পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ჭჯk মনে সংশয় হয়—তপস্যার মোহে পড়িয়া যদি পাৰ্ব্বতী শিবকে ভুলিয়া যান-বরফ-ঢাক নদীর মত যদি স্থাবরত্ব প্রাপ্ত হ’ন—এক কথায়, যদি বৌদ্ধ-ভিক্ষুণী হইয় উঠেন, তাহা হইলে ত মহর্তিবিনষ্টি:, কিন্তু হয় নাই। গৌরী তপস্যা করিয়া রূপকে সার্থক করিয়াছেন-মদনকে পুনরুজ্জীবিত করিয়াছেন-গৌরী ‘ঘর বঁাধিবার তপস্যা করিয়াছেন, ঘর ভাঙিবার তপস্যা করেন নাই । ( ওথেলোতে সেক্সপীয়র এই মহা-তপস্যার কথাই বলিতে গিয়াছিলেন, কিন্তু গল্পটিকে বিয়োগাস্ত করিয়া লঙ্কাকাণ্ড করিয়াছেন)। এই ঘর বাধিবার তপস্যায় গৌরী শিবগৃহিণী—হিন্দুগৃহিণী হইলেন । বৌদ্ধ মতবাদ নর-নারীর মিলনের পথে যে অন্তরায় উপস্থিত করিয়াছিল, পাৰ্ব্বতীর ঘর বাধিবার তপস্যায় তাহ বিদূরিত হইল । প্রবাসী—মাঘ, ১৩৩৭ [ ७०* उ१ि, २झे ५७ কাব্যক্ষেত্রেও দেখি, সমস্ত বিক্ষোভকে পাৰ্ব্বতীর তপস্যা শাস্ত ও সমাহিত করিয়া তুলিয়াছে, সকল প্রকার ক্ষতিই পূরাইয়। তুলিয়াছে। তাই, মহাকবি যে গভীর আনন্দের মধ্যে কাব্যখান শেষ করিয়াছেন, তাহ। অতি স্বসঙ্গতই হইয়াছে। যে মিলনের স্বচনায় আৰ্ত্তকণ্ঠ দেবতাদিগকে বলিতে হইয়াছিল—ক্ৰোধং সংহর সংহরেতি—যে মিলন ঘটাইতে যাইয়। রতিকে “স্তনসম্বাধমুরোজঘান চ’ করিতে হইয়াছিল—কুমার কাব্যের উপসংহার কিন্তু সেই মিলনেই—হর-গৌরীর বাসর শয্যায় । দান্তের কাব্যে দশ মূক শতাব্দী বাণী পাইয়াছিল – কুমার-কাব্যে একট। মহাজাতি—একটা মহাদেশএকটা মহাসংস্কৃতি বাণী পাইয়াছে। افتتحتعتتبعيكيبيكينججتم মরা গাঙ, শ্ৰীহিরন্ময় মুন্সী এই মরা গাঙ গেছে কোন দেশে কোন কোন পথ দিয়ে, কত শত হাসি অশ্রুর ভর। বুকেতে সাজায়ে নিয়ে । গেছে কোন দেশে কোনখানে কোন ঘাটে কোন বন্দরে, কত যে গায়ের কোল বেয়ে গিয়ে ঠেকেছে সে কোন চরে। চর দুই ধারে বালুর পাথরে চকু চকু করে বালি, মাঝখান দিয়ে গেছে সরু গাঙ চাদের একটা ফালি । দুই পাড়ে ঘন-সবুজের মেলা দেখিয়া দু ঠাখি ভরে, কে যেন কাদিয়া সারা হয় ঐ সবুজের মৰ্ম্মরে । বাতাস বাধিয়া নারিকেল পাতা—মরে সবু সৰ্ব করি, সুপারি তালের বনে বনে কার আঁখিজল পড়ে ঝরি । বঁাশ বাখারির বেড়া দিয়ে ঘেরা ঐ যে বেগুন-ক্ষেতে, গায়ের চাষার ‘টোঙে চড়ে দেয় পাহারা দিবস রেতে। গায়ে গায়ে যত গায়ের বধূর সন্ধ্যা সকাল বেল, এই মরা গাঙে আসে জল নিতে, করে না ত তারা হেলা । কাখের কলস ডোবে না তবুও কত যে ভঙ্গি করি। কাকাল বাকীয়ে জলভরা চাই কলস ডুবায়ে ধরি। মর গাঙে গেছে সোৎ কবে মার, আবদ্ধ জল পেয়ে, দাম দল আর হাওলাতে এসে ফেলেছে বক্ষ ছেয়ে । কারাগার মাঝে বন্দীর মত পঙ্কিল জলরাশি, যেন পেতে চায় মুক্তি শুনিয়া গেয়ে রাখালের বাণী । নিদাধী দিনের চাতকের মত বর্ষার বারি যাচে, কালো মেঘ দেখে ময়ূরের মত দুই হাত তুলি নাচে । বুকের পাজরে ওরি,— দাগ কেটে কেটে‘দাড়েকোট’থেলে ছেলেগুলো দিন ভরি । ছল ছলে জলে জাল পেতে ব’সে গায়ের জেলেরা যত, মাথায় বাধিয়া ফ্যাট ধরে মাছ নানাবিধ শত শত । ট্যাংরা পুটিতে খালুই ভরিয়া হাটের রাস্তা বেয়ে, চলে যায় ওর, মরা গাঙ শুধু দেখে চোখ চেয়ে চেয়ে । কত যে গায়ের গা-ঘে সিয়া চ’লে গেছে এই একই ধারা, লোৎ নাই তবু সাগরে মিশিতে আকুল পাগলপারা । পার হ’য়ে কত হাট মাঠ বাট চলে গেছে আঁকা বাক, বুকে বুকে কত বেদন কাদা ও বালুতে সকলি ঢাকা । ওর দিন গেছে ব’য়ে,নেতি কাদা এসে ভরাট করেছে, চেপেছে পাষাণ হয়ে । ভরা বরষার ভরসায় ও যে এখনও রয়েছে বেঁচে, এ-কুল ও-কুল দুকূল ভাষারে বরষার জল নেচে । উঠিবে কবে বা ঢেউ তুলে তুলে, সেই আশা বুকে ধরি, এখনো মরেনি, ব’সে ব’সে দেখি আর ভেবে ভেবে মরি। হায়! মরা গাঙ, তেরিও,আশা আছে প্রাণে, সেই আশা নিয়ে আজও দেশ . দেশ ঘোরো {