুমারের ছবিখানার দিকে চিঠি গুলি আগাইয়া ধরিয়া কহিল, “এসব তা হলে মিছে কথা ! আমি শুধু ট্যারা ” ট্যারা ! ট্যারা ! কথাটি মনে করিতেই মাথার মধ্যে তাহার কেমন ওলটপালট হইয়া গেল। মনে হইল চোখটার সঙ্গে যেন সমস্ত দেহের কোনও সম্পর্ক নাই ; ভাবিতে ভাবিতে টেবিলের উপর হইতে কথন বীণা পেন্সিল কাট ছুরিখানা তুলিয়া লইল ।

আত্মনাদ শুনিয়া রামহরিবাবু ও তাহার ਖੋ গৃহিণী ছুটিয়া আসিয়া দেখিলেন বীণার সমস্ত মুখখান ভাসাইয়া রক্তের স্রোত বহিতেছে আর ছুরিখানা ডান চোখের মধ্যে আমূল বিদ্ধ হইয়া আছে। । - সংবাদটি বথারীতি স্বকুমারের নিকট গিয়া পৌছিল SS SSAAAASSSS S S SSS JSSS SSSJJJSAAAA AAS AAAASS