পাতা:প্রবাসী (ত্রিংশ ভাগ, দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

88 (১) মধ্যযুগ হইতে বাংলা ভাষার যে-রূপ প্রায় স্থির হইয়া আসিতেছিল, উপভাষার বাধা হয়ত তাহাকে আর সহিতে হইবে না। উপভাষা ক্রমেই নিস্তেজ হইয়া পড়িবে। কিন্তু মুসলমানী অপভাষা বাংলা ভাষার ঐক্যকে ভাঙিয়া দিতে পারে। আর উপভাষা, হিন্দী ও ইংরেজীর আক্রমণে এ-ভাষার এমন রূপান্তর সম্ভব যে ইহাকে আর চেনা যাইবে না। হিন্দীর রাষ্ট্রভাষা হওয়ার দাবী ও ইংরেজীর বিশ্বভাষা হওয়ার দাবী স্বীকার করিলে বাংলা ভাষার নিজের প্রাণ ও নিজের দাবী সংরক্ষণ সম্ভব কি না, অস্বীকার করিবার মত শক্তিই বা তাহার আছে কি ন-চহাই ংলা ভাষার বর্তমান সমস্যা । (২) বাংলা ভাষার প্রধান গৌরব তাহার সাহিত্য । সে সাহিত্য অপরিসর, অগভীর ও অশিক্ষিত-পটুত্বের পরিচায়ক-ইহা শিক্ষাভিমানী বাঙালী সাহিত্যিকের স্মরণ রাখা উচিত। তবে বাঙালীর রসবোধ আছে, যদি জীবন সম্বন্ধে সে serious হয়, তবে তাহার সাহিত্য আয়তনে মা হোক গভীরতায় সমৃদ্ধ হইবে। তাহাতে বাংলা ভাষ: পুথিবীর একটি অগ্রগণ্য ভাষা বলিয়। পরিগণিত না হইলে ও শ্রদ্ধের ভাষা বলিয়া সম্মানিত হইতে পারে। (৩) বাংলা ভাষাকে মুখ্য ভাষা হইতে হইলে বাঙালী জাতিকে মুখ্য জাতি হইতে হয় । ঐতিহাসিক ও রাষ্ট্র য় Q প্রবাসী—কাৰ্ত্তিক, ১৩৩৭ [ ৩০শ ভাগ, ২য় খণ্ড কারণে বাঙালী আর তাহা তইতে পারিবে 州、 বাংলা ভাষা গৌণ প্রাদেশিক ভাষাই থাকিবে । (৪) বাংলা ভাষা বাঙালী জাতির ‘সব-কাজের’ ভাষা নয়, তাহা হইবার মত শক্তিও তাহার নাই । বৰ্ত্তমান সভ্যতা ও বর্তমান যুগের দাবী মিটাইবার মত তাহার নুমনীয়তা বা ঐশ্বয্য কিছুই নাই । তাই মনে হয় বাংলা ভাষার অদৃষ্টলিপি এই যে— ইহা বড় জোর এক রসবেত্তা জাতির রস-রচনার ও গৃহকৰ্ম্মের ভাষা হইয়া থাকিবে, পুথিবীর কোনও বড় ভাষা বলিয়া গৃহীত হইবে না। এ গ্রহাচায্যের উক্তি নয়—এ নিতাস্ত সহজ পুজি*if5r f:İ4, stock-taking, forecast 3 Tezi: ভাষার ভবিষ্যৎ নিভর করে বাঙালী জাতির ভবিষ্যতের উপর—অর্থাৎ আমাদের বর্তমান জীবনের উপর, সাধনার উপর, শক্তির উপর । বাংলা ভাষার ঐতিহাসিক ত:ই আমাদের স্মরণ করাইয় দিতেছেন : “এ বিষয়ে প্রত্যেক শিক্ষিত বাঙালীর দায়িত্ব আছে তাহার নিজের প্রতি, তাহার পিতৃপুরুষের প্রতি এবং তাহার ভবিষ্য২-বংশীয়গণের প্রতি ।” বাঙালী সে দায়িত্ব স্মরণ রাখিবে কি না, রাখিবার মত শক্তি তাহ প্ল আছে কি না, ইহাই আজ আমাদের জীবনের সর্বাপেক্ষ গুরুত্তর 2 | চাদ শ্ৰীপ্রিয়ম্বদা দেবী তোমার রূপের জ্যোতি খেল করে পরাণে আমার, ৪গো চাদ, এত কাছে উজল এমন ! তোমার ওরূপ মোরে শিশু করে দিয়েছে আবার, কঁদিয়া বাড়াই হাত, ধরিবারে মন । কচি মেয়ে আমি যেন দু-হাত বাড়ায়ে তোমারে বাধিতে চাই বুকে তে জড়ায়ে ॥ আজ রাতে কত পার্থী গান গেয়ে জাগে বারে বারে, তোমার আলোতে তাক কণ্ঠে মণি-হার মুখে মোর কথা নাই চলে গেছি শব্দের ওপারে, অবাক বন্দন মোর আজি উপহার। বনানী মুখর হ’ল কোকিলের স্তবে, আমার অস্তরে প্রেম জাগিছে নীরবে ॥*

  • W.H. I havies-এর ছায়া অবলম্বনে